সাধারণত এই সিরাপ বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেড তৈরি করে। এই সিরাপ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে মেট্রোনিডাজল গ্রুপের ঔষধ। সহজ ভাবে বুঝতে গেলে আমরা যদি মেট্রোনিডাজল এর কার্যকারিতা সম্পর্কে জানি তাহলেই এর সঠিক কাজ সম্পর্কে অবগত হতে পারব। বিভিন্ন ধরনের ঔষধ মানব শরীরে বিভিন্নভাবে কাজ করতে পারে তাই এখানে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে কোন ঔষধের কার্যকারিতা কি। আমরা যখন সঠিকভাবে এর কার্যকারিতা গুলো সম্পর্কে ধারণা পাবো তখন খুব সুন্দরভাবে ঔষধের ব্যবহার করতে পারব এবং সুস্থ হতে পারব।
এই ঔষধের সিরাপ সাধারণত ৬০ এমএল এবং ১০০ এম এল এর বর্তমানে বাজারে উন্মুক্ত হয়েছে। মেট্রোরিডাজল সাধারণত বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ নিরাময়ের জন্য রোগীর শরীরে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। চলুন আজকে জানার চেষ্টা করি এই ফ্লিমমেট সিরাপ সঠিক কার্যকারিতা এবং এর পাশাপাশি এই ফ্লিমমেট সিরাপ খাওয়ার সঠিক মাত্রা কি হতে পারে। প্রত্যেকটি রোগীর জন্য এই জিনিসগুলো জানা অত্যন্ত জরুরী।
ফ্লিমমেট সিরাপ কি কাজ করে
আমরা জানতে পেরেছি যে বিভিন্ন ধরনের এনারু বিকে ব্যাকটেরিয়াজনিত অস্ত্রপাচার পরবর্তী সংক্রমণ প্রতিরোধে এই ঔষধ অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এখানেই শেষ নয় আনারোবেকে জীবাণু দ্বারা সংক্রমিত সেফটি সেমিয়া থেকে শুরু করে ব্যাকটেরি মিয়ার মত বড় রোগ এছাড়াও ব্রেইন অ্যাবসেস, পেলভিক অ্যাবসেস , পেলভিক সেলুলাইটিস ও অস্ত্রোপাচার পরবর্তী ক্ষতের সংক্রমণ চিকিৎসায় এই ফ্লিমমেট সিরাপ অত্যন্ত কার্যকরী একটি সিরাপ। শুধুমাত্র কার্যকরী ভূমিকা পালন করে এমন নয় কোন রোগীর শরীরে যদি উল্লেখিত রোগের উপসর্গ ধরা পড়ে তাহলে দেরি না করে ঝটপট ফ্লিমমেট সিরাপ সিরাপ খাওয়াতে হবে আশা করছে সঠিক ব্যবহারের ফলে ফ্লিমমেট সিরাপ সিরাপের মাধ্যমে সেই রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হতে পারবে।
এছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের জটিল সমস্যা যেমন তীব্র আলচারেটিভ জিঞ্জিভিটিস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সমস্যা এবং এই সমস্যার সমাধানেও এই ঔষধ ব্যবহার করা যেতে পারে। এনারবিক জীবাণু দ্বারা সংক্রমিত পায়ের ঘা বা এই ধরনের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে এই ঔষধ ব্যবহার করা হয়। এখানেই শেষ নয় আনারবিক জীবাণু জনিত দাঁতের তীব্র সংক্রমণ প্রতিরোধে এই ঔষধ ব্যবহার করা হয়। অনেকেই হয়তো এই বিষয়টি জানতেন না দাঁতের তীব্র সংক্রমণের ক্ষেত্রেও এই ফ্লিমমেট সিরাপ ব্যবহার করা যেতে পারে।
এছাড়াও অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারজনিত বিভিন্ন ধরনের কোয়ালিটিস রোগের বিরুদ্ধে এই ঔষধ অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করছে।
ফ্লিমমেট সিরাপ খাওয়ার সঠিক নিয়ম
যদি ঔষধ খাওয়ার সঠিক মাত্রা সম্পর্কে বলতে চাই তাহলে প্রাপ্তবয়স্ক অথবা যাদের বয়স দশ বছরের ওপরে তাদের ক্ষেত্রে ২০০ মিলিগ্রাম করে তিনবার বা ৪০০ মিলিগ্রাম করে দুইবার খাওয়াতে হবে। এখানে অবশ্যই এই চিকিৎসার সময়কাল সর্বোচ্চ সাত দিন পর্যন্ত থাকতে পারে। এছাড়াও অন্যান্য রোগের ক্ষেত্রে রোগ যদি গুরুতর হয় তাহলে ৮০০ মিলিগ্রাম করে প্রতিদিন সকালে এবং এক থেকে দুই গ্রাম করে প্রতি রাতে চিকিৎসা সময়কাল থাকবে সর্বোচ্চ দুই দিন।
সাধারণত যাদের বয়স একেবারেই কম তাদের ক্ষেত্রে এর ব্যবহার আলাদাভাবে দেখা দেবে এবং বিভিন্ন ধরনের জটিল সমস্যার জন্য বিভিন্নভাবে এটা ব্যবহার। যেমন মনে করুন পায়ের ঘা এর ক্ষেত্রে ৪০০ মিলিগ্রাম করে তিনবার সর্বোচ্চ সাতদিন পর্যন্ত খাওয়ানো যেতে পারে। এরকম অন্যান্য চিকিৎসায় এই ঔষধের ব্যবহারের ধরন পরিবর্তন হবে তাই সব থেকে উত্তম পন্থা হবে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ওষুধের মাত্রা নির্ধারণ করে নেওয়ার।
ফ্লিমমেট সিরাপ দাম ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
যদি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কথা আমরা উল্লেখ করি তাহলে চিকিৎসার সময় ধাতব স্বাদ অনুভূত হতে পারে এর পাশাপাশি অনেকের ক্ষেত্রে পেটের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা এবং শরীরে বিভিন্ন ধরনের এলার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে। যদি দামের প্রসঙ্গে বলি তাহলে ৬০ এম এল এর বোতলের দাম বর্তমানে ৩৫ টাকা এবং ১০০ এমএল বোতলের দাম বর্তমানে ৪৫ টাকা।