হেপাটাইটিস ভাইরাস প্রত্যেকটি ভাইরাস অত্যন্ত সাংঘাতিক আমাদের জন্য। কেউ চাইবে না যে কোন এক ধরনের ভাইরাসে আক্রান্ত হতে সকলের চাইবে এই ভাইরাস থেকে মুক্ত থাকতে। যেকোনো একটি ভাইরাসে আক্রান্ত হলেই সেটা আপনার মৃত্যুর ঝুঁকি বয়ে আনতে পারে তাই অবশ্যই আমরা চাইবো সকলেই এই ভাইরাসকে দূরে রাখতে আমাদের কাছ থেকে। আজকে আমরা একটু জানার চেষ্টা করবো সাধারণত যে কয় ধরনের হেপাটাইটিস ভাইরাস আছে তার মধ্যে সবথেকে মারাত্মক হেপাটাইটিস ভাইরাস কোনটি।
এ বিষয়গুলো আমরা যদি জানতে পারি তাহলে অবশ্যই সে সম্পর্কে আমাদের সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে এবং আমরা আস্তে আস্তে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে আমাদের পরিবারকে জানাতে পারব যা আমাদের এই হেপাটাইটিস প্রতিরোধে সাহায্য করবে। যদি এক কথায় উত্তর দিতে হয় কোন হেপাটাইটিস ভাইরাস সবথেকে সাংঘাতিক হলে সে উত্তর আমরা বলবো হেপাটাইটিস বি হচ্ছে সবথেকে সাংঘাতিক ভাইরাসের মধ্যে একটি। তার কারণ হিসাবে আমরা বলতে পারি যে সারা বিশ্বে ২০০ কোটির বেশি মানুষ হেপাটাইটিস বি ভারসেসে আক্রান্ত ও 40 কোটি বেশির মানুষ এই রোগে জীবাণু অজান্তে বহন করে চলেছেন।
সাধারণত এই সমস্যাটি এতটাই সাংঘাতিক যে যেকোনো সময় এটা আমাদের বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে এবং কি ক্ষতি করতে পারে সে সম্পর্কে আমরা আপনাদের জানাবো। তার আগে আপনাদের আরেকবার স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে রাখি যে হেপাটাইটিসের মধ্যে সবথেকে সাংঘাতিক ভাইরাস হচ্ছে হেপাটাইটিস বি ভাইরাস।
হেপাটাইটিস বি রোগে আক্রান্ত হলে কি হয়
হেপাটাইটিস বিভাইরাস সাধারণত এমন একটি ভাইরাস যে ভাইরাসের রোগ প্রায় 40 কোটি মানুষ তার নিজের মধ্যে বহন করছেন কিন্তু তিনি নিজেই জানেন না তার এই সমস্যা আছে। এই অবস্থাতে সাধারণত এই রোগ যেকোনো সময় বৃদ্ধি পেলে সেই রোগীর মৃত্যু হতে পারে তাই চলুন জানার চেষ্টা করি এই রোগ সম্পর্কে। সাধারণত ভাইরাস শরীরের ঘাম অথবা লালা এছাড়াও বীর্য সহ বিভিন্ন দেহ নিঃসৃত তরলের মাধ্যমে একই স্থান থেকে অন্য স্থানে ছড়ায় বা এক দেহে থেকে অন্য দেহে প্রবেশ করে। এই ভাইরাস পরীক্ষা করার জন্য রক্তে অবস্থিত অ্যান্টিবডি থেকে এই ভাইরাসের উপস্থিতি খোঁজার চেষ্টা করা হয় যেখানে এই টেস্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনাদের আগেই অবগত করেছি যে এই হেপাটাইটিস বি অন্যান্য ভাইরাস এর থেকে সবথেকে বড় ভাইরাস এবং এটার যে ক্ষতিগুলো রয়েছে সেটা এখন আমরা আপনাদের জানাবো।
সাধারণত জন্ডিস হয়ে থাকে হেপাটাইটিস বি ভাইরাসের জন্য এর পাশাপাশি গাড়ো রঙের প্রস্রাব ও হালকা রঙের মল ত্যাগ এছাড়াও ক্লান্তি এ ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। হেপাটাইটিস বি ভাইরাসে রোগীদের ক্ষেত্রে পেটে অত্যাধিক ব্যথা এবং ক্ষুধা মন্দার সৃষ্টি হতে পারে এবং বমি বমি ভাব ও ডায়রিয়া জ্বরে আক্রান্ত হতে পারেন এই ধরনের।এগুলো ছিল একেবারেই স্বাভাবিক অবস্থা যেখানে এই সমস্যাগুলো হতে পারে কিন্তু এ সমস্যাগুলোর কারণে বড় ধরনের রোগ হবে সেটা আপনাদের জানাচ্ছি ।
এই হেপাটাইটিস বি ভারতের আক্রমণের কারণে আমাদের লিভার পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। সাধারণত হেপাটাইটিস বি রোগে আক্রান্ত হলে সেটা সরাসরি লিভারকে সংক্রমিত করে এবং আস্তে আস্তে লিভারকে অকেজ করে ফেলে। লিভার সিরোসিস নামের রোগ সম্পর্কে আমরা সকলে অবগত আছি আক্রান্ত হলে রোগীর লিভার সিরোসিস নামক এই রোগ হতে পারে। সব মিলিয়ে এটা অত্যন্ত জরুরি যে হেপাটাইটিস বি ভাড়া সম্পর্কে সচেতনতা আমাদের বৃদ্ধি করতে হবে এবং এই ভাইরাসের ভ্যাকসিন যত দ্রুত সম্ভব আমাদের প্রত্যেককে গ্রহণ করতে হবে।
হেপাটাইটিস বি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং প্রত্যেককে হেপাটাইটিস বি ভাইরাসের ভ্যাকসিন প্রদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ। এ অবস্থাতে অবশ্যই আপনাকে এই জিনিসটা নিশ্চিত করতে হবে নিজের প্রতি এবং নিজের পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের প্রতি। হেপাটাইটিস বি অত্যন্ত সাংঘাতিক একটি ভাই রাস্তায় এই ভাইরাস প্রতিরোধে আমরা প্রত্যেকে সচেতন থাকবো।