স্বাভাবিকভাবে একটি সুস্থ মানুষের শরীরে সাধারণত শুক্রানু বৃদ্ধির কোন প্রয়োজন পড়ে না। কিন্তু যদি কোনো কারণে সে কোন অসুস্থতায় পড়ে তাহলে শুক্রাণু বৃদ্ধির প্রয়োজন পড়ে। বিশেষ করে যখন সন্তান গ্রহণের ইচ্ছা জাগে তখন স্বামী স্ত্রী উভয়ের সমস্যা তদন্ত করতে গিয়ে যখন ধরা পড়ে সাবেক সংক্রান্ত সমস্যা আছে তখন অবশ্যই এই চিকিৎসা করানো উচিত। এর পাশাপাশি স্বাভাবিকভাবে যারা নিজের শরীরকে সুন্দর রাখতে চান তাদের নিজের শরীরের এই দিকটা খেয়াল রাখতে হবে এবং এর জন্য অবশ্যই কিছু ব্যায়াম আছে যেগুলো আপনি নিয়মিত করলে অনেক উপকার পাবেন।
ব্যায়াম নিঃসন্দেহে আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী এবং অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি জিনিস। সাধারণত আমরা যখন প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে যায় তখন বিভিন্ন কারণে আমাদের মধ্যে খেলাধুলা আমাদের মধ্যে চঞ্চলতা এবং ছোটাছুটি কারণ কমে আসে যার কারণে আমরা এগুলো করতে পারিনা। কিন্তু এর পরিবর্তে আমরা ব্যায়ামগুলো করতে পারি যেটা আমাদের শরীরকে সতেজ এবং সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।
সাধারণত নিয়মিত যোগব্যায়াম এর কারণে আপনি চাইলে আপনার দেহের থাকা শুক্রাণুর পরিমাণ বৃদ্ধি করতে পারেন। এখানে স্পার্ম কাউন্ট রেট যদি কম থাকে তাহলে সেটা সন্তান গ্রহণের ক্ষেত্রে বাধাগ্রস্ত হতে পারে তাই অবশ্যই চিন্তা ভাবনা করে আপনাকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। সাধারণত ব্যায়াম নিয়মিত করার ফলে ওজন কমে যাওয়া এবং শরীরকে সুস্থ রাখতে ফিট রাখতে যদি আপনি পারেন তাহলে এটা অবশ্যই কার্যকরী। উল্লেখ করা হয়েছে যে 16 টি সপ্তাহে তিনবার করে ৫০ মিনিট করে অ্যারোবিক্স এক্সারসাইজ করলে শুক্রাণুর সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম এবং শরীরের সুস্থতা বজায় থাকলে এটা প্রাকৃতিকভাবেই বৃদ্ধি পায়।
শুক্রাণু বৃদ্ধির উপায়
শুক্রাণু বৃদ্ধির উপায় সম্পর্কে যদি বলতে হয় তাহলে আমরা আপনাদের কিছু উপায় সম্পর্কে অবগত করবো যে উপায় গুলো প্রাকৃতিকভাবে আপনার বীর্যের মধ্যকার শুক্রানুর সংখ্যা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। এটা সাধারণত অসুস্থ পুরুষদের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি তথ্য তাই আশা করছি আপনারা এই তথ্যগুলো সংগ্রহ করে নিজে নিজেই চেষ্টা করবেন এবং পরীক্ষা করে দেখবেন তার ফলাফল।
সবার প্রথমে যেই জিনিসটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সেটা হচ্ছে শরীরচর্চা। শুক্রাণু বৃদ্ধির জন্য আলাদা যোগ ব্যায়াম আছে আপনারা যদি সেই ব্যায়ামগুলোর প্র্যাকটিস করতে পারেন এবং প্রতি সপ্তাহে অন্তত চার থেকে পাঁচ দিন এটা নিজে নিজে সঠিকভাবে করতে পারেন তাহলে অবশ্যই দেখবেন কয়েক মাসের মধ্যেই আপনি এর ফলাফল পেয়েছেন। তাই শুক্রানু বৃদ্ধির উপায় মধ্যে শরীর চর্চা হচ্ছে একটি।
আরেকটি জিনিস আপনারা করতে পারেন সেটা হচ্ছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম। সাধারণত পুরুষরা বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের দায়িত্বের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এতে করে অনেকে অনেক ধরনের ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে দিন কাটায়। বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা এবং পারিবারিক টানাপোড়নের কারণে দেখা যায় দেশে নিজের প্রতি খেয়াল রাখতেই ভুলে যায় যার কারণে তার ঘুমের পরিমাণ কমতে শুরু করে এবং এতটাই প্রভাব ফেলে যে এ কারণে তার শুক্রাণুর পরিমাণ কমে যায়। একজন সুস্থ মানুষের প্রতিদিন অন্তত আট ঘন্টা ঘুমানো উচিত তা না হলে সে কখনো সুস্থ থাকতে পারবে না এবং সেটা বিভিন্নভাবে তার শারীরিক ক্ষতির সাধন করবে।
যদিও এটা বলা যতটা সহজ করা ততটা কঠিন নয় তারপরও চেষ্টা করতে হবে এবং সেই কাজটি হল স্টেস এড়িয়ে চলা। আপনি যতটা চিন্তামুক্ত থাকতে পারবেন এবং যতটা ফ্রি থাকতে পারবেন ততই এটা আপনার শরীরের স্বাভাবিক নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে আপনাকে সাহায্য করবে এবং শুক্রানু বৃদ্ধিতেও আপনাকে সাহায্য করবে।
এছাড়াও নিয়মিত কিছু ভালো খাবার যাতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকবে এবং ফাইবার থাকবে ভিটামিন থাকবে এবং মিনারেল থাকবে, থাকবে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এই খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে এবং কিছু বদ অভ্যাসে যেমন অ্যালকোহল সেবন অথবা ধূমপান এই জিনিসগুলো যদি আপনি বর্জন করতে পারেন তাহলে দেখবেন আপনার বীর্যের শুক্রানুর সংখ্যা এমনিতেই বৃদ্ধি পেয়েছ