পিঠের বাম পাশে ব্যথা কেন হয়

পিঠের বাম পাশে ব্যথার বেশ কয়েকটি কারণ আছে। আমরা এখানে প্রত্যেকটি কারণ নিয়ে আলোচনা করব। পিঠের বাম পাশে যদি ব্যাথা হয় তাহলে সেটা কেন হবে এবং তার প্রতিকার কি হতে পারে বা চিকিৎসা কি হতে পারে সে সম্পর্কে আমাদের আজকের আর্টিকেল আপনাদের সঠিক দিক নির্দেশনা দেবে।পিঠের বাম পাশের ব্যথার একটি কমন কারণ হচ্ছে গ্যাস। বর্তমান যুগে আমরা খাবারের সঙ্গে যে পরিমাণ ভেজাল খাবার খাচ্ছি এবং আমাদের অভ্যাসগত কারণে আমরা যে পরিমাণ তৈলাক্ত ও চর্বিযুক্ত খাবার খাচ্ছি সেখান থেকে প্রচুর পরিমাণে গ্যাস উৎপাদন হচ্ছে আমাদের শরীরে। এই গ্যাস গুলো এতটাই খারাপ জিনিস যে এটা আমাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে প্রবেশ করতে পারে এবং সেখানে অবস্থান করে ব্যথার সৃষ্টি করতে পারে। আমি জীবনে এমন অনেক মানুষকে দেখেছি যারা পিঠের ব্যথা নিয়ে চিকিৎসকের কাছে গেছেন এবং বিভিন্ন পরীক্ষার নিরীক্ষার মাধ্যমে যখন কিছুই পাওয়া যায়নি তখন সামান্য গ্যাসের চিকিৎসাতেই সে সুস্থ হয়েছে।

পিঠের বাম পাশে ব্যাথা হওয়ার যে বড় কারণগুলো রয়েছে সেগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে কিডনির সমস্যা। পিঠের বাম পাশে নিচের দিকে যদি কোন ব্যথা হয় তাহলে অবশ্যই সেটা কিডনির সমস্যার কারণে হতে পারে। তবে কিডনির ব্যথার জন্য শুধুমাত্র এই একটি উপসর্গ যথেষ্ট নয় এর সঙ্গে আরও কিছু উপসর্গ একসঙ্গে মিলিয়ে তারপরে নিশ্চিত হওয়া যাবে কিডনির কারণে কিনা প্রয়োজন করলে চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে হবে।পিঠের বাম দিকে সাধারণত বুকের উপরের দিকে যদি ব্যথা হয় তাহলে সেটা হৃদরোগের কারণেও হতে পারে। যদি এই ধরনের কোন সন্দেহ মনে জাগে তাহলে অবশ্যই দেরি করা যাবে না চেষ্টা করতে হবে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের কাছে গিয়ে পরামর্শ নিতে। এর জন্য অবশ্যই বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যায় কোন সমস্যার কারণে বুকের এই ব্যথা হচ্ছে।

বিভিন্ন আঘাত জনিত কারণে পিঠের বাম পাশে ব্যাথা হতে পারে। হঠাৎ করে পিঠের বাম পাশে ব্যথা হলে তার দুই থেকে তিনদিন পরে সে ব্যথা জেগে ওঠে। অনেকে বিষয়টি মনে করতে পারে না অযথা দুশ্চিন্তা করে কিন্তু যখন মনে পড়ে কোন একটি কারনে পিঠের বাম পাশে এই ব্যথা হয়েছে তখন সে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারে।

পিঠের বাম পাশে ব্যথার চিকিৎসা

বাম পাশে ব্যাথা হলে অবশ্যই সবার প্রথমে আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে কেন ব্যথা হচ্ছে। দুই এক দিন ব্যথা হওয়ার স্বাভাবিক ব্যাপার যদি নিয়মিত এই ব্যথা হতে থাকে এবং সেটা যদি সহ্য করা সম্ভব না হয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পরে চিকিৎসকের কাছে আপনার সমস্যাগুলো খুলে বলতে হবে অবশ্যই তিনি আপনাকে কিছু পরীক্ষা দেবেন যার মাধ্যমে নিশ্চিত ভাবে বলা যাবে কি সমস্যা হয়েছে। সমস্যা চিহ্নিত করার পরে মূলত চিকিৎসা শুরু হয় আপনাকে আগে জানতে হবে সঠিক কি রোগ হয়েছে তারপরে রোগ হয়েছে চিকিৎসা দেবেন চিকিৎস।

সাধারণত যদি গ্যাসের জন্য সমস্যা হয় তাহলে একেবারেই সহজ কিছু ঔষধের মাধ্যমে সুস্থ হতে পারবেনকিডনির সমস্যার কারণে যদি পিঠের ব্যথা হয় অথবা হৃদরোগের কারণে যদি পিঠের এই ব্যাথা হয় তাহলে অবশ্যই সেখানে দরকার আছে। সমস্যাগুলো অত্যন্ত জোটের সমস্যা এবং সারা জীবন সঙ্গে থেকে যায় তাই আপনাকে চেষ্টা করতে হবে অত্যন্ত নিয়মের মধ্যে জীবন যাপন করতে যাতে এই সমস্যাগুলো এমনিতেই নিয়ন্ত্রণে থাকে।এছাড়াও আঘাত জনিত কারণে যদি পিছে পেছনের দিকে ব্যথা হয় তাহলে সেটাতে কিছুদিন অপেক্ষা করার মাধ্যমে সেই ব্যাটা থেকে পুরোপুরি সুস্থ হওয়া যাবে। এ ছিল আমাদের আজকের আর্টিকেল আশা করছে এখান থেকে আপনারা অল্প করে হলেও অনেক তথ্য সংগ্রহ করতে পেরেছেন।