রক্তের যে সকল প্যাথলজিক্যাল টেস্ট আছে প্রত্যেকটি টেস্টে রয়েছে আলাদা আলাদা কারণ এবং আলাদা আলাদা গুরুত্ব। আমরা যদি এগুলো বুঝতে না পারি অযথাই এই টেস্টগুলোর সম্পর্কে ভুলভাল কমেন্ট করি তাহলে সেটা শুধুমাত্র সমস্যার তৈরি করতে পারে সেখান থেকে কোন সমাধান আমরা খুঁজে পাবো না। ৮৬ টেস্ট সাধারণত এমন একটি টেস্ট যেটাকে বলা হয়ে থাকে ক্রিয়ে ক্রিয়েটিভ প্রোটিন। সাধারণত লিভার দ্বারা উৎপাদিত একটি পদার্থ যা প্রদাহ এর সৃষ্টি হলে প্রতিটি হিসেবে বের হয় এরকম একটি উপাদান চেক করা হয় এই টেস্টের মাধ্যমে যেটা রক্তে খুজে পাওয়া যায়।
এখন যদি কেউ প্রশ্ন করে থাকেন সিআরপি টেস্ট কেন করা হয় তাহলে সেই প্রশ্নের উত্তরে আমরা বলতে পারি আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের প্রদাহ খুঁজে বের করতেই এবং প্রদাহের অবস্থান বা পরিস্থিতি কেমন সেটা নির্ধারণ করতে মূলত সিআরপি টেস্ট করা হয়ে থাকে। আমরা কিছু রোগের কথা উল্লেখ করব যে রোগগুলোর জন্য সাধারণত এই সিআরপি পরীক্ষা করানো হয় এবং চিকিৎসকেরা এই কারণে মূলত এই পরীক্ষার রেফার্ড করে থাকেন।
সিআরপি টেস্ট কেন করে
বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ যেমন ব্যাকটেরিয়া-জনিত সংক্রমণ বা ভাইরাস সত্তারজন্ত্র সংক্রমনের মাত্রা সিআরপিকে বাড়াতে পারে এবং এই অবস্থাতে নিউমোনিয়া বা মূত্রনালী সংক্রমণ বা সেফটিসের মতো অবস্থার পরিস্থিতি বোঝার জন্য সিআরপি টেস্ট করানো হতে পারে। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের প্রদাহ বা টিস্যুর ইঞ্জরি পরীক্ষা করার জন্য সিআরপি টেস্ট করানো হয়। অনেক রোগীর ক্ষেত্রে কার্ডিওভাসকুলার রোগ এবং অটো ইমিউন ডিসঅর্ডার এর সমস্যা চিহ্নিত করার জন্য মূলত সিআরপি টেস্ট করানো হয়। সাধারণত এই সমস্যা যখন বৃদ্ধি পায় তখন রক্তের সিআরপি এর পরিমাণ বেড়ে যায়। রক্তের সিআরপি পরীক্ষার মাধ্যমে এটা নিশ্চিত হলে সাধারণত এই রোগগুলোর অবস্থান সম্পর্কে বোঝা যায় যেটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসার জন্য।
সাধারণ ভাষায় সিআরপি সাধারণত আমরা করে থাকি বিভিন্ন ধরনের প্রদাহ যেমন বিভিন্ন ধরনের ব্যথা বা আর্থাইটিস রোগ সনাক্ত করার জন্য। যাদের দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ব্যথার সমস্যা আছে যেমন গোড়ায় ব্যথা অথবা শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যথা তাদের ক্ষেত্রে সাধারণত এই প্রদাহ জনিত সমস্যা নির্ধারণের জন্য সিআরপি পরীক্ষা করানো হয়ে থাকে।
সিআরপি টেস্ট কিভাবে করে
সিআরপি পরীক্ষা সাধারণত রক্তের মাধ্যমে করা হয়ে থাকে এখানে আপনাকে আলাদাভাবে কোন চাপ নিতে হবে না। এই পরীক্ষা করার জন্য সাধারণত ৩ সিসি মিনিমাম রক্ত গ্রহণ করতে হবে। এই অবস্থাতে রোগীকে যে কোন মুহূর্তে এই রক্ত প্রদান করাতে হতে পারে । সাধারণত এই রক্ত ব্যবহার করে ল্যাবে পরীক্ষা করা হয় সিআরপি। এই উপাদান পাকস্থলীতে উৎপন্ন হয় এবং সেটা রক্তে ছড়িয়ে পড়ে। যদি অত্যাধিক মাত্রায় এই পরীক্ষার মান পাওয়া যায় তাহলে সেটা অত্যন্ত গুরুতর ব্যাপার এবং তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে এক্ষেত্রে।
সিআরপি টেস্টের খরচ
খরচের বিষয় টাই বারবার আমাদের সামনে চলে আসে তার কারণ হচ্ছে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ই চিকিৎসার খরচ আমাদের অনেক চাপে ফেলে দেয়। সাধারণত চিকিৎসা এমন একটি ব্যবস্থা যেখানে আমাদের অসহায় আত্মসমর্পণ করতে হয়। একজন ব্যক্তির প্রচুর টাকা পয়সা আছে এটা থাকা সত্ত্বেও তার এমন একটি রোগ হয়েছে যেখানে প্রচুর অর্থ খরচ করতে হচ্ছে দেখা যাবে যে সেই ব্যক্তি খুব অল্প সময়ের মধ্যেই একেবারেই সম্পত্তিহীন লোকদের কাতারে চলে যেতে পারে।
তবে এখানে আমরা সাধারণ একটি রোগের কথা বলছি এটাতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই আপনারা যদি সিআরপি পরীক্ষা করাতে চান তাহলে মাথায় রাখতে হবে আপনার খরচ হতে পারে ৫০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা। এই 500 টাকা বা ৬০০ টাকা খরচ করার ফলে আপনি যে বড় ধরনের রোগ নির্ণয় করতে পারবেন সেটা আপনার কাছে সত্যিই ই অনেক বড় একটি উপকারী জিনিস হতে পারে।