সাধারণত বুকের দুধ বৃদ্ধি করার জন্য ওষুধের উপর নির্ভরশীল হওয়ার আগে আপনাকে আপনার আশেপাশে খোজ খবর নেওয়া উচিত। অবশ্যই আপনার এলাকাতে এমন বয়স্ক মানুষ অনেকেই আছেন যারা এই সমস্যায় নিজেও পড়েছেন তার সমাধান নিজেও খুঁজে বের করতে পেরেছেন। সাধারণত বহু কাল থেকে চলে আসা প্রাচীন যে ভেষজ এবং প্রাচীন যে উপাদানগুলো রয়েছে সেগুলোর মাধ্যমে অনেক চিকিৎসার সমাধান এখনও করা যায়। তাই সবার প্রথমে আমাদের বাড়িতে থাকা উপকরণ গুলোর সঠিক ব্যবহার আমরা শিখব তারপরে ঔষধের উপর নির্ভরশীল হওয়ার চেষ্টা করব। সন্তান যখন পর্যাপ্ত পরিমাণে মায়ের বুকের দুধ পায় না তখন এটা তার শারীরিক বিভিন্ন ধরনের বৃদ্ধিতে বাধাগ্রস্থ করে।
আর সন্তান যদি এই ধরনের সমস্যায় পড়ে স্বাভাবিকভাবেই সে সব দিক দিয়ে দুর্বল হয়ে যাবে এবং তার মানসিক শক্তিও কমে যাবে। ভাই আপনি যখন মনে করেন আপনার সন্তানকে আপনি সবথেকে ভালোভাবে মানুষ করবেন তখন আপনাকে একটা জিনিস নিশ্চিত করতে হবে সেটা হচ্ছে যেন সে সন্তান পর্যাপ্ত পরিমাণে বুকের দুধ পায়। অন্তত ছয় মাস সন্তানকে বাজাতে পরিমাণে বুকের দুধ খাওয়াতে হবে এবং সম্ভব হলে দুই বছর পর্যন্ত সন্তানকে যতটা সম্ভব বেশি বেশি বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। এটা যদি সম্ভব হয় তাহলে সন্তানকে আর আলাদাভাবে এক্সট্রা প্রোটিন খাওয়ানোর প্রয়োজন নেই এই সময়ে।তবে হ্যাঁ যাদের বুকের দুধের সমস্যা আছে তারা কিভাবে তার সমাধান করবেন একেবারে ঘরোয়া উপায়ে চলুন জানার চেষ্টা করি।
বুকের দুধ বৃদ্ধি করার ঘরোয়া খাবার
যে খাবারগুলো আপনি খান সে খাবারগুলোর মধ্যেই সাধারণত কিছু খাবার এমন আছে যেগুলো খেলে প্রচুর পরিমাণে বুকের দুধ বৃদ্ধি পাবে। এখানে আমাদের মুখের কথা তে কোন কাজ হবে না আপনি নিজেই তার প্রমাণ করতে পারেন এবং আমরা যদি বলি এই খাবারগুলো খেতে তাহলে অবশ্যই চেক করে দেখবেন এই খাবারগুলো খাওয়ার পরে আপনার বুকের দুধ বৃদ্ধি পাচ্ছে কিনা। যে সকল মায়েদের কোলে সন্তান আছে তারা অবশ্যই এই খাবারগুলো মেনটেন করে চলার চেষ্টা করবেন দেখবেন খুব অল্প সময়ের মধ্যে খুব দ্রুত পরিবর্তন লক্ষ্য করতে পারছেন।
পানি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান এবং শুধুমাত্র যে গর্ভে থাকা সন্তান এবং করে পানি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান এবং শুধুমাত্র যে যে সকল মায়েদের কোলে সন্তান আছে তাদের জন্য এই পানি গুরুত্বপূর্ণ এমন নয় আমাদের প্রত্যেকের জন্য পানির গুরুত্ব সমান। যাদের সন্তান আছে তারা চেষ্টা করবেন যে কোন ধরনের অন্যান্য পানির চেয়ে সাদা পানির উপর গুরুত্ব বেশি দিতে এবং আপনি যত পরিমানে পানি খাবেন আপনার বুকের দুধ ততই তাড়াতাড়ি বৃদ্ধি পেতে শুরু করবে।
আইটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে বুকের দুধ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সেটা হচ্ছে ফলমূল। বাজারে মৌসুমী ফল প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায় এবং এই মৌসুমী ফলের মধ্যে চেষ্টা করতে হবে যত ধরনের রঙিন ফল আছে প্রত্যেকটি ফল অল্প অল্প করেও প্রতিদিন আপনি আপনার খাবার তালিকা রাখবেন যাতে করে আপনার সন্তানের জন্য এটা উপকার বয়ে নিয়ে আসতে পারে।
অনেকে আছেন সন্তান প্রসব হওয়ার পরে খাওয়ার প্রতি অনীহা প্রকাশ করেন এটা সবথেকে খারাপ একটি দিক। এটা সেই মায়ের শারীরিক দুর্বলতা ডেকে আনতে পারে এবং এই শারীরিক দুর্বলতার কারণে তার বুকের দুধ কমতে শুরু করবে যা তার সন্তানের শারীরিক দুর্বলতার অন্যতম কারণ হবে। তাই আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে যেন যে সকল মায়েদের কোলে সন্তান আসে তারা যেন পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার খায় এবং নিশ্চিত করতে হবে এই খাবারের খালি খায় প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি যেন অবশ্যই থাকে।
এছাড়াও আমরা গরম মসলা অথবা মৌরি সালাদ বা মৌরি বীজ এই ধরনের জিনিস সঠিক পরিমাণে ব্যবহার করতে শিখলেই সাধারণত এখান থেকে অনেক উপকার পাব। এছাড়াও বাজারে বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের হারবাল চা বের হয়েছে যা সেবনের মাধ্যমে কোন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়ায় বুকের দুধ বৃদ্ধি পায় আমরা সেগুলোর মাধ্যমে চেষ্টা করতে পারি।