পৃথিবীতে মোট রক্তের গ্রুপ আছে আট ধরনের। আপনি যেই রক্তের গ্রুপের অধিকারী হয়েছেন অবশ্যই সেই রক্ত আপনার জন্য পারফেক্ট। আজকে আমরা আলোচনা করার চেষ্টা করব বাংলাদেশে কোন রক্তের গ্রুপ বেশি এবং কোন রক্তের গ্রুপ কম আছে। এ বিষয়গুলো জানা থাকলে অবশ্যই বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রয়োজনে আপনি এই তথ্যগুলো কাজে লাগাতে পারেন।রক্তের গ্রুপের উপর নির্ভর করে সাধারণত মানুষের বৈশিষ্ট্য প্রভাবিত হয়। আপনি যে রক্তের গ্রুপের অধিকারী আপনার সেই ধরনের বৈশিষ্ট্য হবে। যদি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বলা হয় তাহলে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বি পজেটিভ এবং বি নেগেটিভ গ্রুপের রক্ত সব থেকে বেশি পাওয়া যায়। উপমহাদেশে এই রক্তের পরিমাণ বেশি কিন্তু কেন এটা হয়েছে এবং কি কারনে এটা হয়েছে সেটা এখন পর্যন্ত জানা যায়নি।
যদি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট বলা হয় তাহলে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সব থেকে যেই গ্রুপের রক্ত সব থেকে কম পাওয়া যাবে সেটা হচ্ছে ও নেগেটিভ। আপনার আশেপাশে খুঁজে দেখুন ও নেগেটিভ রক্ত আছে এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। তাই যাদের ও নেগেটিভ রক্ত আছে তাদের বৈশিষ্ট্য একটু আলাদা হয়ে থাকে। ও নেগেটিভ রক্তের মানুষদের সকলেই একটি উপদেশ দেন সেটা হচ্ছে সবসময় সতর্ক হয়ে চলতে যাদের কোন কোন ধরনের এক্সিডেন্ট না হয়। এটা বলার মূল কারণ হচ্ছে যখন অ্যাক্সিডেন্ট হবে তখন ও নেগেটিভ রক্ত লাগলে সেটা ম্যানেজ করা সম্ভব হবে না।
বাংলাদেশে কোন রক্তের গ্রুপ সবথেকে বেশি
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে প্রায় সকল ধরনের রক্তের গ্রুপের মানুষ পাওয়া যাবে। পাশাপাশি এমন কিছু রক্তের গ্রুপ আছে যেগুলো একেবারেই রেয়ার যেমন ও নেগেটিভ। তবে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যদি বলা হয় তাহলে সব থেকে বেশি যে রক্তের গ্রুপের মানুষ বেশি পাওয়া যাবে সেটা হচ্ছে বি পজেটিভ এবং বি নেগেটিভ। বি পজেটিভ রক্তের গ্রুপে মানুষের সংখ্যা সব থেকে বেশি।এটা কেন হয়েছে? কেউ এখন পর্যন্ত বলতে পারেনি তবে অবশ্যই যে কোন ধরনের রক্তকে সমান গুরুত্ব দেওয়া উচিত। বিভিন্ন ধরনের রক্তের গ্রুপের মানুষের বৈশিষ্ট্য বিভিন্ন হওয়ার পরেও তারা সমান গুরুত্ব বহন করে দেশের জন্য।
কোন রক্তের গ্রুপের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি
যদি এমন প্রশ্ন কেউ করে থাকে যে কোন রক্তের গ্রুপের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি তাহলে আমি বলব রক্তের গ্রুপের উপর নির্ভর করেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সৃষ্টি হয় না। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরো বহু জিনিসের উপর নির্ভর করে তৈরি হয় তাই আপনি যদি এই ধারণা নিয়ে চলতে থাকেন রক্তের গ্রুপের কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি হয় তাহলে সেটা ভুল ধারণা। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সবার প্রথমে নির্ভর করবে আপনার শারীরিক গঠনের ওপর এবং এরপরে নির্ভর করবে আপনার শরীরের অভ্যন্তরের বিভিন্ন অঙ্গের সুস্থতার উপর।রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য আপনি কি খাবার খাচ্ছেন এর পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য আপনি কেমন পরিশ্রম করছেন সেটাও নির্ভর করবে। তাই শুধুমাত্র যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নির্ভর করবে রক্তের গ্রুপের উপর এবং কোন রক্তের গ্রুপে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি হয় এটা একেবারেই ভুল ধারণা।
সহজে পাওয়া যায় না এমন রক্তের গ্রুপ
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যদি বলতে হয় সহজে পাওয়া যায় না এমন রক্তের গ্রুপ হচ্ছে ও নেগেটিভ। আমরা সকলে অবগত আছি যে পৃথিবীতে নেগেটিভ রক্তের গ্রুপের মানুষের সংখ্যা এমনিতেই কম এবং বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এসে সেটা ও নেগেটিভ রক্তের গ্রুপ হয়ে দাঁড়ায়। আশেপাশে খুঁজতে গেলে খুবই কম সংখ্যক ও নেগেটিভ রক্তের গ্রুপের মানুষকে পাওয়া যায় এবং আরেকটি বিশেষ সমস্যা হচ্ছে এই মানুষগুলো একেবারেই রোগা পাতলা এবং শুকনো হয়ে থাকে। রক্তের প্রয়োজন পড়লে রক্ত ম্যানেজ করা সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়।