হিমোগ্লোবিন যুক্ত খাবার

শরীরের হিমোগ্লোবি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে আপনাকে নিজের খাবারের প্রতি সবথেকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। আপনি যদি নিজের খাবারের প্রতি সঠিক গুরুত্ব না দিতে পারেন তাহলে আপনার হিমোগ্লোবিন কখনোই ওষুধের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে আসবে না। আপনি যদি ঔষধের মাধ্যমে এই হিমোগ্লোবিনকে নিয়ন্ত্রণে আনতে চান তাহলে ভুল করবেন তাই আপনাকে চেষ্টা করতে হবে নিজের খাবারের মাধ্যমে সেটাকে নিয়ন্ত্রণে আনা। কোন খাবার গুলোর মাধ্যমে আপনি আপনার শরীরের হিমোগ্লোবিন কে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবেন এবং অন্যান্য অসুখ-বিসুখ কে তুলে রাখতে পারবেন সে সম্পর্কে আমরা আপনাদের জানাবো।

খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে একটু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে তার কারণ হচ্ছে যে খাবারগুলোতে ডায়াবেটিসের পরিমাণ বেড়ে যায় এবং হাই প্রেসার বেড়ে যায় তাদের এই খাবারগুলো বর্জন করতে হবে। এই খাবারগুলো বর্জন করার পরে যে খাবারগুলো থাকে তাদের মধ্য থেকে যেগুলোতে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বেশি অর্থাৎ আয়রনের পরিমাণ বেশি সেই খাবারগুলো খাবার চেষ্টা করুন।

হিমোগ্লোবিন যুক্ত ফল

হিমোগ্লোবিনযুক্ত ফল নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে সবথেকে ভালো দিক হচ্ছে এই ফলে আপনি কিছু উপকারী জিনিস পাবেন এবং এগুলোতে উপকার বেশি রয়েছে অন্যান্য খাবারের তুলনায়। যেমন মনে করুন ভিটামিন সি জাতীয় ফল আপনি বেশি বেশি খেতে পারেন সেটা যেকোনো ধরনের রোগীদের জন্যই উপকারী। যেমন আপেল থেকে শুরু করে বেদনা, পেয়ারা, স্ট্রবেরি,তরমুজ ইত্যাদি ফল।

হিমোগ্লোবিন যুক্ত মাছ

যাদের বাড়ি উপকূলীয় জায়গার আশেপাশে তাদের কাছে সামুদ্রিক মাছ পাওয়াটা অনেক সহজ কিন্তু যাদের এই এলাকার আশেপাশে নয় তাদের ক্ষেত্রে এই মাছগুলো পাওয়া অত্যন্ত কষ্টসাধ্য। তবে যদি আপনি কষ্ট করেও এই মাছগুলোর ব্যবস্থা করতে পারেন তাহলে এই বাসগুলো খাওয়ার ফলে প্রচুর পরিমাণে আয়রন এবং খুনিদের ঘাটতি পূরণ করতে পারবেন আপনি। যা শরীরের রক্তস্বল্পতা অর্থাৎ হিমালয় ঘাটতি পূরণের সাহায্য করবে এছাড়াও চিংড়ি থেকে শুরু করে কাকড়া ও সামুদ্রিক মাছ হাতে নিয়মিত খাবেন।

হিমোগ্লোবিন জাতীয় শস্য

সাধারণত যে শস্যগুলো আপনি খেতে পারেন আপনার হিমোগ্লোবিন কে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এবং এই শস্য গুলো আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ এবং শারীরিক ওজন নিয়ন্ত্রণ ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে। ছোলা জাতীয় খাবার থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের মটরশুটিজাতীয় খাবার এবং এ ধরনের অন্যান্য খাবারগুলো আপনি যে কোন উপায়ে খেতে পারেন হিমোগ্লোবিন কে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য।

হিমোগ্লোবিন যুক্ত সবজি

শরীরের হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি পূরণের জন্য সবজি অনেক উপকারী জিনিস। সাধারণত নিজেই সবজিগুলোতে আয়রনের পরিমাণ বেশি যেমন মনে করুন ব্লকলি, আলু, কুমড়া, টমেটোড় বিটরুট ইত্যাদি খাবার আপনি খেতে পারেন। এর পাশাপাশি কচুর শাক বা পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন আছে তবে এক্ষেত্রে যাদের এই সাপগুলো খেলে অন্য রোগ বৃদ্ধি পেতে পারে তারা এগুলো বর্জন করতে পারে।

হিমোগ্লোবিন যুক্ত খাবার

আমরা যে নিয়মিত খাবার গুলো খাই তাদের মধ্যে চাল, গম, বার্লি কিংবা ওটস জাতীয় খাবার খেলে রক্তশূন্যতার উপকার পাওয়া যায়। এগুলো আয়রন সমৃদ্ধ খাবার এবং এগুলো পর্যাপ্ত পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট রয়েছে যা আমাদের শরীরের রক্তশূন্যতা কমাতে অনেক বেশি সাহায্য করে। আমরা চাইলে লাল চালের ব্যবহার করতে পারি অথবা কালো চালের ব্যবহার করতে পারি এই ক্ষেত্রে।

এছাড়াও রক্তস্বল্পতা ঘাটতি করার জন্য আপনি যেকোনো ধরনের খাবার আপনার পছন্দের তালিকা রাখতে পারেন। যাদের ডায়াবেটিস আছে এবং উচ্চ রক্তচাপ আছে তারা শুধুমাত্র একটু সতর্ক অবস্থানে থাকবেন তাদের যদি ওই খাবারগুলোতে কোন সমস্যা হয় তাহলে ওই খাবারগুলো বাদ দিয়ে পরিমিত পর্যায়ে প্রত্যেকটি খাবারই আপনারা খেতে পারেন। রক্তস্বল্প তো অনেক বড় ধরনের একটি সমস্যা তাই সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এটাকে পুরোপুরি নির্মূল করার চেষ্টা করুন।