শরীরের মধ্যে বিভিন্ন কারণে ব্লাড ক্যান্সার হতে পারে তবে এই কারণগুলো জানা অত্যন্ত জরুরিভাবে। আমরা বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করেছি এবং সেই তথ্যগুলো সংগ্রহ করার পরে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছে গেছে। এ তথ্য অনুযায়ী সাধারণত ব্লাড ক্যান্সার যে কারণগুলোতে হয় সে কারণগুলোর কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ আমরা এখানে জানাবো। আশা করছি আপনারা এই কারণগুলো জানার পরে নিজে থেকে সতর্ক হবেন ব্লাড ক্যান্সার সম্পর্কে তার কারণ হচ্ছে এটা অত্যন্ত জরুরি বিষয় আগে থেকেই প্রতিরোধ গড়ে তোলা।
ব্লাড ক্যান্সারের ক্ষেত্রে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বলতা হতে পারে অন্যতম কারণ। সাধারণত যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের মধ্যে ব্লাড ক্যান্সার রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এই অবস্থাতে অবশ্যই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যাতে ঠিক থাকে সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে এর জন্য আপনাকে অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণে ব্যবস্থা যেমন খাবার গ্রহণ ওষুধ খেতে হবে।
যেকোনো ধরনের রক্তের ইনফেকশন থেকে ব্লাড ক্যান্সারের জন্ম নিতে পারে। সাধারণত রক্তের ইনফেকশন যদি অবহেলা করা হয় এবং দীর্ঘদিন ধরে যদি সেটা থেকে যায় তাহলে সেখান থেকে ক্যান্সারের সংক্রমণ হতে পারে।
রেডিয়েশন থেরাপির পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কারণে ও মূলত ব্লাড ক্যান্সার হতে পারে।সাধারণত ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য রেডিয়েশন থেরাপি করা হয় কিন্তু কখনো কখনো এই থেরাপি ব্যর্থ হয় এর কারণ ব্লাড ক্যান্সার সহ অনেক মারাত্মক রোগ হতে পারে।
জেনেটিক কারণে অনেক সময় ব্লাড ক্যান্সার হতে পারে। সাধারণত কারো পরিবারে যদি ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার রোগীর সদস্য থাকে তাহলে অবশ্যই এর পরিবারের অন্য কেউ অসুস্থ হলে যদি উপসর্গ থাকে অবশ্যই ব্লাড ক্যান্সারের পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া উচিত।
ব্লাড ক্যান্সারের আরেকটি কারণ হচ্ছে ধূমপান। এটা খুব আস্তে আস্তে একজন মানুষকে নিঃশেষ করে দেয় এবং এর কারণে মানুষের শারীরিক অবস্থার এতটাই অবনতি হয় যে ব্লাড ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে।
ব্লাড ক্যান্সার হলে কি হয়
ব্লাড ক্যান্সার হলে সাধারণত একজন রোগীর শারীরিক দুর্বলতা বৃদ্ধি পায়। তার রক্তশূন্যতা দেখা যায় এবং রক্তশূন্যতা এতটাই প্রকোপ আকার ধারণ করে যে সেই রোগী কোন ধরনের কাজ করতে পারে না। সে শুধু শুয়ে বসে দিন কাটায় এবং তার পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়ে যায় যে শুয়ে বসে বসে ঠিক ঠাক ভাবে খাবার খেতে পারে না অভাবে সেই রোগীর ওজন কমতে শুরু করে। আস্তে আস্তে রোগের শরীরের ওজন কমতে শুরু করে এবং রক্ত কমতে শুরু করে এবং রোগীর চেহারা ফ্যাকাসে হয়ে যায়। প্রচন্ড জ্বর আসে এবং সেটা ঘন ঘন আসে এবং অনেক রোগীদের ক্ষেত্রে সামান্য হাঁটাচলাতেও প্রচুর পরিমাণে শ্বাসকষ্ট তৈরি হয়।
ব্লাড ক্যান্সারের পরীক্ষা
ব্লাড ক্যান্সারের কারণে অবশ্যই কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা-নিরীক্ষা আছে যে পরীক্ষাগুলো করাতে পারলে ব্লাড ক্যান্সার সহজে ধরা যাবে। অবশ্যই এর আগে কিছু উপসর্গ আছে যে উপসর্গগুলোকে আপনাকে খুঁজতে হবে এই উপসর্গ যদি একজন রোগীর শরীরে থাকে তাহলে অবশ্যই ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে গিয়ে কোন পরীক্ষা করাতে হবে সেগুলো সম্পর্কে জেনে নিন। এই পরীক্ষাগুলো কয়েকটি ধাপে হয়ে থাকে নিচে আমরা আপনাদের এই পরীক্ষাগুলোর নাম জানালাম।
ব্লাড ক্যান্সার নির্ণয় করার পদ্ধতি
সাধারণত ক্যান্সার নির্ণয়ের ক্ষেত্রে কয়েকটি পরীক্ষা করা হয় এবং যেই প্রথাগুলো করা হয় সেগুলোর মধ্যে প্রথম হচ্ছে রক্ত পরীক্ষা। কিছু রেডিওলজিক্যাল পরীক্ষা করা হয় এবং তার মধ্যে সিটি স্ক্যান এবং পিইটি স্ক্যান এবং এক্স-রে পরীক্ষা করানো হয়ে থাকে। এর পাশাপাশি রোগীকে কিছু শারীরিক পরীক্ষা এবং রোগীর অস্থিমজ্জার পরীক্ষাও করানো হয়ে থাকে। নিম্ফ নোড নির্ণয় করানো হয়ে থাকে। এই পরীক্ষাগুলোর মাধ্যমে সাধারণত ক্যান্সার শনাক্ত করা হয়। পরীক্ষাগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ক্যান্সার রোগীদের ক্ষেত্রে।