সাধারণত মেয়েদের শরীরের কিছু রোগের মধ্যে একটি রোগ হচ্ছে সিস্ট। আস্তে আস্তে বর্তমানে এটা অত্যন্ত ভয়ানক একটি রোগে রূপান্তরিত হয়েছে যেটা বিভিন্ন জায়গাতে হতে পারে। এ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং অন্যান্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে জ্ঞান অর্জন করতে হবে। আপনার কাছে যদি সিস্ট সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি সেই জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে একটা কে প্রতিরোধ করতে পারবেন। আমরা চেষ্টা করব সব সময় আপনাদের বিভিন্ন ধরনের ভালো তথ্য দিয়ে উপকৃত করতে আজকে যেমন আমরা সিস্ট সম্পর্কে এমন কিছু তথ্য নিয়ে হাজির হয়েছে যেটা আপনাকে অবশ্যই উপকৃত করবে।
আজকে আপনারা এখান থেকে সিস্ট-এর বিভিন্ন ছবি সংগ্রহ করতে পারবেন যে সিস্ট সম্পর্কে আপনাদের সঠিক ধারণা হবে এবং আপনারা সেই সিস্ট প্রতিহত করতে পারবেন। আমরা আপনাদের বিভিন্ন ধরনের ছবি দেওয়ার চেষ্টা করব যে ছবিগুলো আমরা সংগ্রহ করেছি আপনারা চাইলে এই ছবিগুলো ডাউনলোড করে রাখতে পারেন এবং পরবর্তীতে নিজের কাজে ব্যবহার করতে পারেন। সাধারণত কোন ধরনের সিস্ট এর আকৃতি কেমন হয় এবং সেটার কালার কেমন হতে পারে সে সম্পর্কে আইডিয়া দিতে মূলত এই ছবিগুলো আপনাদের জন্য নিয়ে আসা।
ওভারিয়ান সিস্ট কি
সাধারণত মহিলাদের প্রজননতন্ত্রের অন্যতম হলো ডিম বাসায় যায় ডিম্বাণু উৎপাদন করতে সাহায্য করে এবং তাকে গর্ভধারণ হতে সাহায্য করে। ডিম্বাশার মধ্যে ছোট ছোট কিছু গ্রন্থি থাকে যেগুলোকে ঋতুস্রাব কালীন সময়ে উৎপন্ন হয় এবং ডিম্বানু মুক্ত করে শরীরের সঙ্গে মিশে যায় তখন ডিম্বাশয়ের মধ্যে কোন গ্রন্থি ডিম্বানু মুক্ত না করে বা ডিম্বানু মুক্ত করার পর মিশে না যায় সেই দুইটি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং তার ফলে সেখানে যে সৃষ্টির গঠন হয় সেটাকে বলা হয় ওভারিয়ান সিস্ট। আশা করছি ওভারিয়ান সিস্ট কাকে বলে সে সম্পর্কে আপনারা ভালো একটি ধারণা পেলেন।
এটা যে কোন বয়সের মহিলাদের মধ্যেই হতে পারে তাই সমান গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে এ বিষয়টিকে তার কারণ হচ্ছে এটা এতটাই জটিল একটি বিষয় যেটা সমাধান না করতে পারলে বড় ধরনের সমস্যা হতে পারে এবং এখানে বড় ধরনের অপারেশনের প্রয়োজন পড়তে পারে। তাই আমরা সব সময় এই বিষয়ে সচেতন থাকবো এবং প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করব যেটা আমাদের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি জিনিস।
ওভারিয়ান সিস্ট এর প্রাথমিক উপসর্গ
সাধারণত কিছু উপসর্গ আছে যে উপসর্গের মাধ্যমে খুব সহজে এটা চিহ্নিত করা যায় এবং সবার প্রথমে এই উপসর্গের মধ্যে হতে পারে পেট ব্যথা এবং তীব্র পেটব্যথা আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পাওয়া। অনেক মেয়েদের ক্ষেত্রে বমি ভাব এবং বমি করার মতন সম্ভাবনা দেখা যেতে পারে এই ওভারিয়ান সৃষ্টির কারণে তাই এই সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই সতর্ক হোন। এর পাশাপাশি ক্ষুধা মন্দা এবং পেট কষে যাওয়া যেটাকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় কন স্টিপেশন বলা হয়ে থাকে।
অনেক ক্ষেত্রে মেয়েদের অনিয়মিত ঋতুচাপ এবং তলপেট ফুটলে ওঠা বা নরম টেন্ডার হবার সম্ভাবনা রয়েছে। অনেক রোগীদের ক্ষেত্রে শারীরিক মিলনের সময় যন্ত্রণা এবং ব্যাখ্যা বিহীন যোনিতে রক্তক্ষরণের মতন সমস্যার কারণ হতে পারে ওভারিয়ান সিস্ট। তাই এই উপসর্গগুলো যখন একইসঙ্গে কোন রোগের শরীরে দেখা যাবে তখন অবশ্যই সতর্ক অবস্থানে চলে যেতে হবে । আপনি যত দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবেন তত ভালো হবে আপনার পক্ষে।
ওভারিয়ান সিস্ট এর চিকিৎসা
সাধারণত এর প্রথম চিকিৎসা হচ্ছে পর্যবেক্ষণ এবং পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে এর আয়তন এবং বিভিন্ন খারাপ দিকগুলো লক্ষণ করার পরে চিকিৎসা শুরু করতে হবে। স্বাস্থ্য পরিবেশ কারীরা ডিম্বাণু উৎপাদন রোধে হরমোন চিকিৎসার পরামর্শ দিতে পারেন এরপর যদি এটাতে কাজ না হয় তাহলে বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা যেমন অষ্টপাচার অথবা ল্যাপারটোমি এ ধরনের চিকিৎসা ব্যবহার করা হয়ে থাকে।