আপনাদের সকলকে জানাই স্বাগতম আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে। আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন গর্ভবতী হওয়ার ঔষুধের নাম। আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করতে এসেছি শুধুমাত্র আপনাদের জন্য গর্ভবতী হওয়ার জন্য যেসব ওষুধ বিশেষজ্ঞরা দিয়ে থাকেন সেই ওষুধগুলোর নাম সম্পর্কে যাবতীয় সকল তথ্য।
গর্ভবতী হওয়ার ঔষধ খাওয়ার আগেও কিছু সাধারণত চলাফেরা রয়েছে যেগুলিতে একজন নারী খুব সহজে গর্ভবতী হতে পারেন। গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাব্য দিনগুলো সম্পর্কে আগে আপনাদের জেনে নেওয়া প্রয়োজন। মাসের কোন দিনগুলোতে যৌন মিলন আপনার মা হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বাড়িয়ে দিতে পারে তা বুঝতে হবে। ঋতু সাবের প্রথম দিন থেকে ১৩ থেকে ১৪ দিন পর আপনার শরীর সবচেয়ে বেশি প্রস্তুত থাকবে।
তাই ঋতুস্রাবের ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে যদি চেষ্টা করেন তাহলে সুফল পাবেন। তবে আরও একটি বিষয় মাথায় রাখা প্রয়োজন আর সেটি হল শুক্রাণু শরীরে প্রবেশ করার পর পাঁচ দিন পর্যন্ত কার্যকর থাকে। কিন্তু ডিম্বাণু থাকে মোট ১২ থেকে ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত তাই একদম ১২ থেকে ১৪ দিনের জন্য অপেক্ষা না করে তার কিছুদিন আগে থেকেই সঙ্গীর সাথে মিলিত হতে হবে। তবে আজকের আর্টিকেলের আমরা মূল আলোচনা করব গর্ভবতী হওয়ার ঔষধ সম্পর্কে চলুন কথা না বাড়িয়ে মূল আলোচনায় যাওয়া যাক।
গর্ভবতী হওয়ার জন্য ফলিক এসিড ও আয়রন ট্যাবলেট
একজন দম্পতি যখন সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন যে তারা এখন একটি সন্তান নিতে চান ঠিক তখনই একজন গাইনি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। যদি প্রথমেই আপনারা গাইনী বিশেষজ্ঞ দেখাতে না চান তাহলে ফলিক এসিড আয়রন ট্যাবলেট খাওয়া শুরু করে দিন। গর্ভধারণের আগে একজন মায়ের জন্য ফলিক অ্যাসিড ও আয়রন ট্যাবলেট খাওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন।
একটি সন্তান হওয়ার আগে মায়ের শরীরে সঠিকভাবে পুষ্টিগুণে ভরপুর থাকতে হবে। তাই গর্ভধারণের দুই তিন মাস আগে থেকে নিয়মিতভাবে ফলিক অ্যাসিড ও আয়রন ট্যাবলেট খেতে হবে এটি গর্ভধারণ সহজ করার জন্য অর্থাৎ জনন ক্ষমতা বাড়াতেও জরায়ু সুস্থ রাখতে কিছু নিয়ম মানা যেতে পারে এক্ষেত্রে ফলিক এসিড আয়রন ট্যাবলেট সেবন করতে পারেন তবে তা অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাওয়া ভালো।
খাওয়া-দাওয়া
গর্ভধারণ করতে চাইলে গর্ভধারণের দুই তিন মাস আগে থেকেই আপনার প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাকসবজি এবং ডিম দুধ খাওয়া প্রয়োজন। এ ব্যাপারে একজন মাকে বিশেষভাবে সচেতন থাকতে হবে। বিশেষ করে আপনার খাবারের তালিকায় ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার থাকা জরুরী এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের বাদাম ও দুধ-পা জাতীয় খাবারও গর্ভধারণে বিশেষভাবে সহায়তা করে থাকে তাই আগে থেকেই খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে সচেতন হওয়া ভালো।
গর্ভধারণের জন্য মানসিক চাপ কে দূরে রাখুন
সন্তান না হওয়ার কারণে অনেক দম্পত্তি রয়েছেন যারা বিভিন্ন রকমের মানসিক চাপে ভোগে থাকেন। আবার আমাদের সমাজে পরিবার থেকেও বিভিন্ন রকমের চাপ আসে যার কারণে একজন মা যখন গর্ভবতী হতে পারেন না তখন বিভিন্ন রকমের চাপের মধ্যে তাকে পড়তে হয়। তবে বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন গর্ভধারণের জন্য কোন রকমের চাপ থাকা যাবে না।
এক্ষেত্রে কোন ধরনের চাপকে গুরুত্ব না দিয়ে নিজের মতো করে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞরা। এর কারণ হলো জোর করে সন্তান ধারণ করা বা সন্তানের মা হওয়া কখনোই সম্ভব হয় না এছাড়া মানসিক চাপ থাকলে তা শেষ পর্যন্ত সন্তানের জন্য মঙ্গলজনক হয় না তাই সব রকমের মানসিক চাপ দূরে রেখে এবং আল্লাহর উপর ভরসা রেখে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে গর্ভবতী হওয়ার জন্য।
গর্ভবতী হওয়ার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ না নিয়ে কোন রকমের ঔষধ খাওয়া একেবারে উচিত নয় কারণ এটি ভালোর থেকে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনায় বেশি থাকে। তাই কোন ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।