আপনি কি খুব সহজেই গর্ভবতী হতে চান? তবে এর জন্য যে কিছু নিয়ম কানুন গুলো রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে জানেন না? নিয়মগুলো কি আপনি খুঁজছেন? যদি তাই হয়ে থাকে তাহলে আমি বলবো আপনি ঠিক জায়গায় এসেছেন কারণ আমরা আজকে নিয়ে এসেছি শুধুমাত্র আপনাদের সুবিধার্থে গর্ববতী হওয়ার কিছু ঘরোয়া উপায় নিয়ে যা আপনাদের অনেক উপকারে আসতে পারে।
আপনারা যারা দ্রুত সন্তান নিতে চাইছেন তাদের জন্য আজকের আমাদের এই আর্টিকেলটি। কিছু দম্পতি রয়েছেন যারা ধীরেসুস্থে সন্তান নেওয়ার দিকে এগিয়ে যান কিন্তু কিছু কিছু দম্পতি রয়েছেন যে তাদের অতি দ্রুত সন্তানের মা-বাবা হতে হবে এমন ক্ষেত্রে কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম অনুসরণ করাটা বিশেষভাবে সেই দম্পতিদের জন্য প্রয়োজন। এর কারণ হলো সন্তান ধারণের যে বায়োলজিক্যাল ফ্যাক্টর গুলো জড়িয়ে থাকে তাতে কোন খামটি না রাখাটাই আবশ্যক।
প্রতিটা দম্পত্তির একটি স্বপ্ন থাকে আর সেটি হল সন্তানকে নিয়ে। কারণ একটি সন্তান একটি পরিবারের আশার আলো। ভালোবাসার পূর্ণতা যেমন সম্পর্কের স্থায়িত্বে ঠিক তেমনি সম্পর্কের বৃত্তকে পূর্ণ করে থাকে একটি সন্তান।
তাই প্রতিটি পরিবারে প্রতিটি দম্পতির ঘর আলো করে একটি সন্তান আসো এটি প্রায় সকলেই চেয়ে থাকে। তবে যারা দ্রুত সন্তান নেওয়ার চেষ্টা করেন তাদের জন্য বিশেষ কিছু উপায় রয়েছে আর সেগুলো সম্পর্কে তাদের জেনে নেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন। তো চলুন সে উপায় গুলো সম্পর্কে বিশেষভাবে জেনে নেওয়া যাক।
চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে নিন
আপনি যদি দ্রুত সন্তান নিতে চান তাহলে সবার আগে একজন চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে নিন। কারণ আপনার শারীরিক পরিস্থিতি কোন পর্যায়ে রয়েছে এবং তা গর্ভধারণের পক্ষে কতটা সহায়ক তা একজন চিকিৎসকেই ভালো বলতে পারেন। এছাড়াও ঔষধ যদি খেয়ে থাকেন নিয়মিত তা গর্ভধারণের পক্ষে বাধা হবে কিনা তা জেনে নেওয়াটাও বিশেষভাবে প্রয়োজন এর ফলে গর্ভধারণের সময় অহেতুক শারীরিক সমস্যাকে এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব।
গর্ভধারণের আগে দন্ত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন
গর্ভধারণের আগে দাঁতের চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করতে ভুলবেন না কারণ একটা জিনিস খেয়াল রাখবেন যে দাঁতের কোন সমস্যা আপনার গর্ভধারণের প্রভাব ফেলার ক্ষমতা রাখে। কারণ এর জন্য অনেক সময় সন্তান কম ওজনের এবং প্রিম্যাচিউর হয়ে জন্ম নিতে পারে। দাঁতের গান সমস্যায় গর্ভধারণ অনেক সময় সমস্যায় পড়ে। তাই দাঁতের চিকিৎসক আপনার শারীরিক সুরক্ষা এবং হেলথ ও হাইজিনকে নিশ্চিত করতে সাহায্য করার ক্ষমতা রাখেন।
নিয়ন্ত্রণ রেখে শরীর চর্চা করুন
গর্ভধারণের আগে শারীরিক কসরত শরীরের মেটাবলিজমকে সচল করে তোলে এবং অবেসিটিকে দূরে সরায় তাই অবশ্যই নিয়ন্ত্রণ রেখে শরীর চর্চা করতে হবে গর্ভবতী হওয়ার আগে।
শরীরের রক্ত সঞ্চালনা ঠিকঠাক হয় বলে প্রচুর এনার্জি পাওয়া যায় এ সময় যার কারণে শরীর একটা সুস্থ বোধ করে থাকে। এছাড়াও শরীরচর্চা শুধু শরীরকে সুস্থ না মনের নমনীয় তাকে বজায় রাখতেও সাহায্য করে।
তবে অবশ্যই মাত্রার মধ্যে শরীর চর্চা করুন এবং গর্ভধারণের পক্ষে অন্তরায় হয়ে উঠতে এগিয়ে যান। অবশ্যই একটি সুস্থ সবল স্বাভাবিক শারীরিক ওজন বজায় রাখুন।
মনে রাখবেন একটি সুস্থ স্বাস্থ্যসম্মত শারীরিক ওজন দ্রুত গর্ভধারণের বিষয়টিকে নিশ্চিত করতে সাহায্য করে থাকে তাই অতিরিক্ত শারীরিক ওজনে গর্ভধারণের সময় নানা ধরনের জটিলতা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি করে।
অবশ্যই আপনার হাইট অনুযায়ী আপনার শরীরের ওজন থাকা প্রয়োজন এতে করে কোন রকমের জটিল রোগ বালাই থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। আর গর্ভধারণের ক্ষেত্রে শরীরের ওজন কম থাকায় সবথেকে ভালো এতে করে গর্ভধারণ ক্ষমতা অনেক অংশেই বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বিশেষ করে ওবিসিটি যা গর্ভধারণের পক্ষে একটা বড় শত্রু তাকে অনেকখানি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে অপেক্ষাকৃত কম শারীরিক ওজনের মানুষজন।