টিউমার হওয়ার বেশ কয়েকটি কারণ আছে। টিউমার হওয়ার কারণ জানতে হলে আপনাকে আগে এটা নিশ্চিত হতে হবে কোন টিউমার হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের টিউমার বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে তাই আজকের এই আর্টিকেল থেকে আমরা জানার চেষ্টা করব সাধারণত কেন টিউমার হয় এবং তার প্রতিকার গুলো কি কি। আমরা সকলে অবগত আছি যে টিউমার গুলোর মধ্যে মস্তিষ্কের টিউমার অত্যন্ত সাংঘাতিক একটি সমস্যা এটা এমন একটি জায়গা যেখানে সহজেই অস্ত্রপাচার করা যায় না।
মস্তিষ্কের মাংসের অথবা কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়াকে মূলত বলা হয়ে থাকে টিউমার। সাধারণত হঠাৎ করে যদি এখানে কোন ধরনের আঘাত হয় অথবা যদি অতিরিক্ত চাপের কারণে মস্তিষ্কের মাংসের রক্তক্ষরণ হয় সেখান থেকে টিউমার তৈরি হতে পারে। সাধারণত ব্রেন টিউমার তখনই হয় যখন মস্তিষ্কের স্বাভাবিক কোষগুলির ডিএনএ পরিবর্তন হয় এবং সেখানে ত্রুটি থাকে। সাধারণত মস্তিষ্কের কোষগুলো বিভক্ত হয়ে যায় এবং মরে যায় কিন্তু পরবর্তীতে আবার নতুন কোন কোষের সৃষ্টি হয়। এক্ষেত্রে পুরাতন কোর্সগুলো সম্পূর্ণ বিনষ্ট না হলে সেখান থেকে টিউমারের সৃষ্টি হতে পারে। অনেকের ক্ষেত্রে বংশগত কারণেও টিউমার তৈরি হতে পারে।
কি খেলে টিউমার ভালো হয়
সাধারণত টিউমার হওয়ার পরে অনেকেই অনেক ধরনের পরিকল্পনা করে টিউমার ভালো করার জন্য। তবে আপনি যতই পরিকল্পনা করেন না কেন আপনি যদি সঠিক চিকিৎসা না করেন তাহলে প্রতিদিন বাড়তে থাকবে। তাই অবশ্যই আপনাকে সঠিক পরিকল্পনা করতে হবে এবং আপনি যদি সঠিক পরিকল্পনা করেন এবং সেই অনুযায়ী চিকিৎসা চালাতে থাকেন তাহলে টিউমার আর বেড়ে উঠতে পারবে না এবং আস্তে আস্তে সেটাকে অপসারণ করতে হবে।
টিউমারের ঔষধের থেকে কার্যকরী উপায় হচ্ছে অপ্রসারণের মাধ্যমে সেটাকে একেবারে নিশ্চিহ্ন করা। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অপারেশন করাতে হবে টিউমারের এবং সেটা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করতে হবে যদি আপনি এটা না করতে পারেন তাহলে সে টিউমার আস্তে আস্তে বড় হবে এবং যেখানে ক্যান্সারের ভাইরাস থাকতে পারে। মাথায় রাখবেন টিউমার যদি আপনি শরীরে পুরুষে রাখতে চান তাহলে সেটা ক্যান্সারের রূপান্তর হতে পারে তাই সবসময় চেষ্টা করবেন টিউমার যাতে আপনার শরীরে বেশিদিন না থাকে।
মেয়েদের জরায়ুতে টিউমার কেন হয়
মেয়েদের জ্বালাতে টিউমার কেন হয় এরকম প্রশ্ন অনেকে করে থাকেন। আমরা সকলে অবগত আছি যে মেয়েদের শরীরের উপর দিয়ে প্রচুর পরিমাণে চাপ দেয় সেই চাপের অধিকাংশই সহ্য করতে হয় জরায়ুকে। বয়সন্ধিকাল থেকে প্রতি মাসেই তাদের ঋতুর চাপ হয় এবং এর পাশাপাশি সন্তান প্রসব হওয়া থেকে শুরু করে আরো অন্যান্য অনেক কিছুই সহ্য করতে হয় এই জরায়ুকে। হতে পারে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারণবশত এই জরায়ু কিছু জীবাণু প্রবেশ করে যার কারণে সেখানে ইনফেকশন তৈরি হতে পারে।
ইনফেকশনের কারণে সেখানে ক্যান্সার হয় বিষয়টি এমন নয় অনেক সময় জরায়ুর মাংস কোষের ডিএনএ পরিবর্তনের কারনে অনেক সময় এই জ্বর হতে টিউমার হতে পারে এবং সেই টিউমার থেকেও মূলত ক্যান্সার ছড়াতে পারে। জীবনের একটি পর্যায়ে যাওয়ার পরে যদি মেয়েদের যারা ও শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয় তাহলে সেখানে তার একমাত্র কারণ হতে পারে জরায়ু ইনফেকশন। এটা করা প্রয়োজন রয়েছে তার কারণ হচ্ছে এই ইনফেকশন থেকে ক্যান্সার হতে পারে তাই যাদের জরায়ুতে।প্রচুর পরিমাণে ইনফেকশন আছে তারা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অপারেশন করুন।
টিউমারের চিকিৎসা
টিউমারের চিকিৎসার জন্য সবার প্রথমে যে পদ্ধতি ব্যবহার করা হতো সেটা হচ্ছে ঔষধ। কিন্তু ঔষধের মাধ্যমে টিউমারকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না এটা প্রতিদিন বৃদ্ধি পেতে থাকে যখন এটা আস্তে আস্তে মরণঘাতী হতে পারে। টিউমারের চিকিৎসায় সবথেকে কার্যকরী পদ্ধতি হচ্ছে অপারেশন। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব টিউমারকে শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করতে হবে তাহলেই আপনি পুরোপুরি সুস্থ হতে পারবেন।