বাঙ্গালীদের কাছে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে তার খাবার। সে যতই কষ্টে থাকুক না কেন তাকে যদি একটু ভাল খাবার দেওয়া হয় সেসব কষ্ট ভুলে যাবে। এই খাবার প্রিয় বাঙ্গালীদের কাছে খাবার অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তবে জীবনের কিছু সময় আছে যে সময়গুলোতে অনেক সতর্ক থাকতে হবে সকলকেই। ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পরেও যারা খাবার নিয়ে চিন্তিত তাদেরকে বলব চিন্তার কোন কারণ নেই আপনারা ভালো খাবার গুলোই বেছে বেছে খেতে পারেন তবে আপনি যদি আলাদাভাবে খাবার তালিকা তৈরি করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে অনেক কিছু জানতে হবে।ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে অবশ্যই ভালো কিছু খাবার খেতে হবে এবং এই খাবার তালিকা আজকে আপনারা আমাদের এখান থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন। কিছু কিছু খাবার আছে যেগুলো একেবারে বর্জন করতে হবে এবং কিছু কিছু খাবার আছে যেগুলো নিয়মিত খেতে হবে।
ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর খাবার তালিকা
ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের নরম ভাত খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে যেহেতু আমরা বাঙালি তাই ভাত খাওয়া আমরা কখনো ছাড়তে পারবো না। তাই নরম ভাত খাওয়ার অভ্যাস আমাদের গড়ে তুলতে হবে এছাড়াও কেমোথেরাপের সময় নরম ভাত হজম হয় সহজে। এছাড়াও ডাক্তাররা নির্দেশ করেন একেবারে ঠান্ডা খাবার খেতে অর্থাৎ যে খাবারে খুব কম পরিমাণ মসলা বা মসলা নেই অথবা তেল নেই এই ধরনের খাবার খেতে বলেন।ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে সবুজ শাকসবজি ও ফলমূল খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। এমনিতেই শারীরিকভাবে অসুস্থ রোগী তারপরেও চিকিৎসাধীন অবস্থায় কেমোথেরাপি অথবা রেডিওথেরাপির কারণে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে এবং শারীরিক দুর্বলতা প্রকাশ পায়। ঠিক তখনই সবুজ শাকসবজি এবং ফলগুলোর মাধ্যমে শরীরে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন এবং মিনারেলস প্রবেশ করাতে হবে এছাড়াও আয়রন হিমোগ্লোবিন এগুলোর অভাব পূরণে সবুজ শাকসবজি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং হিমোগ্লোবিন কমে গেলে বিট রুটের শরবত দেওয়া যেতে পারে।
চিকিৎসাধীন অবস্থা তে রোগীদের প্রচুর পরিমাণে হিমোগ্লোবিনের প্রয়োজন পড়ে তাই কচুর স্বাদ থেকে শুরু করে লাল শাক অথবা ডাটা শাক এছাড়াও লেবুর রস মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে এগুলোর সঙ্গে যা ভিটামিন সি এবং আয়রনের বড় একটি উৎস।ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীরা প্রতিদিন খাবারের সঙ্গে রসুন খেতে পারেন এবং রসুন এর অন্টিঅক্সিডেন্ট তাকে তার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে। এছাড়াও টক শরীর থেকে বিভিন্ন টক্সিন বের করতে এটা অনেক বেশি ভূমিকা পালন করে কেমোথেরাপের সময় রোগীকে বেশি করে পানি পান করার পরামর্শদান চিকিৎসকেরা।
ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে সহজেই হজম করার মতন সুখ অর্থাৎ টমেটো সুপ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের স্যুপ দেওয়া যেতে পারে যাতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে তাকে আনসার ট্রিটমেন্ট করতে সাহায্য করে।এ অবস্থায় চেষ্টা করতে হবে আমি কম খেয়ে নিরামিষ বেশি খেতে তবে প্রোটিনের উৎস বা ঘাটতি পূরণের ক্ষেত্রে আপনি নিরামিষ এর মধ্যে যে শাকসবজি এবং ডালগুলো আছে সেগুলো বেশি বেশি খেতে পারেন।
ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী কি কি খাবেন না
অবশ্যই ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে এমন কিছু খাবার আছে যে খাবারগুলো বর্জন করা উচিত যাতে সে শারীরিকভাবে সুস্থ থাকে। ফ্রিজে রাখা খাবার ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে বর্জন করতে হবে অর্থাৎ ফ্রিজে রাখা খাবার খাওয়া বাদ দিতে হবে।খাদ্য সংরক্ষণে ফরমানের নিষিদ্ধ হয়েছে অনেক আগেই তবে নানা রকম প্রিজারভেটিভ ব্যবহার চলেই আছে চেষ্টা করতে হবে প্রিজারেটিভ যুক্ত খাবার গুলো যাতে একেবারে বর্জন করা হয়। এছাড়াও মুখরোচক খাবার যেমন সিঙ্গারা থেকে শুরু করে সমচা বা অতিরিক্ত মসলা জাতীয় এবং অতিরিক্ত তেল জাতীয় খাবার একেবারে বর্জন করতে হবে। এছাড়াও বারবিকিউ জাতীয় খাবার যেটাতে প্রচুর পরিমাণে ঝাল দেওয়া থাকে এবং যেখানে আগুনে পুড়িয়ে খাবার তৈরি করা হয় এগুলো বর্জন করতে হবে।