এক কথায় যদি এ প্রশ্নের উত্তর দিতে চায় তাহলে বলতেই হয় যে মানব শরীরে যে কোন জায়গাতে টিউমার হয়। সাধারণত এই টিউমার আমরা খালি চোখে দেখতে পায় না এটা আমাদের শরীরের অভ্যন্তরেই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হয়ে থাকে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমাদের শরীরের চামড়ার উপরে এই টিউমার দেখা দিতে পারে। চামড়া এবং মাংসের মাঝামাঝি অবস্থানে এই টিউমার গুলো থাকে। এগুলো খুব সহজে বোঝা যায় এবং অপারেশন করা যায় খুব সহজে।
কিন্তু শরীরের অভ্যন্তরে যে টিউমার গুলো রয়েছে সেগুলো সহজে দেখা যায় না এবং এগুলো সহজে অপারেশনও করা যায় না। আমরা কিভাবে জানবো শরীরের বিভিন্ন অংশের টিউমার হয়েছে সে সম্পর্কে নিজে খুব সুন্দরভাবে আলোচনা করা হয়েছে আশা করছি আপনারা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থেকে বিষয়গুলো সম্পর্কে অবগত হতে পারবেন।
মস্তিষ্কে টিউমার
মস্তিষ্কে টিউমারকে আমরা সবথেকে ভালো চিনি ব্রেন টিউমার নামে। এই ব্রেন টিউমার সাধারণত খুব অল্প মানুষের হয় কিন্তু যাদের এই ব্রেন টিউমার হয় তাদের বেঁচে থাকার আশা হারিয়ে যায়। সাধারণত মস্তিষ্কের কোষের dna পরিবর্তনের কারণে নতুন কোষ জন্ম নেওয়ার সময় পুরনো যে কোষগুলো রয়েছে সেগুলো পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন না হয়ে ক্ষতিকারক কোষে রূপান্তরিত হয়েছে সেটা সেখান থেকে বৃদ্ধি পেতে থাকে। যার মাধ্যমে টিউমার তৈরি হয়।
মস্তিষ্ক এতটাই নমনীয় জায়গা যেখানে সহজে অপারেশন করা যায় না তবে যদি সঠিক সময়ে মস্তিষ্কে টিউমার ধরা পড়ে এবং সেটা অপসারণ করা হয় তাহলে অবশ্যই রোগী সুস্থ হতে পারবে। তবে যদি এটা করতে কোন ভুল হয় তাহলে কোন কোন ক্ষেত্রে মস্তিষ্কে টিউমার থেকে ক্যান্সার তৈরি হতে পারে।
জরায়ুতে টিউমার
মেয়েদের বয়সন্ধিকাল থেকেই তাদের জরায়ুতে প্রচুর পরিমাণে চাপ সহ্য করে আসতে হয়। তাই একটা সময়ে এসে এখানে বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশন তৈরি হতে পারে। সবার ক্ষেত্রে এমনটা না হলেও কিছু কিছু নারীর ক্ষেত্রে এই ইনফেকশন হওয়ার ফলে সেখানে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার তৈরি হয় যার কারণে অনেক সময় সেখানে টিউমার তৈরি হতে পারে।
জরায়ুতে টিউমার তৈরি হলে জরায়ুর স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা ব্যাহত হয় যার কারণে অনেক মেয়ে অসুস্থ হতে পারেন। পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে যখন এটা নিশ্চিত হওয়া যায় যে জরায়ুতে টিউমার হয়েছে তখন অবশ্যই এটা অপারেশন করে বের করে ফেলার অনুমতি দেন চিকিৎসক। যার মাধ্যমে পুরোপুরি সুস্থ হওয়া যাবে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে চিকিৎসার অভাবে এখান থেকে ক্যান্সার তৈরি হতে পারে তাই অবশ্যই এ বিষয়গুলো খেয়াল রাখবেন।
মেয়েদের ব্রেস্ট টিউমার
গোটা বিশ্বে মেয়েদের সব থেকে ভয়ানক রোগের নাম হচ্ছে ব্রেস্ট ক্যান্সার। আর এই ব্রেস্ট ক্যান্সারের উৎপন্ন হয়েছে বেস্ট টিউমার থেকে। শরীরের বিভিন্ন সমস্যার কারণে এর প্রভাব পড়তে পারে মেয়েদের ব্রেস্টের ওপর যার কারণে সেখান থেকে টিউমার জন্ম নিতে পারে এবং সেই টিউমার আস্তে আস্তে ক্যান্সার হতে পারে। তার মাথায় সবসময় এটা রাখতে হবে যদি কোন ধরনের ব্রেস্টে সমস্যা দেখা দেয় তাহলে লজ্জা করে বাড়িতে বসে না থাকে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে গিয়ে চিকিৎসা করতে।
পিত্ত থলি টিউমার
সাধারণত পিত্তথলিতে টিউমার এই ঘটনাটি আমরা প্রায় দেখে থাকি। এখানে হঠাৎ করে টিউমার জন্ম নিতে পারে এবং সেই টিউমার অপসারণের জন্য অবশ্যই অপারেশন করাতে হবে। আপনি এই অপারেশন করাতে যতটা দেরি করবেন রোগীর জীবন ততটাই রিক্সে পড়ে যাবে। তার প্রধান কারণ হচ্ছে সাধারণত এই অংশগুলোতে উপর থেকে কোন সমস্যা বোঝা যায় না কিন্তু পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে খুব সূক্ষ্মভাবে এই টিউমারগুলোকে চিহ্নিত করা যায়। এখানে যদি কোন সমস্যা থাকে তাহলে শারীরিক বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে যার কারণে খুব দ্রুত এই টিউমারকে অপসারণ করানো উচিত।