আপনারা যারা আজকে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ছেন তাদের জন্য আমরা আজকে নিয়ে এসেছি গর্ভবতী মায়ের পাঁচটি বিপদ চিহ্ন সম্পর্কে। একজন গর্ভবতী মা যখন জানতে পারবেন যে সে গর্ভবতী তখন থেকে সে গর্ভবতী মায়ের পাঁচটি বিপদ চিহ্ন সম্পর্কে জেনে রাখা ভালো।
কারণ আগে থেকে যদি একজন গর্ভবতী মা জেনে রাখেন যে গর্ভাবস্থায় পাঁচটি বিপদ চিহ্ন থাকতে পারে এবং সেগুলো সম্পর্কে তাহলে অবশ্যই তার গর্ব অবস্থায় কালীন সময়ে পাঁচটি বিপদ চিহ্ন হয় সে লক্ষ্য রাখতে পারবে।
তাই একজন গর্ভবতী মায়ের গর্ভাবস্থার সময় পাঁচটি বিপদ চিহ্ন সম্পর্কে জেনে রাখা প্রয়োজন। তো চলুন আমরা কথা না বাড়িয়ে আজকে জেনে নেই একজন গর্ভবতী মায়ের গর্ভাবস্থার সময় যে পাঁচটি বিপদ চিহ্ন হতে পারে সেগুলো সম্পর্কে।
হঠাৎ রক্তপাত শুরু হলে
প্রসবের সময় ছাড়া গর্ভাবস্থায় যে কোন সময় রক্ত ক্ষরণ বা প্রসবের সময় বা প্রসবের পর খুব বেশি রক্ত ক্ষরণ বা গর্ভ ফুল না পরা বিপদের লক্ষণ। তাই এরকম পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে কোন রকম চিন্তা না করে পরিবারের সবারই উচিত মাকে দ্রুত নিকটস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া এবং ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া। কারণ এরকম সময়ে বেশি দেরি হলে বাচ্চা এবং মা দুজনের জীবনে হুমকি ডেকে আনতে পারে।
খিঁচুনি হলে
একজন গর্ভবতী মায়ের গর্ভাবস্থার সময় প্রসবের সময় বা প্রসবের পর যেকোনো সময় যদি খিচুনি দেখা দেয় তবে দেরি না করে সঙ্গে সঙ্গে কাছাকাছি কোন হাসপাতালে সে গর্ভবতী মাকে ভর্তি করাতে হবে।। কারণ খিঁচুনি হল একলেনসিয়ার প্রধান লক্ষণ তাই দেরি করা যাবে না। দ্রুত পদক্ষেপ ও চিকিৎসায় বাচ্চা এবং মা দুজনের জীবনকে রক্ষা করতে পারে। এ সময় বেশি দেরি করলে মা এবং বাচ্চা দুজনেই মারা যেতে পারে।
চোখে ঝাপসা দেখা বা তীব্র মাথা ব্যথা হলে
একজন গর্ভবতী মায়ের গর্ভাবস্থায় প্রসবের সময় বা প্রসবের পর শরীরে পানি আসা খুব বেশি মাথা ব্যথা বা চোখে ঝাপসা দেখা পাঁচটি প্রধান বিপদ চিহ্নের মধ্যে একটি। তাই এ ব্যাপারে মায়েদের বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে। মা যখন বুঝতে পারবেন যে তার চোখে ঝাপসা দেখছে অথবা তীব্র মাথাব্যথা হচ্ছে তখন বসে না থেকে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
যদিও গর্ভাবস্থায় মায়ের পায়ে সামান্য পানি আসা খুব একটা অস্বাভাবিক নয় তবে একটু বেশি হাঁটলে পানি চলেও যেতে পারে। কিন্তু যদি পায় অতিরিক্ত পানি আসে এবং অস্বস্তি সৃষ্টি করে বা পা ভারী হয়ে আসে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
ভীষন জ্বর হলে
গর্ভাবস্থায় বা প্রসবের পর তিন দিনের বেশি গর্ভবতী মায়ের জ্বর দুর্গন্ধযুক্ত সাদা স্রাব প্রধান বিপদহীন এর একটি। বিশেষ করে গর্ভাবস্থায় যদি কেঁপে ভীষণ জ্বর আসে এবং প্রসাবের সময় জ্বালাপোড়া হয় তবে তা অনেক সময় মুত্রনালী সংক্রমণের ইঙ্গিত বহন করে থাকে। একজন গর্ভবতী মা যদি এসব অনুভব করেন তাহলে বসে না থেকে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে এবং এ সমস্যাটি চিকিৎসা করলে অল্প সময়ে ভালো হয়ে যেতে পারে।
বিলম্বিত প্রসব হলে
একজন গর্ভবতী মায়ের প্রসব বেদনা যদি ১২ ঘণ্টার বেশি হয় অথবা প্রসবের সময় যদি বাচ্চার মাথা ছাড়া অন্য কোন অঙ্গ বের হয়ে আসে তবে বাসাবাড়িতে প্রসবের চেষ্টা না করে সবারই উচিত মাকে নিকটস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া। কারণ এরকম অবস্থায় যদি আপনারা বাড়িতে বসে থাকেন এবং চেষ্টা করে যান তাহলে কিন্তু ভালোর পরিবর্তে ক্ষতির আশঙ্কায় বেশি থাকে। এমনকি এরকম পরিস্থিতিতে মা এবং শিশু দুজনেরই জীবনের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
আশা করি আপনারা আমাদের আর্টিকেল থেকে গর্ভবতী মায়ের পাঁচটি বিপদ চিহ্ন সম্পর্কে জেনে নিতে পেরেছেন। একজন গর্ভবতী মায়ের এই বিপদ ছিন্ন সম্পর্কে শুধু জানলেই হবে না সঠিক সময়ে সঠিক ব্যবস্থাও নিতে হবে। সুস্থ থাকবেন ভালো থাকবেন এবং বিপদ হওয়ার সাথে সাথেই চেষ্টা করবেন নিকটস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যাওয়ার।