কোন খাদ্যে প্রোটিন বেশি

প্রোটিন মানব শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। আপনারা যদি সঠিকভাবে প্রোটিন যুক্ত খাবার খেতে চান তাহলে অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে কোন কোন খাবারে প্রোটিন আছে। আপনারা যখন নিজে থেকে জানতে পারবেন এই খাবারগুলোতে প্রোটিন আছে তখন চেষ্টা করবেন পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে নিয়মিত এই খাবার গুলো।

প্রতিদিন অন্তত ৪৬ থেকে ৬৩ গ্রামের মধ্যে প্রোটিন খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। এর পাশাপাশি যারা মহিলারা আছেন তারা ৬৫ গ্রাম পর্যন্ত প্রোটিন খেতে পারেন। তবে যারা অতিরিক্ত পরিশ্রম করেন যেমন ক্রীড়াবি দ এদের মতন মানুষের ক্ষেত্রে প্রোটিন অতিরিক্ত খাওয়া যাবে। প্রোটিন আছে এমন বেশ কয়েকটি খাদ্য তালিকা আমাদের কাছে আছে যে খাদ্য তালিকা থেকে আপনাদের আমরা কিছু তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করব।

কোন খাবারে প্রোটিন আছে

চিংড়ি মাছ প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন যুক্ত খাবার। পাশে ক্যালসিয়ামের পাশাপাশি ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম এবং সোডিয়াম এর মত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে এবং আমরা বলতে পারি যে ইংলিশে ২৪ গ্রাম প্রোটিন আছে। এছাড়াও ফ্যাট আছে ০.৩ গ্রাম। এটা প্রোটিনের অনেক বড় একটি উৎসব তবে কিছু কিছু রোগীর ক্ষেত্রে চিংড়ি মাছ না খাওয়াই ভালো।শুধুমাত্র যে আমি জাতীয় খাবারে প্রোটিন আছে এটা একেবারেই ভুল ধারণা আপনারা চাইলে শাকসবজির মাঝেও প্রোটিনের উৎস খুঁজে পেতে পারেন। ফুলকপি অন্যতম একটি প্রিয় শাকসবজি বাংলাদেশের মানুষের কাছে এবং এই ফুলকপিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন যেখানে এক কাপ কাটা ফুলকপিতে ২৭ ক্যালরি এবং দুই গ্রাম প্রোটিন থাকে।

এছাড়াও প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করতে বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষের সব সময় পছন্দের খাবার হচ্ছে ডিম। তাহলে বাঙ্গালীদের চলেই না আর ডিমের মাধ্যমে বাঙালির প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন সংগ্রহ করে।আরেকটি পরিচিত খাবার যেটা আমাদের কাছে সবথেকে প্রিয় আর সেটা হচ্ছে গরুর মাংস। গরুর মাংসের প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন আছে তবে সকলের ক্ষেত্রে বেশি বেশি গরুর মাংস খাবার ঠিক হবে না এটা পরিমিত পরিমাণে খাওয়ার সব থেকে ভালো।

প্রোটিন জাতীয় খাবারের তালিকা

প্রোটিন জাতীয় খাদ্য তালিকায় রয়েছে ওটস। ১০০ গ্রাম ওটস প্রায় 17 গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায় যেটা সত্যি অকল্পনীয়। তাই প্রতিদিনের প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেট এর চাহিদা পূরণ করার জন্য এই জাতীয় খাবার আপনি খেতে পারেন।সামুদ্রিক মাছগুলো আমাদের কাছে অপরিচিত হলেও অনেক সামুদ্রিক মাছ আমাদের কাছে পরিচিত যেমন টুনা মাছ। পুনাম আছে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক প্রোটিন আছে তাই আপনি যদি নিজের খাদ্য তালিকায় টুনা মাছ রাখতে পারেন তাহলে সেটা আপনার জন্য অনেক ভালো ব্যাপার।

পেয়ারা নিত্যদিনের সংগি আমরা প্রত্যেকে পেয়ারা খেতে অনেক ভালোবাসি। প্রতিদিন অবসর সময়ে সময় কাটানোর জন্য নিরামিষ হিসেবে এবং প্রোটিন ফাইবার হিসেবে আমরা পেয়ারা খাই যেটা আমাদের হৃদপিণ্ড ও হাড়ের স্বাস্থ্য কে ভালো রাখতে আমাদের সাহায্য করে।বাদাম খেতে পছন্দ করেন না এমন মানুষ পাওয়া যাবে না। বাদাম কাঁচা হোক বা ভাজা হোক চিনা বাদাম হোক বা কাঠবাদাম হোক যে কোন বাদামি আপনি খান না কেন প্রত্যেকটি বাদামে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি এবং প্রোটিন পাওয়া যায়।

কোন প্রাণীর মাংসে প্রোটিন বেশি

দুধ জাতীয় খাবারগুলোতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন। তাই যারা প্রাণীর মাংসের পাশাপাশি থেকে প্রোটিন সংগ্রহ করতে চাচ্ছেন তারা দুধ জাতীয় খাবার খেতে পারেন।এছাড়াও মসুর ডাল বা এই ডাল জাতীয় খাবারগুলোতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন পাওয়া যায়। চিকিৎসাবিদেরা মাঝেমধ্যে মাংসের পরিবর্তে এই ডাল জাতীয় খাবার গুলো প্রোটিনের উৎস হিসেবে বেছে নিতে বলেন অনেক রোগীকে।সয়াবিন প্রোটিনের অনেক বড় একটি উৎস এর পাশাপাশি চিয়া বীজ প্রোটিনের অনেক ঘাটতি পূরণ করতে পারে। মুরগির বুকের বাক্স হতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এছাড়াও টার্কি মুরগিতে রয়েছে প্রোটিনের বড় উৎস।