আমাদের মনে একটি ধারণা আছে যে একটি ঔষধ শুধুমাত্র একটি কাজ করে। হ্যাঁ অবশ্যই একটি ঔষধ বড় পর্যায়ে একটি অসুখের বিরুদ্ধে লড়াই করে কিন্তু এর পাশাপাশি বিভিন্ন রোগের পরিস্থিতি ভেদে এটা বিভিন্ন ধরনের কাজও করতে পারে। এখন আমরা যদি সরাসরি আপনাদের একটি বিষয় জানায় যে রোগীদের বিভিন্ন পাকস্থলী জনিত ব্যথার কারণে অ্যালজিন ব্যবহার করা হয় সেটা আমরা সকলে বুঝতে পারব।
তবে সেই পাকস্থলী জনিত ব্যথা কিরূপ হতে পারে এবং সেটা কোন রোগের ক্ষেত্রে কিভাবে প্রয়োগ করতে হবে এই বিষয়ে যদি আলোচনা করতে চায় তাহলে অবশ্যই আপনাদের চিন্তাভাবনার একটু হলেও পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাবে। ঠিক সেরকমই পরিবর্তন চাচ্ছি আমরা তার কারণ হলো বাংলাদেশ বর্তমানে ভুল চিকিৎসার পরিমাণ এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে যেটা চোখে দেখলে কেউ সহ্য করতে পারবে না। তাই প্রত্যেক নাগরিককে নিজ নিজ স্থান থেকে সতর্ক হতে হবে এবং যথেষ্ট মেডিকেল জ্ঞান মাথায় নিতে হবে যার প্রধান ধাপ হচ্ছে ওষুধ সম্পর্কে জানা।
এলজিন ট্যাবলেট এর সঠিক সেবন মাত্রা
আপনারা যারা এলজিন ট্যাবলেট নিয়মিত খান তারা অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এই ওষুধ খান। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনভাবেই কোন ওষুধ খাওয়া ঠিক নয় তবে এমন পরিস্থিতি যদি এসে যায় যেখানে ডাক্তারের কাছে যাওয়া বা ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া আপনার জন্য একেবারেই অসম্ভব তাহলে খাওয়া যেতে পারে তবে এর জন্য আমাদের দেওয়া পরিমাপটি একবার হলেও আপনি দেখবেন। যে সকল রোগীরা প্রাপ্তবয়স্ক তাদের ক্ষেত্রে দৈনিক মাত্রা দুই থেকে ছয়টি ট্যাবলেট অথবা তিন থেকে নয় চা চামচ সিরাপ বিভক্ত মাত্রায়।
এখানে এলজিন ৫০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেটের কথা বলা হয়েছে তাই সেই হিসাব করলে ১০০ মিলিগ্রাম থেকে ৩০০ মিলিগ্রাম ঔষধ খেতে পারবে একজন বয়স্ক রোগীরা। এর পাশাপাশি যারা শিশুর রয়েছে তাদের যদি এই ঔষধ খাওয়ার প্রয়োজন রয়েছে সেই সকল রোগীরা দৈনিক৩ মিলিলিটার প্রতিকৃতি অর্থাৎ শিশুর ওজন যত হবে তার সঙ্গে ৩ মিলিলিটার গুণ করে যেটা আসবে সেটা খাওয়াতে হবে প্রতিদিন তবে এটা অবশ্যই বিভক্ত মাত্রায়। অর্থাৎ একবারে খাওয়াতে পারবেন না ভাগ ভাগ করে ২ বেলা অথবা ৩ বেলাতে আপনাকে এই ওষুধটি প্রয়োগ করতে হবে রোগীর ক্ষেত্রে।
এলজিন ট্যাবলেট খাওয়ার সঠিক নির্দেশনা
মূলত এলজিন ট্যাবলেট কোন রোগের বিরুদ্ধে কাজ করে সেটা এই অংশে জানবো এবং এর মূল কাজ কি এবং এর পাশাপাশি সে যে অন্যান্য কাজগুলো করে সেগুলো জানব। মূলত টাইমোনিয়াম মিথাইলসালফেট গ্রুপের এই ঔষধ একজন রোগীর মাংসপেশির খিচুনিরোধী ঔষধ হিসাবে কাজ করে। এছাড়াও যাদের পরিপাক নালী পিত্তথলির মুদ্রাসায় ও জরায়ুর পেশি সংকোচন বেশি হয় তাদের এই সংকোচন কমাতে এলজিন ট্যাবলেট ব্যবহার করা হয়।
এর পাশাপাশি পরিপাকনালী ও পিত্ততন্ত্রের অকার্যকারিতা সংক্রান্ত ব্যথার লক্ষণ ভিত্তিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয় অ্যালজিন ট্যাবলেট। এছাড়াও এটি মূত্রনালী ও স্ত্রী জননাঙ্গ সংক্রান্ত রোগের সংকোচন ও ব্যথার চিকিৎসা নির্দেশক হিসেবে প্রত্যেকটি ডাক্তার দিয়ে থাকেন ।তাই এই অসুখগুলো আপনার শরীরে দেখা দিলে আপনি এই ওষুধ খেতে পারেন।
এলজিন ট্যাবলেট এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে কিনা
এলজিন ট্যাবলেট এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া খুব একটা বেশি নয় তবে যেটা আছে সেটা আপনার জীবনের ঝুঁকি এনে দিতে পারে। টেনশন তো আমরা নানা কারণেই করে থাকি কিন্তু এই ট্যাবলেট যদি আমরা অতিমাত্রায় খেয়ে ফেলি তাহলে আমাদের হাইপারটেনশন অটোমেটিক্যালি তৈরি হতে পারে। মনে করুন আপনি আপনার সমস্যার জন্য ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলেন ডাক্তার আপনাকে এলজিন ট্যাবলেট খেতে বলল কিন্তু যেইদিন থেকে আপনি ট্যাবলেট খাওয়া শুরু করলেন সেদিন থেকে কেন জানিনা এমনি এমনি আপনার টেনশন হচ্ছে। তাহলে বুঝবেন অবশ্যই এটা সেই ওষুধের পার্শপ্রতিক্রিয়া এবং এর পাশাপাশি ট্যাকিকার্ডিয়া হওয়া সম্ভাবনা রয়েছে। ডাক্তারের কাছে গিয়ে ঔষধ পরিবর্তন করে নি।