সুস্থ প্রেগনেন্সির লক্ষণ

প্রেগনেন্সি অবস্থাতে সুস্থ থাকা অত্যন্ত জরুরী। তার কারণ হচ্ছে এই সময়ে একইসঙ্গে দুজনের সুস্থতা নিশ্চিত হয়। গর্ভবতী মা যদি সুস্থ থাকেন তাহলে এই সময়ে গর্ভে থাকে সন্তান সুস্থ থাকতে পারে। অবশ্যই আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে যে আপনার শরীর সুস্থ আছে তাহলে অবশ্যই আপনার গর্ভে থাকা সন্তান সুস্থ থাকবেন। গর্ভবতী আমার সাথে সুস্থ থাকার কিছু লক্ষণ আছে যে লক্ষণ গুলো আমরা আপনাদের এখন জানাবো আশা করছি আপনি আপনার সঙ্গে সেগুলো মিলিয়ে দেখতে পারেন।

সুস্থ থাকার লক্ষণের মধ্যে একটি লক্ষণ হচ্ছে ওজন বৃদ্ধ। নিয়মিত হজম পরিমাপের পরে আপনি যদি এটা বুঝতে পারেন আপনার ওজন বৃদ্ধি পাচ্ছে তাহলে অবশ্যই গর্ভবতী অবস্থায় এটা সুস্থ থাকার একটি লক্ষণ।সঠিক প্রেসার গর্ভবতী অবস্থায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস এবং বিভিন্ন দিন প্রেসার মাপার পরে আপনি যদি এটা বুঝতে পারেন আপনার পেশার নিয়ন্ত্রণে আছে তাহলে সেটা গর্ভবতী অবস্থায় সুস্থ থাকার একটি ভালো লক্ষ।

ঠিকঠাক খাবার খেতে পারা গর্ভবতী অবস্থায় অত্যন্ত ভালো একটি লক্ষণ। সাধারণত অনেকের ক্ষেত্রে গর্ভবতী অবস্থায় খাবার খাওয়া সম্ভব হয় না এক্ষেত্রে তারা অসুস্থ হতে পারে তাই আপনি যদি সুস্থতার লক্ষণ বুঝতে পারেন তাহলে দেখবেন আপনি সঠিকভাবে খাবার খেতে পারছেন কিনা।

গর্ভবতী অবস্থায় সুস্থতার আরো কিছু লক্ষণ আছে সঠিকভাবে হাঁটাচলা করতে পারেন। এমনিতে দুর্বল থাকে এবং শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার কারণে কষ্ট হতে পারে তবে আপনি যদি সঠিকভাবে হাঁটাচলা করতে পারেন তাহলে এটা গর্ভবতী অবস্থায় সুস্থ থাকার ভাল একটি লক্ষণ।

গর্ভবতী অবস্থায় ঘুম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস এবং আপনি যদি খেয়াল করেন প্রতিদিন রাতের ঘুমটা ভালো হচ্ছে এই অবস্থাতে তাহলে আপনি নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন তার কারণ হচ্ছে এটা গর্ভবতী অবস্থায় সুস্থ হওয়ার একটি ভালো লক্ষ।

গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ

গর্ভবতী হওয়ার ক্ষেত্রে প্রাথমিক যে লক্ষণ গুলো রয়েছে তার মধ্যে প্রথম লক্ষ্য হতে পারে মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়া। সাধারণত এই অবস্থাতে আপনি বুঝতে পারবেন মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণ। এখানেই সাধারণত একজন গর্ভবতী মা বুঝতে পারে তার গর্ভে সন্তান আসতে চলেছে এবং এই অবস্থাতে অবশ্যই সতর্ক অবস্থানে থাকতে হবে। এছাড়াও মাসিকের সময়ের কিছু আগে সাদা স্রাব বের হওয়া গর্ভবতী হওয়ার একটি বড় লক্ষণ। এই লক্ষণ গুলো যদি দেখা যায় তাহলে গর্ভবতী হওয়ার প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে এগুলো চিহ্নিত করতে পারে।

পাশাপাশি যদি প্রস্রাব ঘন হওয়া এবং খাওয়ার প্রতি অরুচি চলে আসে এবং বমি হওয়ার মতন সমস্যা তৈরি হয় তাহলে নিশ্চিতভাবে তাকে গর্ভবতীর লক্ষণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। অনেক সময় এই অবস্থাতে তলপেটে ভারী ভারী অনুভব এবং স্তন ভারী হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে তাই এই সমস্যাগুলো যদি কোন মায়ের থেকে থাকে তাহলে এগুলোকে লক্ষণ হিসেবে চিহ্নিত করতে পারেন গর্ভবতী হওয়া।

কোমর ব্যথা কি প্রেগনেন্সির লক্ষণ

কোমর ব্যথা অবশ্যই গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ হতে পারে তবে শুধু একটিমাত্র ব্যথার কারণে আপনি এটা বলতে পারেন না যে এটা গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ। কোমর ব্যথার সঙ্গে আপনি আরো কিছু লক্ষণ খুঁজবেন সেই লক্ষণগুলো যদি সঠিকভাবে পাওয়া যায় তাহলে আপনি নিশ্চিত ভাবে বলতে পারেন এটা গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ তাছাড়া শুধুমাত্র একটি লক্ষণ দেখে কোনভাবেই বলা ঠিক হবে না।

প্রেগনেন্সির লক্ষণ প্রথম সপ্তাহের

প্রথম সপ্তাহে সাধারণত এটা খুব একটা বোঝা যায় না এটা বোঝা যায় ৫ নাম্বার সপ্তাহ। ৫ নম্বর সপ্তাহতে সাভার প্রথমে মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং সাদা স্রাব গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ। ঘন ঘন প্রস্রাবের চাপ এবং তলপেট ভারী হয়ে যাওয়া এবং বমি হওয়ার মতন সমস্যা দেখা দিতে পারে গর্ভবতী হওয়ার ক্ষেত্রে তাই এই লক্ষণ গুলো আপনি চিহ্নিত করতে পারেন।