সাত মাসের গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা

মা হওয়া প্রতিটি মেয়ের জীবনে অন্যরকম এক সুখের অনুভূতি। গর্ভাবস্থায় মা ও শিশুর স্বাস্থ্য পরিচর্যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গর্ভবতী মায়ের খাবার ও যত্নের উপর নির্ভর করে শিশুর স্বাস্থ্য ও সুস্থতা। গর্ভধারণের সময় হতে সন্তান ভূমিষ্ঠ পর্যন্ত সময়কালের যত্নকে গর্ভকালীন যত্ন বলা হয়।

এছাড়াও প্রত্যেকটি গর্ভবতী মায়ের নিয়মিত স্বাস্থ্যসেবা নিরাপদ প্রসব এবং প্রসব পর্বতের স্বাস্থ্যের সেবা নিশ্চিত করা। কোন জটিলতা দেখা দিলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। কারণ মায়ের সুস্থতার উপর নির্ভর করে বাচ্চার সুস্থতা। তাই মা ও শিশুর সুস্থতার কথা চিন্তা করে গর্ভধারণের প্রথম দিন থেকে মায়ের স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে হবে।

আমরা আজকে নিয়ে এসেছি আপনাদের সুবিধার্থে একটি নতুন আর্টিকেল আজকের আর্টিকেল আলোচনা করা হবে সাত মাসের গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে সকল আলোচনা।।

সাত মাসের গর্ভবতী মায়ের যত্ন

গর্ভধারণের নিশ্চিত হওয়ার সাথে সাথে একজন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া বিশেষভাবে প্রয়োজন একজন গর্ভবতী মায়ের। গর্ভবতীকে ২৮ সপ্তাহ পর্যন্ত প্রতিমাসে একবার ৩৬ সপ্তাহ পর্যন্ত ১৫ দিনে একবার এবং সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর প্রতি সপ্তাহে একবার চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

এছাড়াও গর্ভকালীন সময়ে প্রথম তিন মাস এবং শেষ তিন মাস ভ্রমণে না যাওয়াই ভালো কারণ যানবাহনে ভ্রমণ করা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। শারীরিক ও মানসিক প্রশান্তির মধ্যে থাকতে হবে একজন গর্ভবতী মাকে এতে শিশু স্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাবে।

এছাড়াও মায়ের কষ্টকর এবং ভারী কাজ গুলো থেকে এ সময়টিতে বিরত থাকতে হবে। যেসব মায়েদের আগে থেকে টিটি টিকা দেওয়া নেই তাদের পাশ থেকে 8 মাসের মধ্যে দুইটি টিটি টিকা দিতে হবে এটি সম্পূর্ণ সন্তানের কল্যাণের জন্য। সব সময় একজন গর্ভবতী মায়ের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা জরুরী পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকলে মনও ভালো থাকে।

একজন গর্ভবতী মায়ের অবশ্যই নিয়ম মেনে বিশ্রাম নেওয়া প্রয়োজন। দিনে দুই ঘন্টা এবং রাতে আট ঘন্টা ঘুমাতে হবে। গর্ভকালীন সময়ে মায়েদের দাঁতগুলো নরম হয়ে যায় তাই দাঁত ও মাড়ির বিশেষভাবে যত্ন নিতে হবে একজন গর্ভবতী মাকে।

সাত মাসের গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা

গর্ভবতী অবস্থায় একজন মায়ের শরীরে অতিরিক্ত ক্যালোরির প্রয়োজন হয়। কারণ এ সময় মায়ের কোষ ফিটাস প্লাসেন্টা গঠিত হয় তাই সাধারণত খাবারের পাশাপাশি কিছু অতিরিক্ত খাবার খেতে হয় একজন মাকে। মনে রাখবেন সুস্থ আমায় পারে একজন সুস্থ সন্তান জন্ম দিতে। তাই এ সময়ে মায়ের খাবার দাবার সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে।

সাত মাসের গর্ভবতী অবস্থায় প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে। কারণ তখন বেশি কুষ্ঠ কাঠিন্য হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর এ সময়ে আদা চা অনেকের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও সাহায্য করে। তাই আপনারা চাইলে এসময় একটু আদা চা করে খেয়ে নিতে পারেন এতে করে অনেক আরাম পাবেন। এ সময়ে একজন গর্ভবতী মায়ের সকালে খালি পেটে উঠে এক গ্লাস ইসবগুলের ভুষি খাওয়া প্রয়োজন। এতে করে সারাদিনের এসিডিটির সমস্যাটা অনেকটাই কমে আসে।

এ সময় আঁশযুক্ত ফল ও শাকসবজি খাওয়া উচিত খুব ঝাল ও ভাজাপোড়া খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। এছাড়াও ভিটামিন সি যুক্ত খাবার বেশি বেশি খেতে হবে। যেমন আমলকি পেয়ারা লেবু ইত্যাদি। নিয়মিত বেশি বেশি সবুজ শাকসবজি ফলমূল খাওয়ার পাশাপাশি সাত মাসের গর্ভবতী মায়ের এসময়ে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম এবং বিশ্রাম নেওয়া প্রয়োজন।

কারণ মায়ের খাওয়ার উপর নির্ভর করে বাচ্চার শিশুর শারীরিক গঠন তৈরি হয়। আর মায়ের বিশ্রামের উপর নির্ভর করে শিশু তার স্বাভাবিক নাড়াচাড়া থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যবান হয়ে থাকে। সাত মাসের গর্ভবতী অবস্থায় মায়ের অনেক কষ্ট হয়ে থাকে। এ সময় অনেক মা নিয়ম করে ঘুমাতে পারেন না।

তবে মাকে তখন শক্ত থাকতে হবে এবং প্রয়োজনমতো বিশ্রাম ও ঘুমাতে হবে। কারণ নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার এবং নিয়মিত বিশ্রামের মাধ্যমে একজন মা ও শিশু সঠিকভাবে সুস্থ এবং সুন্দর থাকবে।