প্রস্রাবের সাথে সাদা তরল বিভিন্ন জিনিস নির্দেশ করতে পারে। সাধারণত প্রস্রাবের স্লেস্যা পাতলা এবং ধরনের মত এবং এটির পরিমাণে পরিবর্তিত হতেও পারে এই ক্ষেত্রে সাধারণত পরিষ্কার ও সাদা বা অফ হোয়াইট কালারের হতে পারে। সাধারণত বিভিন্ন ধরনের সমস্যার কারণে এটা তৈরি হতে পারে।। তবে এই বিষয়ে বিস্তার জানার প্রয়োজন রয়েছে কার ক্ষেত্রে কি হতে পারে সেটা বলা যাবে না তবে অবশ্যই আমাদের এখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আপনাদের জন্য নিয়ে আসা হলো।
অনেক সময় দেখা যায় যে পুরুষদের ক্ষেত্রে প্রস্রাবের সময় এরকম সমস্যা হয় সে ক্ষেত্রে এই সমস্যা কেন হচ্ছে সে সমস্যাগুলো ততো গুরুতর বা অত্যন্ত বড় ধরনের সমস্যা কিনা সে সম্পর্কে জানতে হবে। সাধারণত এগুলো জানার বিষয় এগুলোকে গোপন করে রেখে কোন লাভ নেই আপনি যত জানবেন আপনার জন্য এগুলো ততটাই উপকারী প্রমাণিত হবে। আশা করছি আপনারা এগুলো জানার চেষ্টায় আছেন এবং আমাদের আর্টিকেল থেকে সেগুলো জানার চেষ্টা করবেন।
প্রসাবের সাথে বীর্য বের হয় কেন
সাধারণত প্রস্রাবের সাথে বীর্য বের হয় এটা একেবারে ভুল ধারণা। কখনো কখনো এটা হতে পারে তবে আপনি যদি একটু খেয়াল করেন তাহলে সেটা আপনার ভুলের কারণেই হয়েছে। এটা সাধারণত এমন একটি প্রক্রিয়া যে প্রক্রিয়াতে কোনভাবে ই প্রস্রাবের সঙ্গে এটা বেরিয়ে আসতে পারেনা। সাধারণত পুরুষের ক্ষেত্রে দৈহিক মিলনের পরে যদি সঙ্গে সঙ্গে সে প্রস্রাব করতে যায় তাহলে সেখানে এই ঘটনাটি ঘটতে পারে।
আপনারা যদি সঠিকভাবে জিনিসটা খেয়াল করেন তাহলে দেখবেন প্রস্রাবের যে অংশ আছে সেই অংশের সঙ্গে বীর্য বের হওয়ার যে অংশ প্রায় একই অবস্থানে থাকে তাই যদি মিলনের সঙ্গে সঙ্গে আপনি টয়লেট করতে চান তাহলে সেখানে অবশ্যই এই সমস্যা তৈরি হতে পারে। এছাড়াও বড় কোনো কারণে সাধারণত এই সমস্যা হয় না বলে ধারণা করা হয়।
প্রসাবের সঙ্গে সুগার বের হলে করণীয়
সাধারণত স্বাভাবিক প্রক্রিয়াতে আমরা যদি সুস্থ অবস্থায় থাকে তাহলে প্রস্রাবের সঙ্গে সুগার বের হবে না। কিন্তু যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের এই সমস্যা দেখা যায় আর এই সমস্যার কারণে তাদের অনেক বেশি কষ্ট করতে হয়। আমরা যে খাবারগুলো খেয়ে থাকি সেই খাবারের মধ্যে শর্করা জাতীয় যে খাবার আছে সেগুলো পাকস্থলীতে যাওয়ার পরে সেখান থেকে চিনি উৎপাদন করে এবং সেই চিনি আমাদের রক্তে প্রবেশ করে রক্তের মাধ্যমে গোটা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে।
ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত চিনি রক্তে থাকে যার কারণে সেটা শরীরের বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করার পরে আবার চর্বিতে রূপান্তর হয় এরপরেও অনেকটা চিনি বেঁচে যায় যেগুলো রক্তের সঙ্গে আস্তে আস্তে কিডনিতে প্রবেশ করে। কিডনি তখন এখানে বাধা দেয় এবং বাধা দেওয়ার কারণে সেই কিডনি চিনি শোষণ করতে থাকে এবং সেই সিনিকে আবার প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে বের করে দেয়।
এই অবস্থাতে যাদের অতিরিক্ত ডায়াবেটিস হয় তাদের পোস্টটা পরীক্ষা করলে সেখানে চিনি পাওয়া যায় যেটাকে গ্লুকোজ বলা হয়ে থাকে। এটার পরিমাণ অতি সামান্য তাই মাইক্রোস্কোপ এর মাধ্যমে এটাকে দেখতে হয় খালি চোখে এটা দেখার সম্ভব নয়। তবে এটা মোটেও কোনো ভালো দিক নাই তাই এ বিষয়ে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে।
ফোঁটায় ফোটায় প্রস্রাব কেন হয়
সাধারণত বয়স্ক মানুষের খেতে ফোঁটায় ফোটায় প্রস্রাব হওয়ার সমস্যা দেখা দেয় এবং এর জন্য দায়ী আছে প্রোস্টেট এর সমস্যা।সাধারণত যারা প্রোস্টেটের সমস্যায় ভুগছেন তাদের ক্ষেত্রে ফোটায় ফোটায় প্রস্তাব পড়া অত্যন্ত বড় সমস্যা এবং মুরুব্বিদের জন্য এটা আরও বড় ধরনের সমস্যা। এ সমস্যার সমাধান করার জন্য অবশ্যই আপনাকে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করতে হবে এবং একজন ইউরোলজিস্ট চিকিৎসকের কাছে গিয়ে প্রোস্টেটের সমস্যার সমাধানে চিকিৎসা করতে হবে।