টিউমার কেন হয় এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার আগে আপনাকে খুঁজতে হবে টিউমার সাধারণত কি। ইতিমধ্যে আমরা সকলেই হয়তো জানি টিউমার হচ্ছে আমাদের শরীরের অভ্যন্তরে বেড়ে ওঠা অনিয়ন্ত্রিত কোষের সমষ্টি। সাধারণত মানব শরীলের মাংস কোচগুলো একটি সময় অতিক্রম করার পরে মৃত্যুবরণ করে বা নষ্ট হয়ে যায় এবং পুনরায় নতুন কোষ উৎপন্ন হয়। কিন্তু এই প্রক্রিয়া চলাকালীন সময়ে মানব কোষের ডিএনএর কিছু পরিবর্তন বা সমস্যার কারণে সঠিকভাবে প্রক্রিয়াটি সম্পাদন হয় না।
এই অবস্থাতে যখন কিছু কোষ মারা যায় তখন সেগুলো পুরোপুরি মারা না গিয়ে খারাপ ভাইরাস বহনকারী কোষে রূপান্তর হয়। এবং তারা সেখান থেকে পুনরায় বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। এবং এগুলো ভালো কোষের থেকে আলাদা ভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং নিজের অবস্থানকে শক্ত করে। এইভাবে একটি কোষ থেকে আস্তে আস্তে সেটা একটি মাংসপিন্ডের রূপান্তরিত হয় যাকে আমরা টিউমার হিসেবে চিনি।
সাধারণত মানব শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের টিউমার হতে পারে তবে এই টিউমার হওয়ার বিভিন্ন কারণ রয়েছে। কিছু কিছু কারণ রয়েছে একেবারে সাধারণ আবার কিছু কিছু কারণ রয়েছে একেবারে জটিল। তবে সবসময় মাথায় এটা রাখতে হবে যে যদি টিউমার ধরা পড়ে তাহলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব টিউমারকে শরীর থেকে কেটে ফেলতে হবে অপারেশনের মাধ্যমে।
সাধারণত আমাদের শরীরে যে টিউমার গুলো বেড়ে ওঠে সেগুলোর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমাদের নিজের দোষের কারণে হয়। আমরা প্রাথমিক পর্যায়ে যেকোনো ধরনের সমস্যাকে অবহেলা করে যেটা টিউমার হওয়ার অন্যতম লক্ষণ। পেটের টিউমার অত্যন্ত সাংঘাতিক একটি ব্যাপার তার কারণ হচ্ছে পেটে টিউমার হলে সাধারণত পাচন প্রক্রিয়া সবার আগে ব্যাহত হয় যার কারণে আমাদের শরীর সব দিক দিয়ে দুর্বল হতে শুরু করে।
পেটে টিউমারের প্রাথমিক লক্ষণ
প্রাথমিক লক্ষণ গুলোর মধ্যে বুক জ্বলা ও পেটের উপরের অংশে ব্যথা হচ্ছে অন্যতম লক্ষণ। এই দুইটি লক্ষণ যদি একই সঙ্গে দেখা যায় তাহলে অবশ্যই সন্দেহজনক ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায় তবে এর পাশাপাশি অনেকের ক্ষেত্রে বমি হওয়া বা ক্ষুধামন্দা তৈরি হতে পারে। এছাড়াও অনেকের ক্ষেত্রে লক্ষ্য করা যায় যে হঠাৎ করে ওজন কমে যাওয়া বা জন্ডিস এছাড়াও খাবার কিনতে কষ্ট হওয়া ও পায়খানার সঙ্গে কালো রক্ত যাওয়ার মত সমস্যা দেখা দেয়।
তবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে এই উপসর্গগুলো যদি আলাদা আলাদা ভাবে দেখা যায় তাহলে সেগুলো অন্য কোন রোগের উপসর্গ হতে পারে তবে যদি সবগুলো একই সঙ্গে দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই এটা সন্দেহজনক এবং এর জন্য টিউমার পরীক্ষা করানো উচিত। প্রাথমিক পর্যায়ে লক্ষণগুলো চিহ্নিত করা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার তার কারণ হচ্ছে এটা যদি প্রাথমিক পর্যায়ে চিহ্নিত করা না হয় তাহলে লাস্ট স্টেজে গিয়ে টিউমার চিহ্নিত করে কোন লাভ হয় না তখন টিউমার ক্যান্সারের রূপান্তরিত হয়।
পেটে টিউমার হলে করণীয়
পেটে টিউমারে করণীয় হচ্ছে চিকিৎসা নেওয়া। প্রাথমিক পর্যায়ে টিউমার ধরা পড়লে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হতে হবে সেটা টিউমার অবস্থাতে আছে না ক্যান্সারের রূপান্তরিত হয়েছে। এজন্য বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা যেমন বায়োপসি টেস্ট সিটি স্ক্যান এবং রক্তের বিভিন্ন পরীক্ষা করানো হয়। সব পরীক্ষার রেজাল্ট আসার পরে যদি দেখা যায় শুধুমাত্র টিউমার তাহলে অপারেশনের মাধ্যমে সেটাকে শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করতে হবে কোনভাবে কোন অবহেলা বা দেরি করা যাবে না।
পেটে টিউমার এর অপারেশন খরচ
পেটে টিউমার হলে অপারেশন করতে কত টাকা খরচ হবে এটা অনেকের জানার প্রয়োজন রয়েছে। সাধারণত সরকারি হাসপাতালে যদি পেটের টিউমার অপারেশন করানো হয় তাহলে খুব বেশি খরচ হয় না শুধুমাত্র যে উপকরণগুলো সেখানে লাগে সেই উপকরণগুলো কিনে দিতে হয় রোগী কে। বেসরকারি হাসপাতালে টিউমার অপারেশনের খরচ ২০০০০ টাকা থেকে ৬০০০০ টাকার মত হতে পারে এটা বিভিন্ন অঞ্চল ভেদে এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বেদে আলাদা।