ইবাটিন ট্যাবলেট যে ট্যাবলেট তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে ১০ মিলিগ্রাম ই-বাস্টিন বিপি। মূলত পপুলার ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেড এই ঔষধ এর প্রস্তুতকারক এবং পপুলার ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেড 10 মিলিগ্রাম ট্যাবলেট এর বর্তমান ইউনিট প্রাইজ হচ্ছে ৮.৫০ টাকা। ওষুধের প্রস্তুতকারক এবং ঔষধের দাম সম্পর্কে আমরা হয়তো আইডিয়া পেলাম কিন্তু আমরা এখনো সঠিকভাবে জানিনা এই ঔষধ কোন উপসর্গ বা কোন রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে।
আপনি যদি একজন ভালো ডাক্তারের কাছে যান তাহলে ডাক্তার অবশ্যই আপনাকে কোন না কোন ঔষধ খেতে বলবে এবং আপনার সমস্যা অনুযায়ী সেই ঔষধের তালিকায় যদি ইবাটিন 10 মিলিগ্রাম ট্যাবলেট থাকে তাহলে আজকের আর্টিকেল আপনার জন্য প্রযোজ্য। দেরি না করে চট করে আমাদের সম্পূর্ণ আর্টিকেল করে ফেলুন যেখান থেকে আপনি জানতে পারবেন ই বাটন ট্যাবলেট এর সঠিক কার্যকারিতা।
ইবাটিন 10 মিলিগ্রাম ট্যাবলেট এর সঠিক কার্যকারিতা কি
ইভাটিন ট্যাবলেট তৈরিতে যে ইবাস্টিন বিপি ব্যবহার করা হয়েছে সেটা হচ্ছে দীর্ঘস্থায়ী কার্যকরী এবং সুনির্দিষ্ট ভাবে রিসিভটর এন্ডগনেস্ট। সাধারণত এটা গ্রহণের মাধ্যমে আপনি আপনার শরীরে যে পরিবর্তনগুলো লক্ষ্য করতে পারবেন তার মধ্যে কিছু লক্ষণ অবশ্যই আপনি বুঝতে পারবেন। কিছু কিছু রোগের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে সিজনাল এবং পেরিনিয়াল এলার্জি রায়নাটিস হতে পারে। সাধারণত এটা এমন একটি সমস্যা যেটা যার তার হতে পারে।
অতীতে এই রোগ গুলো এতটা ছিল না তার কারণ হচ্ছে অতীতে আমরা যে খাবারগুলো খেতাম এবং আমাদের পরিবেশ যতটা ভালো ছিল বর্তমানে তার থেকে অনেক বেশি খারাপ। একেতো পরিবেশ দূষণের কারণে প্রকৃতি থেকে আমরা যাই সংগ্রহ করছি বা শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে আমাদের ভেতরে আছে না কেন প্রত্যেকটা এই বিশ্বে ভরা যার কারণে আমাদের শরীর একেবারে বিশ যুক্ত হয়ে যাচ্ছে। যার ফলে আমাদের রক্তে বিষাক্ত পদার্থ মিশে যাচ্ছে এবং রক্তে এলার্জির উপাদান গুলো প্রচুর পরিমাণে থেকে যাচ্ছে। পাশাপাশি আমরা জীবন ধারণের জন্য যে খাবারগুলো খাচ্ছি সেই খাবারগুলোতেও রয়েছে ভেজালের সমাহার।
মজার ব্যাপার হলো ভেজাল খেতে খেতে আমাদের মুখ এতটাই ভেজালে হয়ে গেছে যে এখন যদি ভালো কিছু পায় তাহলে সেটার স্বাদ খুব একটা ভালো লাগে না সেই আগের ভেজাল জিনিসটার সাদ আমাদের বেশি ভালো লাগে। তাই আমাদের এই পরিবর্তন আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক হয়েছে আর যার কারণে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের এলার্জির আক্রান্ত হচ্ছে আমরা। এই ধরনের সিজনাল এবং পেরিনিয়াল এলার্জিক রাইনাইটিস এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে ইবাটিন 10 মিলিগ্রাম ট্যাবলেট।
এছাড়া অনেকের ক্ষেত্রে ইডিওপ্যাথিক ক্রনিক আর্টিকেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে এ ওষুধ। যাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের ছত্রাকের সংক্রমণ এবং গুটি গুটি ছত্রাক এর আক্রমণ দেখা যায় তাদের এই ধরনের সমস্যা থেকে বাঁচানোর জন্য ডাক্তারেরা ইবাটিন 10 মিলিগ্রাম খাওয়ার পরামর্শ দিতে পারেন। সাধারণত এই ধরনের সমস্যার জন্য আপনারা হয়তো অন্য গ্রুপের ঔষধ গুলো বেশি খেয়ে থাকেন তাই এটা আপনাদের কাছে অত্যন্ত অপরিচিত একটি ঔষধ তবে অবশ্যই ডাক্তার যদি আপনাকে খেতে বলে তাহলে আপনি এটা খেয়ে দেখতে পারেন কতটা কার্যকরী।
ইবাটিন 10 মিলিগ্রাম ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম
এই ট্যাবলেট এর সঠিক খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বলতে গেলে বলতে হয় প্রাপ্তবয়স্ক অর্থাৎ যাদের বয়স ১২ বছরের ঊর্ধ্বে তাদের দৈনিক 10 মিলিগ্রাম করে একটি ট্যাবলেট খাওয়ার পরামর্শ দিতে পারেন উপস্থিত ডাক্তার। যদি শিশুদের ক্ষেত্রে ট্যাবলেট খাওয়ার প্রয়োজন পড়ে তাহলে 6 থেকে 12 বছরের মধ্যে শিশুদের শুধুমাত্র ট্যাবলেট খাওয়ানো যাবে এবং তাদের দৈনিক ৫মিলিগ্রাম করে একবার খাওয়াতে হবে অর্থাৎ অর্ধেক ট্যাবলেট একবার খাওয়াতে হবে।
এছাড়াও শিশুদের জন্য ২ থেকে ৫ বছর শিশুদের সিরাপের ক্ষেত্রে ২.৫ মিলি একবার খাওয়াতে হবে এবং যাদের বয়স ৬ বছরের উপরে এবং বারো বছরের নিচে তাদের জন্য ৫ মিলে দিনে একবার খাওয়াতে হবে।