আমাদের ছোট ছোট সমস্যার মধ্যে একটি সমস্যা হচ্ছে মুখে ঘা হওয়া। সাধারণত প্রত্যেকেই এই সমস্যা জীবনে একবার হলেও ফেস করেছেন। আরো কারো তো জীবনে এই সমস্যা অনেকবার হয়েছে আবার কারো কারো প্রতি মাসে একবার করে এই সমস্যা হয়। চিকিৎসা করা গবেষণার মাধ্যমে এটা জানতে পারেন যে মুখে ঘা হওয়ার এই সমস্যা সাধারণত একটি ভিটামিন এবং একটি পুষ্টি উপাদানের অভাবে হয়ে থাকে। আমাদের শরীরে যখনই এই ভিটামিন গুলোর ঘাটতি থাকে তখন এই সমস্যা তৈরি হয় আর যখন এগুলো পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে তখন আর কোন সমস্যা হয় না।
গবেষণা থেকে এটা জানা গেছে যে এটা অনেক জটিল একটি কারণ এবং এখানে উল্লেখ করা হয়েছে ভিটামিন বি১২ ও জিংক এর ঘাটতি জনিত কারণে সাধারণত মুখে বারবার ঘা সৃষ্টি হয়। এই দুইটা উপাদানের অভাবে মুখে ঘা হওয়াটা ছোট্ট বিষয় কিন্তু আপনাদের খেয়াল রাখতে হবে যদি এই কারণে বড় কোনো সমস্যা শরীরের না হয়। এগুলো সাধারণত এক ধরনের উপসর্গ যেগুলো বুঝতে পারা আমাদের দায়িত্ব আমরা যদি বুঝতে পারি এবং সঠিক সময়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করি তাহলে আমরা বেশি অসুস্থ হব না।
মুখের ঘা হওয়ার কারণ
অনেকেই মুখে ঘা হওয়ার বিষয়টি কি একেবারে সাধারন ভাবলেও এটাকে সাধারণ ভাবা যাবে না। নির্বাচনে যে বিজ্ঞান কাজ করে সেই সম্পর্কে আপনাদের জানতে হবে এবং মুখের ঘা এর পেছনে যে বিষয়গুলো দায়ী রয়েছে সেগুলো জানার চেষ্টা করব। সাধারণত মুখে ঘা হওয়ার পেছনে কিছু কারণ রয়েছে যে কারণগুলো সম্পর্কে আমরা জানবো এগুলো একেবারেই সাধারণভাবে আরো কিছু বড় রোগের কারণে মুখে ঘা হতে পারে চলুন জানার চেষ্টা করি।
যাদের সাধারণত অতিরিক্ত ঝাল যুক্ত খাবার খাবার অভ্যাস আছে তাদের এই ধরনের সমস্যা তৈরি হয়। খাবার কি অতিরিক্ত ঝাল করার জন্য সেখানে প্রচুর পরিমাণে শুকনো মরিচের ব্যবহার করা হয় এবং সেই শুকনা মরিচে থাকা উপাদানগুলো মুখের ভেতরে নরম অংশগুলোকে নষ্ট করে দেয় তার ফলে সেখানে ঘায়ের তৈরি হয়।
খাবার খেতে গিয়ে হঠাৎ করে অতিরিক্ত গরম খাবার অতিরিক্ত গরম পানিও আমরা যখন খেতে থাকি তখন হঠাৎ করে সেই স্থান পুড়ে যেতে পারে এবং সেখান থেকে ঘা এর সৃষ্টি হতে পারে। এছাড়াও এসিটিক বা অম্লীয় খাবারের কারণেও মুখ পুড়ে গিয়ে ঘা হতে পারে।
মুখে ঘা হওয়ার সাধারণ কারণ ছাড়াও কিছু বড় কারণ আছে যেমন যারা ধূমপান অথবা জর্দা দিয়ে পান খান তাদের ক্ষেত্রে এটা হতে পারে এবং এটা এক ধরনের বড় ইনফেকশন। এছাড়াও গবেষণায় দেখা গেছে যে আলসারের মতন বড় ধরনের রোগের উপসর্গ হিসেবে মুখের ঘা দেখা দিতে পারে।
এছাড়া অনেক রোগীদের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন যেমন মনে করুন ভিটামিন বি১২ ও জিংক এর অভাব এছাড়াও ফলিক এসিড বা আয়রনের অভাবে মুখে ঘা হতে পারে। এছাড়াও রক্তস্বল্পতার প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে মুখে ঘা দেখা দিতে পারে।
মুখের ভিতরে সাদা ঘা হলে করণীয়
সাধারণত মুখের ভেতরে সাদা ঘা যদি দেখা যায় তাহলে আপনাকে ওষুধ খেতে হবে এবং এখানে চেষ্টা করতে হবে ভিটামিন ঔষধ খেতে। অবশ্যই সেখানে যাতে ভিটামিন সি এবং অন্যান্য ভিটামিন গুলো থাকে সেই ওষুধ অবশ্যই আপনাকে খেতে হবে। তবে এইগুলো খাওয়ার পরও যদি সমস্যার সমাধান না হয় তাহলে অবশ্যই আপনাকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে হবে বড় কোন সমস্যা যেমন আলসার অথবা রক্তশূন্যতার কারণে এমন হচ্ছে কিনা। যদি এই ধরনের রোগের কারণে এটা হয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেগুলো ভালো করার চেষ্টা করুন। মুখের ঘা বড় ধরনের সমস্যা না হলেও সেটা নিরাময় যোগ্য এবং নিরাময় করতে হবে।