স্বাভাবিকভাবে কখনোই প্রসাবের রং হলুদ হবে না। কোন সমস্যা হলে কেবলমাত্র এর রঙ হলুদ হবে। সমস্যার সমাধান করার জন্য অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যখন আপনি যাবেন তখন কিছু পরীক্ষার মাধ্যমে সেটা নিশ্চিত হওয়া যাবে। সাধারণত প্রস্রাবের রং হলুদ হওয়ার কয়েকটি কারণ আছে। তবে যদি স্বাভাবিক কারণে এটা রং হলুদ হয় তাহলে কোন দুশ্চিন্তা করতে হবে না এটা এমনিতেই ঠিক হয়ে যাবে।
সাধারণ কারণ বলতে বোঝানো হয়েছে যখন প্রচন্ড গরম পড়ে এবং রোদের উত্তাপ অনেক বেশি থাকে তখন যারা বাইরে বেশি ঘোরাফেরা করেন নিজের প্রয়োজনে এবং পানি কম্পান করেন তাদের এমনিতেই স্বাভাবিকভাবে প্রস্রাবের রং হলুদ হয়। সেটা কোন সমস্যা নাই আপনি যখন বাড়িতে আবার ফিরে আসবেন এবং বাড়িতে আসার পর ঠাণ্ডা পানি অতিরিক্ত খেয়ে ফেলবেন তখন আবার পুনরায় প্রস্তাব করলে দেখবেন সে প্রস্রাবের রং সঙ্গে সঙ্গে স্বাভাবিক হয়ে গেছে। এটা ভয়ের কোন কারণ নাই।
প্রস্রাব কেন হলুদ হয়
প্রসাবের রং হলুদ হওয়ার পেছনে যদি কোন সমস্যা দায়ী থাকে তাহলে সে সমস্যাগুলো সম্পর্কে আমাদের জানতে হবে। প্রসাবের রং হলুদ হওয়া যে সমস্যা গুলো আছে সে সমস্যাগুলো এখন আমরা আপনাদের জানাবো আশা করছি আপনারা মিলিয়ে দেখতে পারেন আপনাদের এই ধরনের কোন সমস্যা হয়েছে কিনা।
জন্ডিস এমন একটি সমস্যা যে সমস্যা সবার প্রথমে বোঝা যায় প্রস্রাবের রং দেখে। সাধারণত রক্তে বিলিরুবিনের পরিমাণ যখন বেড়ে যায় তখন জন্ডিস হয় এবং এ জন্ডিসের কারণে প্রসবের রং হলুদ হয়ে যায়। হঠাৎ করে যদি প্রস্রাবের রং হলুদ হয়ে যায় এবং সেটা যদি কয়েক দিন ধরে থাকে এর সঙ্গে যদি জন্ডিসের আরও উপসর্গ আপনি দেখতে পান তাহলে অবশ্যই জন্ডিস পরীক্ষা করবেন। জন্ডিস পরীক্ষার মাধ্যমে যদি দেখা হয় যে জন্ডিস হয়েছে তাহলে প্রস্রাবের রং হলুদ হওয়ার কারণে বড় কোন সমস্যা নেই এই বিষয়ে আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন।
প্রসাবের রং হলুদ হওয়ার আরেকটি কারণ আছে সেটা হচ্ছে কিডনির সমস্যা। প্রসাবের রং হলুদ হলে অবশ্যই আপনাকে সেটা চিকিৎসা করতে হবে কারণ খুঁজে বের করার জন্য। কারণ খুঁজে বের করতে নিজে নিজে ঝুলে আছে নিচে ঝুলে আছে আপনি যখন পরীক্ষা করবেন তখন যদি কিডনির কোন সমস্যা ধরা পড়ে তাহলে সেটা অত্যন্ত সাংঘাতিক। প্রসাবের সমস্যা হলে অবশ্যই কিডনির সমস্যা হতে পারে তাই এটা এটাকে অবহেলা করা যাবে না বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হতে হবে প্রস্রাবের রং পরিবর্তনের কারণ। আপনি যদি নিশ্চিত ভাবে বুঝতে পারেন সেটা হয়েছে কিডনির সমস্যার কারণে তাহলে অবশ্যই সেটা ভালো।
জন্ডিস কেন হয়
জন্ডিস হওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে বিলিরুবিনের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া। কারো যদি জন্ডিস হয় তাহলে তার প্রধান কারণ হচ্ছে বিলিরুবিনের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া এবং এর জন্য খুব বেশি সমস্যা না হওয়ারই কথা। জন্ডিস হলে স্বাভাবিকভাবে একজন রোগীকে পুরোপুরি বিশ্রাম করতে হয় যদি সে পুরোপুরি বিশ্রাম গ্রহণ করতে পারে তাহলে অবশ্যই সে খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হবে।
জন্ডিস এর কিছু লক্ষণ ও চিকিৎসা
জন্ডিসের কিছু লক্ষণের মধ্যে প্রধান লক্ষণ হচ্ছে প্রসাবের রং হলুদ হয়ে যাওয়া। প্রসাবের রং হলুদ হয়ে যাওয়ার পরে আরো কিছু লক্ষণ দেখা যেতে পারে যেমন গায়ের রং হলুদ হয়ে যাওয়া এবং চোখের সাদা অংশের রঙ হলুদ হয়ে যাওয়া। এরপরে আরো কিছু লক্ষণ দেখা যেতে পারে যেমন বমি বমি ভাব এবং খাওয়ার প্রতি অনীহা। এ সমস্যাগুলো যদি কারো থাকে তাহলে অবশ্যই তাকে জন্ডিস পরীক্ষা করাতে হবে এবং জন্ডিস পরীক্ষার মাধ্যমে যদি জন্ডিস পজেটিভ হয় তাহলে তাকে পুরোপুরি বিশ্রামে চলে যেতে হবে। সাধারণত জন্ডিস রোগের প্রধান চিকিৎসায় হচ্ছে বিশ্রাম। যে যত বেশি বিশ্রাম করতে পারবে তার জন্ডিস তত তাড়াতাড়ি ভালো হবে।