ম্যালেরিয়া রোগ হলে করণীয়

যদি কেউ ম্যালেরিয়া রোগে আক্রান্ত হন তাহলে অবশ্যই তার সঠিক চিকিৎসা প্রয়োজন রয়েছে। এটা সাধারণ কোন রোগ নয়, তাই আপনি যদি চিকিৎসা না করেন তাহলে অবশ্যই বড় ধরনের বিপদ আপনার জন্য অপেক্ষা করছে। সাধারণত এক ধরনের মশার মাধ্যমে এই রোগের ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে এবং এটা বিশেষ করে বর্ষাকালে বেশি হয়। ম্যালেরিয়া রোগের চিকিৎসার আগে যে কাজটি আমাদের সকলকে নিশ্চিত করতে হবে সেটা হচ্ছে এই রোগ প্রতিরোধে যে ব্যবস্থাগুলো রয়েছে সেগুলো করা।

তার কারণ হচ্ছে সঠিকভাবে ম্যালেরিয়া রোগের চিকিৎসা না হলে যেকোনো রোগী মারা যেতে পারেন তাই আমরা যদি আগে থেকে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারি তাহলে সেটা আমাদের জন্য খুব বেশি ভয়ানক হবে না। ম্যালেরিয়া রোগের চিকিৎসা ব্যবস্থা সাধারণত হাসপাতাল কেন্দ্রিক। আপনি বাড়িতে যতই চেষ্টা করেন না কেন কোন ধরনের চিকিৎসা ব্যবস্থা নেই বাড়িতে এই রোগের। তাই কেউ যদি ম্যালেরিয়া রোগে আক্রান্ত হন সবার প্রথমে যে কাজটি তিনি করতে পারেন সেটা হচ্ছে সরাসরি চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া।

ম্যালেরিয়া রোগের উপসর্গ ও লক্ষণ

সাধারণত যদি কেউ ম্যালেরিয়া রোগে আক্রান্ত হয় তাহলে যে উপসর্গগুলো সে বুঝতে পারবে সেগুলো অত্যন্ত জরুরি ব্যাপার। এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর একজন রোগী যত দেরিতে চিকিৎসকের কাছে যাবে সে তত বেশি অনিশ্চিত অবস্থায় থাকবে তাই সবার প্রথমে এই প্রাথমিক উপসর্গগুলো বুঝতে পারা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে এই ম্যালেরিয়া রোগে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে তারা মৃত্যুবরণ করেন তাদের মধ্যে বেশির ভাগই দেরিতে হাসপাতালে যান যার কারণে তাদের চিকিৎসা করার আগে শারীরিক অবস্থার অনেক অবনতি হয়ে যায়।

এ অবস্থাতে অবশ্যই কিছু প্রাথমিক লক্ষণ আছে যেমন সাধারণ জর যার তাপমাত্রা থাকবে ১০৫ থেকে ১০৬° ফারেনহাইট পর্যন্ত। আমি স্বাভাবিকভাবে এত তাপমাত্রার জ্বরে আক্রান্ত রোগীকে এখনো দেখিনি তাই ভাবুন সেটা কত কষ্টকর হতে পারে এবং এই অবস্থাতে কোনভাবেই বাড়িতে থাকা যাবে না। এবং এই জ্বর নিয়মিত আসা-যাওয়া করবে অর্থাৎ কোন সময় বাড়বে কোন সময় কমবে এবং কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসতে পারে। এই সমস্যার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপসর্গ হচ্ছে শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যথা একই সঙ্গে পুরো শরীর ব্যথা। হতে পারে গিরায় গিরায় ব্যথা অনেক সময় মাথায় ব্যথা থেকে শুরু করে যে কোন ধরনের ব্যথা অনুভূত হতে পারে এই ম্যালেরিয়া রোগে আক্রান্ত হলে।

ম্যালেরিয়া রোগে আক্রান্ত হওয়ার পরে রোগী প্রচন্ড গরমেও শীত শীত অনুভূত করবে এছাড়াও রোগের বমি বা বদহজম তৈরি হতে পারে ম্যালেরিয়া রোগের আক্রান্ত হওয়ার পরে। অনেক রোগীদের ক্ষেত্রে খিচুনি দেখা যেতে পারে এটা অনেক চিন্তার কারণ এছাড়াও পিপাসা লাগা ও ক্লান্তি অবসাদগ্রস্ত এবং প্রচন্ড ঘেমে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যেতে পারে ম্যালেরিয়া রোগে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে।

রক্তশূন্যতা এ রোগের সব থেকে বড় কারণ তার কারণ হচ্ছে এই রক্তশূন্যতার কারণেই এই রোগীগুলো মারা যায়। সাধারণত এই ভাইরাস প্লীহা ও যকৃতকে বড় করে এবং লোহিত রক্ত কণিকাকে ধ্বংস করতে শুরু করে এবং এটা এত তাড়াতাড়ি করে যে পুরো শরীরের লোহিত রক্ত কণিকা নষ্ট করতে পারে এই ভাইরাস এবং তখন রোগী মারা যেতে পারে।

ম্যালেরিয়া রোগের চিকিৎসা

ম্যালেরিয়া রোগের চিকিৎসা সম্পন্ন হাসপাতাল কেন্দ্রিক। এই রোগের ভাইরাস একজন মানুষের শরীরে প্রবেশ করার পরে রক্তে থাকা লোহিত রক্তকণিকাকে ধ্বংস করতে শুরু করে এটা আস্তে আস্তে কাজ শুরু করলো একপর্যায়ে এত দ্রুত কাজ শুরু করে বোঝা যায় না রোগীর শরীরের রক্ত পুরোটা নষ্ট হয়ে গেছে। এ অবস্থাতে যদি দ্রুত ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তাহলে রোগী মারা যাবে তার কারণ হচ্ছে লোহিত রক্তকণিকা নষ্ট হয়ে যাওয়া মানে পুরো রক্তই অকার্যকর হয়ে যাওয়া এই অবস্থাতে কেউ বেঁচে থাকতে পারে না।