চার মাসের গর্ভবতী বাচ্চার নড়াচড়া

একজন গর্ভবতী মা সাধারণত ১৮ থেকে ২৪ সপ্তাহে প্রথম পেটের ভেতর শিশুর নড়াচড়া টের পেতে শুরু করেন। এসময় মৃদু কম্পন বা ধাক্কার মতো হবে অনুভূতিটা। তবে শিশুর নাড়াচড়ার বিষয়টি একেক মায়ের ক্ষেত্রে এক এক রকম অনুভূত হয়ে থাকে।

অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় মা যদি প্রথমবারের মতো গর্ভধারণ করে তাহলে সে ক্ষেত্রে বাচ্চার নড়াচড়া একটু দেরিতে ই বুঝতে পারে। অন্যদিকে মা যদি দ্বিতীয়বার তৃতীয় গর্ভধারণ করে থাকেন তাহলে সাধারণত অনেক আগে থেকেই বাচ্চা নড়াচড়া একজন মা অনুভুতি করতে পারেন।।

আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন চার মাসের গর্ভবতী বাচ্চার নড়াচড়া সম্পর্কে। তাই আমরা আজকে নিয়ে এসেছি নতুন একটি আর্টিকেল যার মাধ্যমে আমরা আলোচনা করব চার মাসের গর্ভবতী বাচ্চার নড়াচড়া সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্যগুলো।

তো চলুন আপনারা যারা এ বিষয়টি নিয়ে জানতে ইচ্ছুক রয়েছেন তারা আমাদের সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন এবং জেনে নিন বাচ্চার নড়াচড়ার সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্যগুলো।

বাচ্চার নড়াচাড়া প্রথমবার অনুভূতি হওয়া

একজন গর্ভবতী মা যখন প্রথম জানতে পারেন যে সে অন্তঃসত্ত্বা তখন থেকেই তার মাঝে একটি খুশি এবং ভয় দুটোই কাজ করে। এটা ভেবেছে সারাক্ষণ খুশি হয় যে সে মা হতে চলেছে এবং তার মাধ্যমে একটি সন্তান ধীরে ধীরে বড় হচ্ছে।

আবার অপরদিকে মা ভয়ে ভয়ে থাকে কারণ সে সবসময় প্রার্থনা করে যে তার গর্ভের সন্তান যেন সুস্থ থাকে ভালো থাকে এবং সে যেন সুস্থ স্বাভাবিকভাবে তার গর্ভের সন্তানকে জন্ম দিতে পারে।

গর্ভস্থ শিশুর নাড়াচড়া বাক্যিক প্রথম যেদিন অন্তসত্ত্বা মাটির পান সেদিন কার অভিজ্ঞতার কোন তুলনায় হয় না। এই আনন্দময় মুহূর্তের জন্য মা অপেক্ষা করে থাকেন। বিশেষজ্ঞরা এই নড়াচড়া কে গর্ভস্থ শিশুর সুস্থতার একটি বড় লক্ষণ হিসেবে বিবেচনা করে থাকেন।

অনেক বিশেষজ্ঞ রায় বলে থাকেন গর্ভের সন্তান যত নড়াচাড়া করবে তাহলে বুঝতে হবে সেই বাচ্চাটি অনেক সুস্থ এবং সবল আছে। তাই যখন সারাদিনের নড়াচড়া মাটির পেতে থাকেন তখন যেন মায়ের মন আনন্দে ভরে ওঠে। তাই বিশেষজ্ঞরা গর্ভবতী মাকে বলে দেন যেন সারা দিনে নাড়াচাড়া খেয়াল করে রাখা হয়। এর মধ্যে কোন ব্যতিক্রম ঘটলে তা চিকিৎসককে দ্রুত জানাতে হবে।

চার মাসের গর্ভবতী বাচ্চার নাড়াচাড়া

বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন সাধারণত একজন গর্ভবতী মা ১৮ থেকে ২৪ সপ্তাহে প্রথম পেটের ভেতর শিশুর নড়াচড়া টের পেতে শুরু করেন। এই সময় মৃদু কম্পন বা ঢাকার মতো অনুভূতি হয়। ক্রমে মা নড়াচড়া আরও ভালো টের পেতে শুরু করবেন। প্রথম মা অভিজ্ঞতার কারণে ১৮ সপ্তাহে তা নাও বুঝতে পারেন তবে এতে ভয়ের কিছু নেই।

এক একটি শিশুর নাড়াচাড়ার ধরন একেক ধরনের হতে পারে। শিশু সব সময় নড়তেই থাকবে তাও কিন্তু নয়। শিশু গর্ভের ভেতরে বেশিরভাগ সময়ে ঘুমিয়ে থাকে। তবে এই সময় একটানা ৯০ মিনিটের বেশি হওয়ার কথা নয়। এ সময় মাকে বুঝে নিতে হবে তার শিশুটি কখন কতক্ষণ সাধারণত ঘুমায়।

২৮ থেকে ৩৬ সপ্তাহ গর্ভকালে সবচেয়ে বেশি নড়াচড়া গর্ভবতী মায়েরা বুঝতে পারেন। এতে করে মায়ের অভ্যস্ত হয়ে পড়েন। সাধারণত মায়েরা যখন খাওয়া-দাওয়া করেন খাওয়া-দাওয়া করে নেওয়ার পর বাচ্চারা তখন একটু বেশি নড়াচাড়া করে।

৩৬ থেকে ৪২ সপ্তাহ গর্ভকালে গর্ভস্থ শিশুর আকারে বেশ বড় হয়ে যায় ও তার নড়াচড়ার স্থান কমে যায় ফলে নাড়াচড়া তীব্রতা কমে যায় কিন্তু নড়াচড়া কমে না সে তার নির্ধারিত গতিতে নড়াচাড়া করে থাকে।

নাড়াচাড়া গণনা করার সবচেয়ে ভালো সময় হলো দুপুরে খাবারের পর বাঁকাতে শুয়ে বিশ্রাম নেওয়ার সময় শেষে যখন নড়াচাড়া করে তখন মাকে নাড়াচড়ার গতি এবং কতবার নড়াচাড়া করল সে সম্পর্কে অবগত থাকা উচিত।