গর্ভবতী মায়ের সরকারি ভাতা ফরম

আপনাদের সকলকে স্বাগতম জানাই আমাদের আজকের এ আর্টিকেলে। আমাদের আজকের আর্টিকেলে যে সব দরিদ্র গর্ভবতী মায়েরা রয়েছেন তাদের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ একটি আলোচনা করা হবে। দরিদ্র গর্ভবতী মায়েদের জন্য বাংলাদেশ সরকার গর্ভবতী মায়ের সরকারি ভাতা প্রদানের একটি উদ্যোগ নিয়েছেন। তবে এই সরকারি ভাতা পাওয়ার জন্য একটি ফর্ম এর প্রয়োজন পড়ে সেটি সম্পর্কে আপনাদের জেনে রাখা প্রয়োজন।

আমরা আজকে আমাদের আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদেরকে জানাতে এসেছি গর্ভবতী মায়ের সরকারি ভাতা ফরম সম্পর্কে সকল তথ্য।

মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি পুষ্টি সমৃদ্ধ আগামী প্রজন্ম তৈরীর লক্ষ্যে গ্রামীন এলাকার ৭ লক্ষ ৭০ হাজার দরিদ্র গর্ভবতী মায়েদের জন্য ভাতা প্রদান করেছে। মাতৃগর্ভ অর্থাৎ সূর্য থেকে চার বছর বয়স পর্যন্ত শিশুর পুষ্টি চাহিদা মিটানো এবং বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশের উপর গুরুত্ব দিয়ে এ ভাতা প্রদান কর্মসূচির রূপরেখা প্রণয়ন করা হয়েছে।

কর্মসূচিতে মাতৃ মৃত্যু ও শিশু মৃত্যু হ্রাস সৈন্য কায়ো খর্বাকার শিশুর সংখ্যা কমিয়ে আনা এবং শিশুর বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশের মাধ্যমে দেশের ভবিষ্যৎ মানবসম্পদ তৈরিতে অবদানীর উদ্দেশ্যে বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

যেসব দরিদ্র মায়েরা রয়েছেন তাদের জন্য এই উদ্যোগটি অনেক ভালো একটি কাজ করবে। ২০১৮ থেকে ২০১৯ অর্থবছর থেকে দরিদ্র মায়েদের জন্য মাতৃত্বকাল ভাতা প্রদান কর্মসূচি ও কর্মজীবীর ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা তহবিল কর্মসূচিকে একীভূত করে মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচি চালু করা হয়।

মা ও কর্মসূচিতে শিশু সহায়তা প্রথম ও দ্বিতীয় দুটি সন্তানের জন্য ভাতা পেয়ে থাকেন। এই কর্মসূচিতে গর্ভবতী মা ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার ও তথ্য আপার মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে এ ভাতার সমস্ত ফর্ম পূরণ করে জমা দিতে পারেন।

এছাড়াও প্রতি মাসে মাসে এনরোলমেন্ট ও প্রতি মাসে মাসে ভাতা প্রদান করা হয়ে থাকে। গর্ভবতী মায়ের এএনসি কার্ড বাধ্যতামূলক। স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা দপ্তরের মাধ্যমে আবেদনকারীর গর্ব তথ্য যাচাই করা হয়ে থাকে। এই ভাতা প্রদান কর্মসূচির আওতায় বর্তমানে ৩৬ মাস ৮০০ টাকা হারে ভাতা পাচ্ছেন গর্ভবতী মায়েরা।

এছাড়াও প্রতি মাসে ভাতা প্রদানের পাশাপাশি মা ও শিশুর পুষ্টি শিশুর মনো সামাজিক বিকাশ এবং বুদ্ধি ভিত্তিক বিকাশ বিষায় অনুষ্ঠিত উঠান বৈঠকে নিয়মিত অংশগ্রহণ করছেন। সরকারের জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশল অনুযায়ী 2026 সালের মধ্যে শূন্য থেকে চার বছরের মোট শিশুর অর্ধেক অর্থাৎ ৫০ শতাংশকে এই কর্মসূচির আওতায় সহায়তা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে যার সম্ভাব্য সংখ্যা ৬৫ লক্ষ শিশু।

গর্ভবতী মায়ের সরকারি ভাতা প্রদান কর্মসূচিতে আবেদনের যোগ্যতা

গর্ভবতী মায়ের এই সরকারি ভাতা পাওয়ার জন্য অবশ্যই আবেদন করতে হবে আর আবেদনের জন্য কিছু যোগ্যতার প্রয়োজন রয়েছে যেগুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যায়।

অবশ্যই গর্ভবতী মায়ের এই আবেদন করার জন্য তার বয়স হতে হবে ২০ বছরের উপরে। অবশ্যই গর্ভবতী মায়ের এন আইডি কার্ডের প্রয়োজন পড়বে। ফটোকপি হলেই চলবে। প্রথম অথবা দ্বিতীয় গর্ভাবস্থা হতে হবে। নিজ নামে পছন্দ সই অনলাইন অথবা মোবাইল ব্যাংক একাউন্ট থাকতে হবে। পারিবারিক মাসিক আয় সর্বোচ্চ আট হাজার টাকা হতে হবে।

মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচিতে আবেদনের যোগ্যতা

মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচিতে ও আবেদনের যোগ্যতা হিসেবে উপরে উক্ত যোগ্যতাগুলো থাকতে হবে। এই কর্মসূচিতে ২০২০ থেকে ২০২১ অর্থবছরে অর্থ বরাদ্দ ৭৩৯ কোটি ২০ লক্ষ টাকা যা জাতীয় বাজেটের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির এক শতাংশ অংশ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাস্তবায়িত বাজেটের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি 30% অংশ।

এছাড়াও কোন ভাতা ভোগে ভাতা প্রাপ্তি হতে বঞ্চিত হলে বা হয়রানির শিকার হলে অধিদপ্তরে অভিযোগ জানাতে পারবেন এবং অতি দ্রুত প্রতিকারের জন্য একটি অভিযোগ নিষ্পত্তি প্রক্রিয়ার প্রচলন করা নিয়ে কাজ করছে। আশা করা যায় সামাজিক নিরাপত্তার ভাতা আর দক্ষতা ও দ্রুত তার সাথে এদেশের অবহেলিত নারী ও শিশুদের নিকট সরকারের ওয়াদা অনুযায়ী পৌঁছে দিতে পারবে বাংলাদেশ সরকার।