ইকো টেস্ট কেন করা হয়

হার্টের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি টেস্ট এর নাম হচ্ছে ইকো। যার সম্পূর্ণ নাম হচ্ছে ইকোকার্ডিওগ্রাফি। আপনারা যারা এই ইকো কার্ডিওগ্রাফি সম্পর্কে অনেক তথ্য সংগ্রহ করতে চান তাদেরকে বলব আপনার আমাদের এখান থেকে অবশ্যই ভালো কিছু তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন যেটা ইকো কার্ডিওগ্রাফি সম্পর্কে আপনাদের ধারণা পরিবর্তন করতে পারে। একজন রোগীকে ইকো কার্ডিওগ্রাফি করার অনুমতি চিকিৎসকেরা কেন দিচ্ছেন এরকম প্রশ্ন অনেকেই জানতে চান। সাধারণত একজন চিকিৎসক সেই সকল রোগীদেরকে ইকো কার্যগ্রাফি করার অনুমতি দেন যে সকল রোগীদের ধারণা করা হয় বিভিন্ন ধরনের হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন।

হৃদরোগের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের হৃদ রোগ থাকতে পারে তবে সঠিকভাবে কোন হৃদরোগ হয়েছে সেটা যাচার জন্যই মূলত ইকো কার্ডিওগ্রাফি করা হয়ে থাকে। আপনারা যারা এই ধরনের জটিল সমস্যায় ভুগছেন বা আপনাদের যাদের রোগী এই ধরনের জটিল সমস্যায় ভুগছে তাদের জন্যই মূলত ইকো কার্ডিওগ্রাফি করা হয়ে থাকে। এইখানে যারা জানতে চাচ্ছেন ইকো কার্ডিওগ্রাফি কেন করা হয় তাদের জন্য কথা হচ্ছে যে, ইকো কার্ডিওগ্রাফি করা হয় হার্টের বিভিন্ন সমস্যার জন্য।

ইকো টেস্ট করার প্রস্তুতি

ইকো টেস্ট করার কি প্রস্তুতির প্রয়োজন রয়েছে এরকম প্রশ্ন অনেকেই করেন। ইকো টেস্ট করার জন্য কোন প্রস্তুতির প্রয়োজন নেই একেবারে সহজ ভাষাতে বলছি। ইকো টেস্ট করার জন্য সবার প্রথমে আপনাকে মানসিক প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে এবং সবথেকে বড় ব্যাপার হলো সেই মানসিক প্রস্তুতি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই রোগীগুলো প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে থাকে তাই তারা বৃদ্ধ অবস্থাতে যদি বড় কোন টেস্টের কথা শোনে এমনিতেই ভয় পায় অর্থাৎ মৃত্যুর ভয় পায়। এ ভয় থেকে নিজেকে দূরে থাকতে হবে অর্থাৎ আপনার হার্ট যতো নিয়ন্ত্রণে থাকে সে বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে।

আপনার হার্ট পরীক্ষার টেস্টে আপনি যদি আগে থেকেই দুশ্চিন্তা করেন এবং ভেঙে পড়েন তাহলে টেস্টের মান এমনিতেই খারাপ হবে এবং রিপোর্ট খারাপ হবে। তাই খেয়াল করবেন যাতে কোন ভাবেই ইকো কার্ডিওগ্রাম করার সময় কোন ধরনের সমস্যা না হয়। তাই ইকো আলাদা কোন প্রস্তুতি নেই অবশ্যই আপনাকে এমন একটি প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে যেখানে সঠিকভাবে আপনি পরীক্ষা করাতে পারেন।

ইকো টেস্ট কিভাবে করে

ইকো টেস্ট কিভাবে করে এ প্রশ্নের উত্তরে বলতে হয় যে সাধারণত এটা এমন একটি টেস্ট যেখানে ব্যবহার করা হয় উচ্চ কম্পাঙ্কের শব্দ তরঙ্গ বা আল্ট্রাস সাউন্ড। এই আল্টাস সাউন্ড ব্যবহার করে প্রতিধ্বনি সৃষ্টি করা হয় যার মাধ্যমে হৃদপেশীর বিভিন্ন সঞ্চালন এবং সংকোচন এর উপর নির্ভর করে এবং প্রকোষ্ঠের বর্তমান অবস্থা ইত্যাদি বিবেচনায় এনে একটি পরীক্ষার মান দেওয়া হয় যেখানে বিভিন্ন ধরনের জিনিস মাথায় রাখতে হয়। এর মধ্যে রয়েছে হৃদপেশীর সঞ্চালন এবং ভাল ও প্রকোষ্ঠের বর্তমান অবস্থা। এছাড়াও রয়েছে হৃদপিন্ডের সংকোচন ও সম্প্রসারণ এর মাধ্যমে রক্ত প্রবাহ পর্যবেক্ষণের একটি পরীক্ষা।

সব মিলিয়ে মূলত এই টেস্ট এই ভাবেই করা হয় যার মাধ্যমে একজন রোগীর হার্টের অবস্থা কেমন আছে সেটা নির্বাচন করা হয়।। এই আর্টিকেল থেকে আমরা আরো জানার চেষ্টা করব এই টেস্ট সম্পর্কে এবং আমরা এটাও জানার চেষ্টা করবো এই টেস্ট একজন রোগীর পক্ষে কতটা গুরুত্বপূর্ণ। আশা করছি শেষ পর্যন্ত আপনারা আমাদের সঙ্গে থাকবেন এবং জানার চেষ্টা করবেন।

ইকো টেস্ট করার খরচ বাংলাদেশ

বিভিন্ন সরকারে এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে আপনি যদি ইকো টেস্ট করাতে চান তাহলে কি পরিমান খরচ হবে সেটা জানতে পারবেন এখন। আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি সরকারি প্রতিষ্ঠানে আপনার খরচ হতে পারে ২০০০ টাকা থেকে ৩০০০ টাকার মত। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে আপনার খরচ হতে পারে ৩০০০ টাকা থেকে 6000 টাকার মত। যেহেতু এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পরীক্ষা তাই সবসময় চিন্তা করবেন কেন পরীক্ষা মান ভালো হয় টাকার দিকে না তাকিয়ে ।