বাচ্চাদের কাশি হলে করণীয়

সাধারণত শিশু বাচ্চাদের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারণে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়। তাদের মধ্যে কমন যে সমস্যা আছে সেই সমস্যাগুলো হতে পারে জ্বর সর্দি অথবা কাশি। কি সমস্যা গুলো প্রাথমিক পর্যায়ে তেমন বড় ধরনের সমস্যা না হলেও যদি এগুলো অবহেলা করা হয় তাহলে এগুলো বড় ধরনের সমস্যা হতে পারে। সাধারণত বাচ্চাদের কাশি হয়ে থাকে বিভিন্ন কারণে তবে সেই কাশি হলে দ্রুত কাশি সারানোর জন্য বাচ্চাকে কি ঔষধ খাওয়ানো উচিত এটা অত্যন্ত জরুরি বিষয়।

শিশুদের ক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে ওষুধের ক্ষেত্রে এবং চেষ্টা করতে হবে অ্যান্টিবায়োটিক ছাড়া শিশুকে চিকিৎসা সেবা দিতে। আপনি একটু খেয়াল করলে দেখবেন যারা ভালো ডাক্তার আছে তারা সব সময় চেষ্টা করে শিশুকে অল্প ওষুধের মাধ্যমে সুস্থ করাতে এবং সেই চেষ্টায় সে পারদর্শী হয়। সাধারণত কাশির বিভিন্ন ধরনের সিরাপ বাজারে পাওয়া যায় তবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে আপনি যদি তুলসী পাতার রস বাচ্চাকে তিনবেলা খাওয়াতে পারেন তাহলে সেটা অনেক বেশি উপকার দেবে।

বাচ্চাদের কাশি হলে কি ঔষধ খাওয়াবেন

বাচ্চাদের কাশি ভালো করার জন্য বাজারে বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের ঔষধ আছে। সব থেকে বড় ব্যাপার হলো এই ওষুধগুলোর মধ্যে বর্তমানে হারবাল ওষুধগুলো ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয় এবং অনেক বড় বড় এমবিবিএস ডাক্তারও এই হারবাল ঔষধ সাজেস্ট করেন বাচ্চাদের কাশি ভালো করার জন্য। এই ওষুধগুলো আপনি অবশ্যই বাচ্চাকে খাওয়াতে পারেন তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এই ঔষধ খাওয়ানোর সঠিক পরিমাপ আপনাকে জেনে নিতে হবে।

তার কারণ হচ্ছে বাচ্চাদের বয়সের উপর ভিত্তি করে তার শারীরিক ওজন কেমন আছে সেটা নিশ্চিত করবে কতটুকু ঔষধ খেলে কাজ করবে। আপনি যদি এর থেকে কম ওষুধ খান অথবা এর থেকে বেশি ওষুধ খান তাহলে সেটা সমস্যার কারণ হতে পারে।

বাচ্চাদের কাশি হওয়ার কারণ

বাচ্চাদের কাশি হওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে ঠান্ডা লাগা। সেই ঠান্ডা যে কোন উপায় লাগতে পারে যেমন মনে করুন বাচ্চার মায়ের থেকেও বাচ্চাদের ঠান্ডা লাগতে পারে অথবা বাচ্চা নিজে থেকে বিভিন্ন কারণে ঠান্ডা লাগাতে পারে। বাচ্চাদের কাশি হওয়ার যে কারণগুলো রয়েছে সেগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করা। সাধারণত বাচ্চারা একটু চঞ্চল হয়ে থাকে এবং এই অবস্থাতে তারা আনন্দ করতে অনেক বেশি ভালোবাসে।

অনেকেই গোসলের সময় অতিরিক্ত পানি ব্যবহার করে এবং সেই পানি যদি অনেক বেশি ঠান্ডা হয় তাহলে যেকোনো সময় তাকে ঠান্ডা লাগতে পারে এবং সেখান থেকে কাশি হতে পারে। যে সকল বাচ্চারা খাওয়া দাওয়া শিখেছে তারা যদি হঠাৎ করে আইসক্রিম খায় বা ফ্রিজের পানি খায় সেখান থেকেও তা ঠাণ্ডা লাগতে পারে এবং সেখান থেকে কাশি হতে পারে। বিভিন্ন ভাইরাসজনিত কারণে হোক আর কাশি হয়ে থাকে অনেকের ক্ষেত্রে এই সমস্যার সমাধানের জন্য আরো বড় বড় ওষুধ খাওয়া লাগতে পারে।

বাচ্চাদের কাশি হওয়ার লক্ষণ

বাচ্চাদের কাশি হওয়ার লক্ষণের মধ্যে প্রথম লক্ষণ যেটা বোঝা যাবে সেটা হচ্ছে গলা ব্যথা। হঠাৎ করে বাচ্চারা এশারের মাধ্যমে বোঝানোর চেষ্টা করবে তার গলা ব্যথা করছে এবং তারপরে আস্তে আস্তে তার খুশখুসে কাশি শুরু হবে এবং এটা আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পাবে। অনেক ক্ষেত্রে কাশির সঙ্গে গলা ব্যথা সহ শরীর ব্যথা অথবা জ্বর আসতে পারে। এই জ্বর দু-একদিন থেকে চলে যাবে কিন্তু কাশি যাবে না এবং সেটা দীর্ঘদিন ধরে সে বাচ্চাকে জানাতে থাকবে।

এই অবস্থা তো অবশ্যই লক্ষণগুলো শুরু থেকে যদি কোন অভিভাবক চিহ্নিত করতে পারেন তাহলে সাধারণ ঔষধের মাধ্যমেই কাশিকে নির্মূল করা যায়। তবে যদি গুরুতর কোন ঔষধের প্রয়োজন হয় তাহলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে তার কারণ হচ্ছে ওষুধের পরিমাপ এবং সঠিক ওষুধ দেওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা অনেক পারদর্শী।