জ্বর হলে কি খেতে হবে

যদি কারো জ্বর আসে তাহলে কেন জানিনা অনেক খারাপ লাগে এই সময়ে। যার এমন একটি সমস্যা যেটা ছোট বড় সুস্থ অসুস্থ প্রত্যেকটি মানুষকে অনেক দুর্বল করে ফেলে এবং কোনভাবেই যেন সে মানুষটি কোন কিছুতে মনোযোগ দিতে পারে না। জ্বর হলে কি খাবেন এরকম প্রশ্ন অনেকেই করে থাকে। সবার প্রথমে এটা নিশ্চিত হতে হবে সত্যিই জ্বর এসেছে কিনা অর্থাৎ আপনাকে থার্মোমিটারের মাধ্যমে মাপতে হবে আপনার শরীরের তাপমাত্রা কত হয়েছে যদি সেটা জরের মাত্রা অতিক্রম করে তাহলে আপনাকে জ্বর ধরে নিতে হবে।

এরপরে আপনাকে অবশ্যই ওষুধ সেবন করতে হবে এর জন্য আপনি একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে পারেন পরামর্শ করার জন্য। সাধারণ জ্বরের ক্ষেত্রে আপনি শুধুমাত্র প্যারাসিটামল খাবেন এবং প্যারাসিটামল এর মাত্রা নির্ধারণ করে দেবে সেই ডাক্তার আপনার শারীরিক ওজনের ওপর নির্ভর করে। শিশুদের ক্ষেত্রে অবশ্যই শারীরিক ওজন এবং শিশুদের বয়স অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জ্বর মাপার ক্ষেত্রে।

শিশুদের জ্বর হলে কি খাওয়া উচিত

শিশুদের জ্বর হলে কি খাওয়া উচিত মূলত শিশুরা এমনিতেই কিছু খেতে চায় না। তার ওপর যদি তার জ্বর আসে তাহলে এমনিতেই শরীর খারাপ এই অবস্থাতে আপনি শিশুকে কোন খাবারই খাওয়াতে পারবেন না। তারপরও বাবা-মা সবসময় চেষ্টা করে যাতে করে অল্প কিছু করে হলেও শিশুটা খাবার খায় তার কারণ হচ্ছে খাবার খেলে শরীর শক্তিশালী অবস্থায় থাকবে এবং জ্বরের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারবেন।

ঔষধ হিসেবে শিশুদের জ্বরের সময় শুধুমাত্র প্যারাসিটামল খাওয়া উচিত এর বাইরে অন্য কোন ঔষধ খাওয়ানো যাবে না। আর খাবার হিসেবে সব সময় পুষ্টিকর খাবার খাওয়াতে হবে এবং চেষ্টা করতে হবে যেন সেই খাবারগুলো একেবারে পাতলা হয়। শিশুদের ক্ষেত্রে এ অবস্থাতে খাবারগুলোকে মুখরোচো করার জন্য অবশ্যই বাবা-মাকে ভালো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। যেমন মনে করুন সুখ অত্যন্ত উপকারী একটি খাবার আপনি বিভিন্ন উপকারী জিনিস দিয়ে একটি সুপ তৈরি করতে পারেন যেটাকে খুব মুখরোচক করে তৈরি করতে হবে এবং সন্তানকে তিন বেলা খাওয়াতে হবে।

জ্বর হলে কি খাবার খেতে হবে

বড়দের ক্ষেত্রে জ্বর হওয়ার পরে মুখের রুচি এমনিতেই কমে আসে। জ্বর আসার রোগীদের একটা বক্তব্য আছে সেটা হচ্ছে মুখে কোন রুচি নেই এবং যা খাচ্ছেন তাই কেন জানি না তিতা মনে হচ্ছে। এটা সকলের ক্ষেত্রেই একই হয়ে থাকে এবং বাস্তবে যে জিনিসটা খেতে তিতা মনে হয় সে জিনিসটা কে বা খেতে চাইবে। এই অবস্থা তো অনেকে অতিরিক্ত ঝাল জিনিস খেতে পছন্দ করে তবে বড়দের ক্ষেত্রে ঝাল সহ্য করতে পারলে সেটা খাওয়া যাবে।

তবে আমার মনে হয় অল্প এবং পাতলা খাবার গুলো খেতে যেমন সুপ অথবা নরম ভাত। আপনি চাইলে মুরগির মাংসের সুপ তৈরি করতে পারেন যেটা অত্যন্ত পুষ্টি ভুলে সমৃদ্ধ এছাড়াও আরো পাতলা খাবার তৈরি করতে পারেন । এই অবস্থাতে এমন খাবারগুলো খেতে হবে যাতে আলাদাভাবে তা হজম করতে পাকস্থলীতে বেশি ক্যালরি খরচ করতে না হয় তার কারণ হচ্ছে এমনিতেই জ্বর যখন শরীরে থাকে তখন শারীরিক অবস্থা অনেক দুর্বল থাকে।

জ্বর আসার লক্ষণ

জ্বর হঠাৎ করে আসতে পারে এর লক্ষণগুলো খুব কম বোঝা যায়। এই লক্ষণগুলো যদি কেউ বুঝতে পারে তাহলে খুব কম কয়েকটি লক্ষণ দেখা যায় তার মধ্যে একটি হচ্ছে মাথা ব্যথা করা। অনেকের ক্ষেত্রে পুরো শরীর ব্যথা বা গিরায় গিরায় ব্যথা অনুভূত হয় জ্বর আসা তিন চার ঘন্টা আগে থেকে। যদি এরকম কোন সমস্যা বা লক্ষণ আপনি দেখতে পান এবং আপনার যদি কিডনিতে কোন সমস্যা না থাকে তাহলে আপনি জ্বর আসার পূর্বেই একটি প্যারাসিটামল খেয়ে নিতে পারেন। তবে অবশ্যই ঘন ঘন প্যারাসিটামল খাওয়ার ক্ষেত্রে কিডনির বিষয়টি বিবেচনায় আনতে হবে।