হার্টের পরীক্ষায় ecg অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পরীক্ষা। তবে অনেকেই জানেন না এই ইসিজি করার সঠিক কারণ এবং ইসিজি করার ফলে কি কি রোগ শনাক্ত করা যায় সেই সম্পর্কে। ইসিজি সাধারণত একটি এমন পরীক্ষা যার মাধ্যমে হার্টের বিভিন্ন অবস্থা নির্ণয় করা যায়। এর পূর্ণ নাম হচ্ছে ইলেকট্রন কার্ডিওগ্রাম। এখন বিষয় হচ্ছে মেডিকেল টেস্টের মাধ্যমে ইসিজি করে কি রোগ নির্ণয় করা যায় এবং সেটার প্রয়োজনীয়তা কি এটা অনেকে জানতে চান।
বিভিন্ন ধরনের রোগী যখন বুকে ব্যথা এবং বুকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা নিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে চান তখন সবার আগে চিকিৎসক তাকে ইসিজি করতে বলেন। ইসিজি করার পরে ইসিজি রিপোর্ট দেখে চিকিৎসা করা তার চিকিৎসা প্রদান করে তবে রিপোর্ট কেমন হতে চলেছে বা এর রিপোর্টের ফলে কি কি রোগ ধরা পড়লো এ সম্পর্কে অনেকেই অনেক তথ্য জানতে চান। মূলত সহজ ভাষায় বলতে গেলে হার্টের সার্বিক অবস্থান নির্ণয় করা যায় এই ইসিজির কারণে। নির্ণয় না করা গেলেও এটা নির্ণয় করা যাবে যে হার্টের সমস্যা আছে কিনা।
ইসিজি কিভাবে করা হয়
ইসিজি কিভাবে করা হয় এটা অনেকেই জানেনা আবার অনেকেই সরাসরি ইসিজি করতে দেখেছে তাই তাদের মধ্যে সাহস জন্ম নিয়েছে। ইসিজি এমন একটি টেস্ট যেটা রোগীকে সরাসরি উপস্থিত হওয়ার মাধ্যমে করানো হয় এবং রোগীর দুই হাতে ও দুই পায়ে এবং বুকের উপরে বেশ কয়েকটি সেন্সর যুক্ত করা হয় যার মাধ্যমে রোগের শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করা হয়। ছেলে এবং মেয়ে উহার ক্ষেত্রে ইসিজি করা যাবে এবং ইসিজি করার সময় অবশ্যই রোগীকে একেবারে শান্ত অবস্থায় থাকতে হবে।
বিশেষির মাধ্যমে হার্ট রেট এবং হার্টবিট দেখা যায় যার কারণে বিশেষ সময় ইসিজির মাধ্যমে রোগীর বিভিন্ন ধরনের সমস্যা নির্ণয় করা যায়। হার্টের কোন সমস্যা হয়েছে কিনা তার প্রাথমিক এবং প্রথম টেস্ট হচ্ছে ই সি জি এর মাধ্যমে হার্টের সমস্যা আছে কিনা সেটা জানা যায় এবং প্রয়োজন পড়লে পরবর্তীতে বড় টেস্ট করা হয়। তাই অনেক সহজলভ্য হলেও ইসিজি টেস্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আর আমরা চেষ্টা করব যাতে রোগী সিজি টেস্ট সঠিকভাবে হয় সেদিকে ভালোভাবে নজর রাখতে।
ইজি করার খরচ
মধ্যবিত্ত পরিবারের সবার প্রথমে চিন্তা হয় খরচ নিয়ে সেটা হোক কেনাকাটার বেলায় আবার সেটা হোক চিকিৎসার বেলায়। খরচ সম্পর্কে ধারণা না করে মধ্যবিত্ত পরিবারের কোনো সন্তান কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ইসিজি ইমারজেন্সি সিচুয়েশনে করা হয় তাই আগে থেকে জানা উচিত এই ইসিজি করতে কত টাকা খরচ হতে পারে এই সম্পর্কে। আপনাদের জানিয়ে রাখি ecg আপনি যদি সরকারি হাসপাতালগুলোতে করেন তাহলে ইমারজেন্সি সময় আপনাকে একেবারে ফ্রিতে এসিজি করানো হবে তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ১০০ টাকার মতো খরচ হতে পারে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে আপনি যদি ইসিজি করানোর জন্য যান তাহলে আপনার খরচ হতে পারে ৩০০ টাকা থেকে 500 টাকার মত। একজন চিকিৎসক কখনোই চাইবে না রোগীর খারাপ কিছু তাই চিকিৎসক যদি ইসিজি করাতে বলে তাহলে অবশ্যই রোগীকে বসে না থেকে ইসিজি করিয়ে নেওয়া উচিত।
ইসিজি রিপোর্ট বোঝার উপায়
ইসিজি রিপোর্ট সম্পর্কে অনেকের অনেক ধরনের কৌতুহল আছে। তবে নিজ অভিজ্ঞতা থেকে বলছি ইসিজি রিপোর্ট বুঝতে পারাটা অনেক কঠিন ব্যাপার। আমরা যারা সাধারণ মানুষ আছি তারা তো এই ইসিজি রিপোর্ট বুঝতেই পারবো না যারা mbbs চিকিৎসক আছেন তাদের মধ্যেও অনেকে রয়েছে যারা সঠিকভাবে ইসিজে রিপোর্ট করতে পারে না তার কারণ হচ্ছে রিপোর্ট অনেক জটিল একটি রিপোর্ট। আর একটা বিষয় হচ্ছে যে এটা যেহেতু হার্টের বিভিন্ন সমস্যা নিশ্চিত করে তাই অনেকে রিক্স নিতে চান না তাই চেষ্টা করে বড় কোন অভিজ্ঞ ডাক্তারের মাধ্যমে এই ইসিজি রিপোর্ট পড়াতে যাতে করে কোন ভুল না হয়।