নারী গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ জেনে নিন

প্রত্যেকটি নারীর কাছে তার গর্ভাবস্থার সময় টি হল সবথেকে আনন্দের একটি মুহূর্ত। একটি নারীর নিজের দেহের ভেতরে একটি নতুন প্রাণের সঞ্চার জেগে ওঠা কার না ভালো লাগবে বলুন। এটি শুধু নারী রায় বুঝতে পারে। এ সময়টিতে তার গর্ভের সন্তানের নড়াচারা উপলব্ধি করা কতটা যে আনন্দের মুহূর্ত তা একজন মা ছাড়া কেউ বুঝতে পারবে না। সত্যিই মা হওয়া যেন একটি নারীর জীবনে পরিপূর্ণতা পাওয়া।

যেহেতু বাচ্চার নিরাপত্তার স্বার্থে গর্ভধারণের প্রথম তিন মাস অত্যন্ত সতর্কতার সাথে থাকতে হয় একজন গর্ভবতী মাকে তাই কোন নারী গর্ভবতী হয়েছে কিনা তা একটু সতর্ক হয়ে কয়েকটি লক্ষণ মিলিয়ে নিলেই বোঝা যায়। আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন নারী গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ সম্পর্কে। আর তাইতো আমরা আজকে নিয়ে এসেছি নতুন একটি আর্টিকেল যাতে করে আপনারা আমাদের আর্টিকেলটি পরে খুব সহজেই বুঝে নিতে পারেন নারীর গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণগুলো। তো চলুন জেনে যাক।

নির্দিষ্ট সময়ে কি পিরিয়ড হয়েছে?

প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট সময়ে প্রত্যেকটি নারীদের পিরিয়ড হয়ে থাকে এটি সাধারণত ২৮ দিন পর পর হলে তাকে নিয়মিত পিরিয়ড বলা হয়। সেক্ষেত্রে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যে আপনার পিরিয়ড ঠিক সময়ে হয়েছে কিনা। যদি ২৮ দিন পর পিরিয়ড না হয় তাহলে হয়তো আপনি গর্ভধারণ করতে পারেন। তাই এটিও একটি গর্ভধারণের লক্ষণ তবে এর সাথে অন্যান্য লক্ষণগুলো মিলিয়ে নিলেই আপনি বুঝে নিতে পারবেন যে আপনি গর্ভবতী হয়েছেন কিনা।

মাথা ঘোরা বমি বমি ভাব ও হজমে সমস্যা

সাধারণত সকালে ঘুম থেকে উঠে যদি আপনার প্রচন্ড দুর্বল অনুভূতি হয় বা মাথা ঘোরার অনুভূতি হয় এছাড়াও বিষন্ন লাগে এবং সেই সঙ্গে প্রায় হজমের সমস্যা বা কুষ্ঠ কাঠিন্য দেখা দেয় তাহলেও আপনি হয়তো গর্ভধারণ করেছেন। কারণ এগুলো সবই হলো গর্ভধারণের লক্ষণ। অবশ্যই এই লক্ষণগুলো আপনার সাথে মিলিয়ে দেখবেন।

ক্রমাগত ক্লান্তি লাগা

সকাল দুপুর বা বিকেল যেকোনো সময় হঠাৎ করে যদি সারাক্ষণ নিজেকে ক্লান্ত মনে হয় এবং সময় অসময়ে কেবল ঘুমাতে ইচ্ছা করে যা আপনার স্বাভাবিক রুটিনের বাইরে মনে হয় তাহলে অন্যান্য লক্ষণ গুলোর সঙ্গে এই লক্ষণটি জানিয়ে দেয় যে আপনি হয়তো গর্ভবতী হয়েছেন। অন্য লক্ষণের সঙ্গে যদি এই লক্ষণটিও আপনার মিলে যায় তাহলে আপনি নিশ্চিত হতে পারবেন যে আপনি গর্ভবতী।

বারবার প্রসাবের চাপ

গর্ভবতী হয়েছেন কিনা এটি লক্ষ্য করার জন্য আপনাকে খেয়াল করতে হবে যে আপনি কি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বারবার প্রসাবের চাপ অনুভব করছেন যদি তাই হয়ে থাকে তাহলে এটিও হলো গর্ভধারণের একটি অন্যতম লক্ষণ। অবশ্যই মনোযোগ সহকারে খেয়াল রাখবেন যদি বারবার প্রসাবের চাপ আসে তাহলে আপনি আশা রাখতে পারেন যা আপনি গর্ভবতী।

স্তনের পরিবর্তন হওয়া

আপনি যদি গর্ভবতী হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার গর্ভধারণ করার ফলে স্তনের আকৃতি কিছুটা বৃদ্ধি পাবে এবং নিপল গারো রং ধারণ করবে এছাড়াও নিপলগুলো প্রথম থেকে হালকা হালকা ব্যথার অনুভব হবে। এই অনুভূতিগুলো খেয়াল করে দেখুন যদি মিলে যায় তাহলে হয়তো আপনি গর্ভবতী।

নিশ্চিত হবার জন্য প্রেগনেন্সি স্ট্রিপ

সাধারণত প্রেগনেন্সি স্ট্রিপ ব্যবহার করে আপনি ৯৫ পার্সেন্ট নিশ্চিত হতে পারবেন যে আপনি গর্ভবতী হয়েছেন কিনা। তাই উপরিক্ত লক্ষণ গুলো মিলানোর পর অবশ্যই একটি প্রেগনেন্সি স্ট্রিপ এনে বাসায় টেস্ট করাবেন। এই প্রেগনেন্সি ইস স্ট্রিপ ওষুধের দোকানগুলোতেই আপনারা পেয়ে যাবেন।

তবে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে ওর প্রথম পিরিয়ডের ডেট মিস করার পর তিনি এটি দিয়ে টেস্ট করবেন। স্ট্রিপের গায়ে সবকিছু লেখা থাকে যে এই স্ট্রিট কিভাবে ব্যবহার করতে হয় এবং কিভাবে টেস্ট করতে হয়। তাই খুব সহজেই আপনি স্ট্রিট কিনে এনে ঘরে বসে নিজে নিজেই টেস্ট করে শিওর হতে পারবেন যে আপনি গর্ভবতী কিনা।