আপনি কি কিডনি সমস্যায় ভুগছেন? অথবা আপনার বাসার কারোর কি কিডনি রোগ রয়েছে? কিডনি রোগের জন্য কি কি ব্যায়াম আছে সেগুলো আপনি খুঁজছেন? তাহলে আর খোঁজাখুঁজি না করে আমি বলবো আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন । আমরা আজকে আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নিয়ে এসেছি নতুন একটি আর্টিকেল যার মাধ্যমে আমরা আলোচনা করব কিডনি রোগীর ব্যায়াম সম্পর্কে যাবতীয় সকল তথ্য।
মধ্য দিয়ে সরলে রক্ত প্রবাহিত হয় এবং তার মধ্য থেকে বজ্র পদার্থ ও পৃথক করে প্রসাবের মাধ্যমে বের করে দেওয়া হল কিডনির অন্যতম কাজ। তাই বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন যে যোগ ব্যায়াম এমন একটি জিনিস যা যেকোনো ব্যক্তির শারীরিক সমস্যার সমাধান করতে পারে। ঠিক তেমনি একজন কিডনি রোগের জন্য ব্যায়াম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি।
ব্যায়াম এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে একজন কিডনি রোগী যদি নিয়মিত থাকেন তাহলে তার রোগ নিয়ন্ত্রণে অনেকটাই সুবিধা হয়ে থাকে। আমরা আজকে আমাদের এই আর্টিকেলে আলোচনা করব কিডনি রোগীর ব্যায়াম সম্পর্কে আপনারা যদি এ বিষয়ে জানতে ইচ্ছুক থাকেন তাহলে অবশ্যই ভালোভাবে আমাদের আর্টিকেলটি করুন।
কিডনি মানুষের শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। কিডনি শরীরে একটি গুরুত্বপূর্ণ কার্য সম্পাদন করতে সক্ষম হয়। তাই শরীরটা সুস্থ রাখতে হলে কিডনিও সুস্থ রাখার প্রতিটি মানুষের জন্য আবশ্যিক।একজন মানুষের যদি কিডনির অবস্থা ঠিক থাকে। তাহলে শরীরে হরমোন ব্যালেন্স ঠিক থাকে তবে একজন মানুষের যখন কিডনির সমস্যা হয়ে থাকে তখন সে মানুষটি তার শরীরের হরমোন ব্যালেন্স ঠিক রাখতে পারেনা যার কারণে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে এমনকি তার মৃত্যু হতে পারে।
মানবদেহে কিডনি খাটনির মতো কাজ করে থাকে। অবশ্যই একে সূর্য রাখা আমাদের দায়িত্ব। হরমোনে নিঃসরণ এবং দেহে রক্তচাপের স্থান নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে থাকে কিডনি। কিডনির মধ্য দিয়ে শরীরে রক্ত প্রবাহিত হয় এবং তার মধ্য থেকে বজ্র পদার্থগুলোকে পৃথক করে প্রস্রাবের মাধ্যমে বের করে দেওয়া হয়ে থাকে এটি হলো কিডনির একমাত্র অন্যতম কাজ।
কিডনি রোগীর ব্যায়াম
কিডনি রোগে বিশেষ বিশেষ কিছু ব্যায়াম রয়েছে যেগুলো নিয়মিত করলে কিডনি রোগীরা অনেকাংশে সুস্থ হয়ে যায়।কিডনি রোগীর জন্য বিশেষ ধরনের একটি ব্যায়াম রয়েছে সেটি হল বজ্রাসন।
এই ব্যায়ামটি করার জন্য প্রথমে একজন কিডনি রোগীকে যা করতে হবে তা হল প্রথমে কোন সমতল স্থানে হাঁটু মোড়ে বসতে হবে। বসার পর এই সময় হাটু দুটো জোড়া অবস্থায় রাখতে হবে এবং পায়ের গোড়ালির উপর নিতম্ব অবস্থান করবে। এরপর পায়ের পাতা থেকে হাঁটু পর্যন্ত মাটির সঙ্গে লেগে রাখতে হবে। এবার দুই হাত হাটুর উপর স্থাপন করতে হবে এই সময় হাতের তালও হাটুর দিকে ফেরানো থাকবে। এরপর ধীরে ধীরে পায়ের পাতা দুটো দুদিকে সামান্য পরিমাণ সরিয়ে নিতে হবে। এরপর এই অবস্থায় মেরুদন্ড ও হাত সোজা রেখে ৩০ সেকেন্ড অবস্থান করতে হবে। অবশ্যই এই সময়ে শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিকভাবেই চালু রাখবেন। ৩০ সেকেন্ড পর আসুন ত্যাগ করে ৩০ সেকেন্ড বিশ্রাম নিতে হবে এরপর আরো দুইবার এভাবে আসনে বসে ব্যায়ামটি করতে হবে।
এই ব্যায়ামটি একজন কিডনি রোগীর জন্য খুবই উপকারে আসবে। তবে অবশ্যই সেই রোগীকে নিয়মিত এই ব্যায়ামটি করতে হবে এতে করে রোগীর শারীরিক এবং মানসিক দুই ধরনেরই উন্নতির বিকাশ ঘটবে। তবে কিডনি রোগের ক্ষেত্রে নিয়মিত মেডিকেল চেকআপের মাধ্যমে থাকতে হবে রোগীকে। শুধু তাই নয় এর পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর জীবন যাত্রা অবলম্বন করে কিডনি রোগ সহজেই এড়ানো সম্ভব। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে এবং সন্ধ্যায় নিয়মিত এই ব্যায়ামগুলো করার মাধ্যমে একজন কিডনি রোগী বেশ উপকার পাবে। তাই একজন কিডনি রোগীর ক্ষেত্রে এই ব্যায়ামগুলা করার অত্যন্ত জরুরি। আশা করি আপনারা আমাদের আজকের এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিতে পেরেছেন কিডনি রোগীর ব্যায়াম সম্পর্কে সকল তথ্য।