হিমোগ্লোবিন কত হলে রক্ত দিতে হয়

হিমোগ্লোবিন কতটা গুরুত্বপূর্ণ জিনিস সেটা সম্পর্কে আপনাদের নতুন ভাবে পরিচয় করিয়ে দিতে হবে না। এটা এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস যদি কখনো এর পরিমাণ আমাদের শরীরে কমে যায় তাহলে আমাদের শরীরের রোগ হতে পারে। হিমোগ্লোবিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস তাই আমাদের মাথায় রাখতে হবে এই গুরুত্বপূর্ণ জিনিসটা সব সময় নিয়ন্ত্রণে রাখতে। হিমোগ্লোবিন পরীক্ষার মান সাধারণত নির্ধারণ করা হয় প্রতি ডেসি লিটারে কত গ্রাম হিমোগ্লোবিন আছে সেটা।

কিছু কিছু রোগের ক্ষেত্রে অস্ত্র পাচারের পূর্বে রক্ত দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা করে সে ক্ষেত্রে হিমোগ্লোবিন পরীক্ষা করা হয়। এই অবস্থাতে সেই রোগীর হিমোগ্লোবিনের মাত্রা প্রতি ডেসিলিটারে যদি ৮ গ্রাম এর নিচে হয় তাহলে অবশ্যই তাকে রক্ত দিতে হবে। এখানে অস্ত্র পাচারের ধরণের উপর নির্ভর করে সাধারণত কতটুকু রক্ত থাকে দিতে হবে সেটা চিকিৎসকরা নির্ধারণ করে থাকেন।

স্বাভাবিক রক্ত সল্পতার কারণে কখন হিমোগ্লোবি ন কত হলে রোগীকে রক্ত দিতে হয় সেটা অনেকে জানতে চান। হিমোগ্লোবিন যে স্বাভাবিক মাত্রা আছে সেটা থেকে প্রায় অর্ধেকে যদি হিমোগ্লোবিনের মাত্রা নেমে আসে অর্থাৎ সুস্থ মানুষের জন্য যদি এটা প্রতি ডেসিলেটারে ৭ গ্রামের নিচে চলে যায় তাহলে অবশ্যই খুব দ্রুত তাকে রক্ত প্রদান করতে হবে। এটা অত্যন্ত সাংঘাতিক বিষয় তাই সবসময় সতর্ক থাকতে হবে তবে রোগীদের ক্ষেত্রে হিমোগ্লোবিন ১০ এর নিচে নেমে গেলেই চিকিৎসা করা প্রস্তুত থাকতে বলেন রক্ত দেওয়ার জন্য ।

হিমোগ্লোবিন স্বাভাবিক কত

হিমোগ্লোবিনের স্বাভাবিক মাত্রা জানাটা অত্যন্ত জরুরী। হিমোগ্লোবিন অতি সাধারণ জিনিস হলেও এর মাত্রা যদি স্বাভাবিক না থাকে দীর্ঘ সময় ধরে তাহলে সেটা রক্তস্বল্পতার লক্ষণ এবং রক্তস্বল্পতার কারণে আপনার শরীরের প্রত্যেকটা জিনিসের করব ক্ষমতা কমে যেতে পারে। হিমোগ্লোবিন স্বাভাবিক মাত্রা জানার জন্য অবশ্যই আপনাকে একটি জিনিস মাথায় রাখতে হবে পুরুষ এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে হিমোগ্লোবিনের স্বাভাবিক মাত্রায় আলাদা।

হিমোগ্লোবিন পরীক্ষার মান প্রদান করা হয় প্রতি ডেসিলিটারে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কত তার ওপর নির্ভর করে। এখানে প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের কথা যদি আমরা বলি তাহলে প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের শরীরের রক্তে প্রতি ডেসিলিটারে যদি হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ ১৪ গ্রাম থেকে ১৮ গ্রামের মধ্যে থাকে তাহলে সেটা আদর্শ মান। এই অবস্থাতে সেই প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ একেবারে সুস্থ আছেন এবং তার শরীরের রক্তের কোন ধরনের ঘাটতি নেই।

মহিলাদের ক্ষেত্রে যদি তার শরীরের রক্তের প্রতি ডেসি লিটারে হিমোগ্লোবিনের মান ১২ গ্রাম থেকে ১৬ গ্রামের মধ্যে থাকে তাহলে সেটা ভালো। সাধারণত মহিলাদের ক্ষেত্রে রক্তস্বল্পতার ধারণা বেশি পাওয়া যায় তাই এই অবস্থাতে মহিলাদের অবশ্যই এই আদর্শ মান বজায় রেখে চলতে হবে নিজের শরীরের সুস্থতা নিশ্চিত করার জন্য।

গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন কত হলে রক্ত দিতে হয়

আমরা উপরে খুব সুন্দর ভাবে প্রাপ্তবয়স্ক মহিলাদের হিমোগ্লোবিনের পরিমাণের কথা উল্লেখ করেছে। সাধারণত আপনার গর্ভে থাকা সন্তান আপনার শরীর থেকে রক্ত গ্রহণ করে আপনার শরীরে রক্ত ব্যবহার করে সে সন্তানের জন্য খাদ্য তৈরি করা হয় তাই সেই ক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবে গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কম থাকে। তবে যদি এই গর্ভাবস্থায় আপনি হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ প্রতি ডেসিলিটারে ১২ গ্রাম বা ১৬ গ্রামের মধ্যে রাখতে পারেন তাহলে সেটা সবথেকে ভালো হয়। এ অবস্থাতে গর্বে থাকা সন্তান আপনার শরীরের অতিরিক্ত হিমোগ্লোবিন ব্যবহার করে সুস্থ থাকতে পারবে ।

রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে কি কি সমস্যা হয়

রক্তে হিমোগ্লোবিনের স্বল্পতা দেখা দিলে রক্তস্বল্পতা দেখা দেয় এর পাশাপাশি মাথা ঘোরা এবং শারীরিক দুর্বলতা দেখা দিতে পারে। সাধারণত এই ধরনের যে রোগ গুলো রয়েছে সেগুলো হিমোগ্লোবিনের অভাবে মানুষের শরীরে বেশি হতে দেখা যায়। রোগের আকার যদি বৃদ্ধি পেতে থাকে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।