আমাদের শরীরের মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ হচ্ছে হার্ট। এটা এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে এটা বন্ধ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মানুষ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে পারে। সেই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যদি দুর্বল হতে শুরু করে তাহলে যে সমস্যার সৃষ্টি হয় সে সমস্যাগুলো সাধারণত কিভাবে বোঝা যাবে সেগুলো সম্পর্কে আজকে জানার চেষ্টা করব। সাধারণত কিছু সমস্যা এবং কিছু জিনিসের মাধ্যমে এটা বোঝা যায় যে হার্ট দুর্বল হতে শুরু করেছে এবং এটা বোঝার শুরুতেই যদি এটাকে প্রতিরোধ করতে পারি আমরা তাহলে সেটা সবথেকে ভালো।
সঠিক জীবন যাপনে হাটকে সুস্থ রাখা যায় তাই আমরা সকলেই চেষ্টা করব এই সচেতনতা বৃদ্ধি করতে নিজের পরিবার এবং সমাজের মধ্যে। আমরা যদি সঠিকভাবে এই সচেতনতা বৃদ্ধি করতে পারি তাহলে অবশ্যই আমরা হার্টকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারব। এটা আমাদের জন্য সত্যিই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্যাপার তাই অবশ্যই আমাদের এই বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে। আজকের এই আর্টিকেল থেকে আমরা হার্ট দুর্বল হওয়ার কি বিভিন্ন কারণ এবং বিভিন্ন সমাধান বা লক্ষণ সম্পর্কে আলোচনা করব।
প্রথমে যে কারণগুলো আমরা চিহ্নিত করতে পারি হার্ট দুর্বল হওয়ার পেছনে সেই কারণগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে দুশ্চিন্তা করা এবং দীর্ঘ সময় ধরে এই দুশ্চিন্তা আপনার হার্টকে দুর্বল করে দিতে পারে। ধুমপান করা এবং মদ পান করা আপনার হার্টকে দুর্বল করে দেওয়ার পেছনে বড় একটি কারণ। এছাড়াও এসে জীবনযাপন সে যেখানে খাওয়া-দাওয়ার কোন নিয়ন্ত্রণ নেই এবং শারীরিক পরিশ্রমের কোন সুযোগ নেই এই ধরনের জীবন যাপন হার্টকে দুর্বল করতে পারে।
এছাড়া বড় কোন রোগ যেমন ডায়াবেটিস অথবা কিডনির রোগ অথবা যাদের পারিবারিক হৃদরোগের ইতিহাস আছে তাদের ক্ষেত্রে হার্টের সমস্যা হওয়া একেবারে স্বাভাবিক ব্যাপার এবং কোন ঔষধের দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার হওয়ার কারণে হাট দুর্বল হতে পারে এটা একেবারে স্বাভাবিক ব্যাপার। তাই এই বিষয়গুলো আমাদের ফলো করা উচিত এবং আমাদের এই বিষয়গুলো সম্পর্কে প্রতিরোধ গড়ে তোলা উচিত আগে থেকেই যা আমাদের হার্ডকে দুর্বল করতে পারবে না।
হার্ট দুর্বল হওয়ার লক্ষণ
সাধারণত যে লক্ষণ গুলোর মাধ্যমে বোঝা যায় হার্ট দুর্বল হয়েছে সে লক্ষণগুলোর মধ্যে একটি লক্ষণ হচ্ছে বুকে ব্যথা হওয়া এবং নির্দিষ্ট ধরনের ব্যথা এবং নির্দিষ্ট সময় ধরে এই ব্যথা হওয়া। হট দুর্বল হওয়ার যে ব্যথা আছে সেটা বুকের মাঝখানে হাড়ের পেছনে অনুভূত হয়। অনেক সময় শরীর ঘেরে ওঠে এবং ব্যথা অনেক ক্ষেত্রে হাতের বাই হাতের ভেতরের দিকেও হতে পারে। এছাড়াও হাঁটাহাঁটি করলে এবং সিঁড়িতে ওঠা নামা করলে এই সমস্যা তৈরি হতে পারে।
হার্ট দুর্বল হলে কি খাওয়া উচিত
সাধারণত এই ক্ষেত্রে খাবারের দিকে খুব একটা গুরুত্ব দেওয়ার থেকে আপনি নিয়মের দিকে বেশি গুরুত্ব দিতে পারেন। আর দুর্বল হয়ে গেলে সুস্থ স্বাভাবিক জীবন যাপনের জন্য যে খাবারগুলো প্রয়োজন এবং আপনার শরীরের অবস্থা এবং অন্যান্য অসুখ-বিসুখের বিবেচনায় যে খাবারগুলো প্রয়োজন সেই খাবারগুলো খেলেই যথেষ্ট। এখানে শুধুমাত্র হার্ড দুর্বল হওয়ার জন্য আলাদা কোন খাবার তালিকা আপনাকে তৈরি করতে হবে না এটা ভুল ধারণা।
কিভাবে হৃদযন্ত্রকে ভালো রাখবেন
আপনি যদি আপনার শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ অর্থাৎ হার্ট যেটাকে বাংলা ভাষায় রীতিতে যন্ত্র বলা হয় সেটাকে ভালো রাখতে চান তাহলে যে কাজগুলো করতে পারেন সেটা হচ্ছে একটি নিয়মের মধ্যে জীবন যাপন করা। ধূমপান এবং অ্যালকোহল সম্পূর্ণ বর্জন করা এবং মানসিক স্বাস্থ্যকে সঠিকভাবে বজায় রাখা।এর জন্য সঠিক পরিমাণে শারীরিক পরিশ্রম শারীরিক ব্যায়াম এবং সঠিক পরিমাণে সঠিক সুষম খাবার এবং নিয়মিত সঠিক সময় ঘুমাতে যাওয়া এবং ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস আপনাকে দিতে পারে এই সমস্যা থেকে পুরোপুরি মুক্তি।