প্রস্রাবের ইনফেকশন হওয়ার বেশ কয়েকটি কারণ আছে। কারণ আছে একেবারে স্বাভাবিক আবার কিছু কারণ আছে একেবারেই অস্বাভাবিক। তবে নিশ্চিত ভাবে প্রসবের ইনফেকশনের কারণ জানতে হলে কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে হয় যেটার মাধ্যমে খুব সহজেই প্রসবের ইনফেকশন কেন হয়েছে সেটা বোঝা যায়। আজকে আমরা আপনাদের জানাবো প্রস্তাবে ইনফেকশন হওয়ার সব কয়টি কারণ যাতে করে আপনারা এই কারণগুলো সম্পর্কে আগে থেকে ধারণা রাখেন এবং নিজে যদি কোন সমস্যা হয় তাহলে সমাধান করতে সহজ হয়।
সবার প্রথমে প্রস্রাবের ইনফেকশন হওয়ার যে সাধারণ কারণ আছে সেটা সম্পর্কে বলি। প্রসাবের ইনফেকশন হওয়ার সাধারণ একটি কারণ হচ্ছে স্বভাবগত কারণ অর্থাৎ যারা প্রচন্ড রোদেও খুব কম পরিমাণ পানি পান করে এবং যাদের প্রস্রাব ধরে রাখার অভ্যাস আছে তাদের ক্ষেত্রে প্রস্তাবের ইনফেকশন হওয়ার স্বাভাবিক ব্যাপার। যারা পানি কম খায় তাদের ক্ষেত্রে প্রস্তাবের ইনফেকশন হয় তারা যদি সঠিক পরিমাণে পানি খায় তাহলে সে ইনফেকশন আর হবে না।
এছাড়াও যাবে প্রস্তাব ধরে রাখা অভ্যাস আছে যেমন মনে করুন প্রস্রাব চেপেছে দুই ঘণ্টা আগে কিন্তু নানা ব্যস্ততার কারণে সে প্রস্রাব করেনি দুই ঘন্টা পরে প্রস্তাব করছে এই অভ্যাস যার আছে তার প্রসব আটকে থাকে এবং সেখানে থাকা অবস্থায় বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশন তৈরি করে।
প্রসাবে ইনফেকশন হওয়ার গুরুতর কারণ
প্রসাবে ইনফেকশন হওয়ার গুরুত্বপূর্ণ কিছু কারণ এর মধ্যে একটি হচ্ছে কিডনির রোগ। আমরা সকলে অবগত আছি যে কিডনি রোগ অত্যন্ত সাংঘাতিক রোগ এবং শুধুমাত্র কিডনির রোগ এক ধরনের হয় না এটা আছে অনেক ধরনের। যেমন মনে করুন কিডনি ফুলে ওঠা অনেকের ক্ষেত্রে কিডনিতে পাথর এবং কিডনির নালী শুকিয়ে যাওয়া এই ধরনের বিভিন্ন সমস্যা তৈরি হয়। সমস্যা যাই হোক না কেন এই সমস্যাগুলোর প্রাথমিক যে লক্ষণ দেখা যায় সেটা হচ্ছে প্রস্রাবে ইনফেকশন। তাই আমরা ধরে নিতে পারি প্রস্রাবের ইনফেকশন এর একটি কারণ হচ্ছে কিডনি রোগ। কিডনি রোগ যদি প্রসাবের ইনফেকশনের কারণ হয় তাহলে অবশ্যই কিডনি রোগের চিকিৎসা করা উচিত এই ক্ষেত্রে কোন ধরনের দেরি করা যাবে না।
প্রস্রাবের ইনফেকশনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হচ্ছে জন্ডিস। এছাড়াও গর্ভবতী অবস্থায় প্রসবের ইনফেকশন হতে পারে। সাধারণত জন্ডিস অবস্থাতে প্রসবের রং পরিবর্তন হয় এবং রোগীর শরীরের পানি সর্পতা দেখা দেয় এই অবস্থাতে প্রসবের ইনফেকশন হওয়া স্বাভাবিক ব্যাপার। এছাড়াও যারা গর্ভবতী আছেন তাদের ক্ষেত্রে একটি বিষয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সেটা হচ্ছে গর্ভবতী অবস্থাতে যদি প্রসবের কোন সমস্যা দেখা দেয় সেটা একেবারেই স্বাভাবিক। এটা নিয়ে ভয় পাওয়ার কারণ নেই তার কারণ হচ্ছে এটা একেবারেই স্বাভাবিক ব্যাপার এটা এমনিতেই ঠিক হয়ে যায়।
প্রসাবের ইনফেকশনের চিকিৎসা
কোন একটি জিনিস হলে অবশ্যই তার পেছনে কারণ থাকে। আমরা যদি সেই জিনিসটা সমাধান করতে চাই তাহলে সেই জিনিসটার পেছনে না খুঁজে সেটা যে কারণে হয়েছে তার কারণের পেছনে ছুটলেই মনে হয় তাড়াতাড়ি সমাধান হয়। প্রসবের ইনফেকশন ঠিক করার আগে আমাদের খোঁজ নিতে হবে প্রসাবের ইনফেকশন কেন হয়েছে। আমরা যদি সঠিক কারো নির্বাচন করতে পারি তাহলে আমাদের সেই সঠিক কারণের সমাধান করতে হবে তাহলে প্রসাবের ইনফেকশন এমনিতেই ভালো হয়ে যাবে।
প্রসাবের ইনফেকশন এমনিতে ভালো করতে হলে অবশ্যই আপনাকে এর কারণগুলোর সমাধান করতে হবে যেমন মনে করুন যাদের কিডনি রোগের কারণে প্রস্রাবের ইনফেকশন হয়েছে তাদের কিডনি রোগের চিকিৎসা করাতে হবে। যাদের পানি কম খাওয়ার কারণে প্রস্রাবের ইনফেকশন হয়েছে তাদের বেশি বেশি পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খেতে হবে যাতে পুনরায় এটা না হয়। গর্ভবতী মায়েদের ক্ষেত্রে প্রস্রাবের ইনফেকশন হওয়া স্বাভাবিক ব্যাপার এটা কিছুদিন গেলে এমনিতেই স্বাভাবিক হয়ে যায়।