হাড় ক্ষয় রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার

মানব শরীরে প্রায় বিভিন্ন জায়গাতে হাড়ের ক্ষয় হয়। বিশেষ করে একটি হাড়ের সঙ্গে অন্য হারে যেখানে সংযোগস্থল আছে যেটাকে আমরা জয়েন্ট বলে থাকি সেই স্থানগুলোতেই হাড়ের ক্ষয় বেশি হয়ে থাকে। হাড়ের ক্ষয় হওয়ার প্রাথমিক যে কারণগুলো রয়েছে তার মধ্যে সবথেকে কমন কারণ হচ্ছে বয়স। আমাদের একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত হাড়ের বৃদ্ধি পায় তারপরে হাড়ের আর কোন বৃদ্ধি পায় না। তাই নির্দিষ্ট সময় অতিক্রম করার পর বা নির্দিষ্ট বয়সের পর সেই জায়গাটা বারবার ব্যবহার হওয়ার কারণে একটু ক্ষয় পেতে পারে।

তবে এর পরিমাণ যদি অনেক বেশি হয় তাহলে সেটা এক ধরনের রোগে রূপান্তরিত হয় এবং এই রোগের জন্য রোগীকে অনেক বেশি কষ্ট অনেক বেশি জ্বালা অনেক বেশি যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়। তবে অস্বাভাবিক কিছু কারণ আছে যে কারণগুলোর কারনেও হাড়ের ক্ষয় হতে পারে যেগুলো বড় ধরনের রোগের কারণে হয় যেমন মনে করুন অস্ট্রিও আর্থ্রাইটিস। এরকম বড় জটিল রোগের কারণে যদি কোন মানুষের হাড়ের ক্ষয় হয় তাহলে সেটা ভালোভাবে চিকিৎসা করার প্রয়োজন রয়েছে।

হাড় ক্ষয় রোধের খাবার

যদি হাড় ক্ষয় হয় এটা নিশ্চিত হন তাহলে তারপরে কোন কোন খাবার আপনি খাবেন এটা সম্পর্কে অবশ্যই আপনাকে সতর্ক অবস্থানে থাকতে হবে। প্রকৃতি থেকে  পাওয়া এমন কিছু খাবার আছে যেগুলো আমরা নিয়মিত খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে হাড়ের জন্য উপকারী হতে পারে আবার কিছু কিছু খাবার এমন আছে যেগুলো সরাসরি হাড়ের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। যেমন মনে করেন যাদের অস্ট্রিও আর্থ্রাইটিস বা হাড় ক্ষয়ের মত সমস্যা আছে তাদের ক্ষেত্রে পুঁইশাক এর মতন গুরুত্বপূর্ণ একটি খাবারকে কম খেতে বলা হয়ে থাকে।

তবে স্বাভাবিকভাবেই যদি হাড়ের ক্ষয় হয় তাহলে সেই ক্ষেত্রে যে খাবারগুলো আপনি খেতে পারেন সেগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার খাওয়ার কথা বলা হয়। হার বৃদ্ধিতে এই ভিটামিন ডি সবথেকে বড় ভূমিকা পালন করে তবে যদি বয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে এ ভিটামিন ডি ব্যবহার করা হয় তাহলে সেটা হারকে শক্ত করতে এবং হাড়ের ক্ষয় রোধ করতে অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। সবার প্রথমে আপনাকে একটা জিনিস নিশ্চিত করতে হবে আপনি যেই খাবারগুলো খাচ্ছেন সেখানে ভিটামিন ডি কোনটাতে বেশি আছে সেই খাবার আপনি বেশি করে খাবেন এছাড়াও ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার যেমন বিভিন্ন ধরনের প্রোটিন জাতীয় খাবার আপনি খেতে পারেন।

কোমরের হাড় ক্ষয় হলে কি করতে হয়

কোমরের হাড় একটি নির্দিষ্ট সময় পরে এমনিতেই ক্ষয় হতে শুরু করে। তবে যারা কোমরের উপর বেশি চাপ দেন অথবা যাদের ওজন অনেক বেশি তাদের ক্ষেত্রে এই ক্ষয় খুব তাড়াতাড়ি দেখা যায় যার কারণে রোগীকে কোমরের ব্যথার মতন কুড়িতর যন্ত্রণাদায়ক ব্যথা সহ্য করতে হয় সারা জীবন। যদি আপনি কোমরের ব্যথা নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যান এবং চিকিৎসক বিভিন্ন পরীক্ষা-নিধিকার মাধ্যমে আপনাকে এটা অবগত করে আপনার মাজার কোমরের হাড় ক্ষয়ে গেছে তাহলে সেই ক্ষেত্রে আপনাকে ভালো মানের চিকিৎসা নিতে হবে।

এক্ষেত্রে চিকিৎসাতে ঔষধের পাশাপাশি আপনাকে আপনার কাজ করার ধরন এবং আপনার শরীরের ওজন কমানোর চেষ্টা করতে হবে যাতে করে মাজার উপর থেকে অতিরিক্ত চাপ কমে যায়। এই কাজগুলো যদি আপনি একই সঙ্গে করতে পারেন তাহলে অবশ্যই সেটা আপনার মাজার হাড়ের ব্যথা নিয়ন্ত্রণ করতে আপনাকে সাহায্য করবে।

কোমরের হাড় এতটাই গুরুত্বপূর্ণ জায়গা যে সেই অংশে কোন ধরনের ব্যাথা হলে আমাদের পুরো শরীর একেবারে অচল হয়ে যেতে পারে। তাই শুরু থেকে অর্থাৎ যাদের বয়স এখন পর্যন্ত ৩০ হয়নি তারা যদি আগে থেকেই প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেন এই বিষয়ে তাহলে দেখা যাবে যে জীবনের পরবর্তী সময়গুলোতে আপনারা অনেক বেশি সুস্থ-সবল হিসেবে বেঁচে থাকতে পারছেন।