পিউরিসাল সিরাপ এর কাজ কি? পিউরিসাল কিসের সিরাপ

অনেকেই আছে যারা পিউরিসাল সিরাপ সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানেনা। আর এই সকল সঠিক তথ্যগুলো না জানার কারণে নানা রকম ক্ষতির সম্মুখীন হয় তাই আমরা আজকে আমাদের ওয়েবসাইটে পিউরিসাল সিরাপের কিছু তথ্য আপনাদের দেয়ার জন্য সাজিয়েছি এ সকল তথ্যগুলো থেকে আপনারা অনেক কিছু জানতে পারবেন যেগুলো আপনার জানা অনেক বেশি প্রয়োজন। 

এই সিরাপটি সাধারণত লিভোসালবিউটামল রেসিমেক সালবিউটামল হতে ভিন্ন এটা একটি বিটা ২ এগোনেস্টি। এই ওষুধটি যেভাবে আপনারা সেবন করবেন তা হলো ছয় বছরের নিচের কোন শিশু বা বাচ্চা এ ওষুধ টা ব্যবহার করতে পারবে না। এই ওষুধটি দুইভাবে পাওয়া যায় ট্যাবলেট এবং সিরাপ। যারা ট্যাবলেট গ্রহণ করবেন তারা হলো ১২ বছর ও তার ঊর্ধ্বের ক্ষেত্রে এক থেকে দুই মিলিগ্রাম দৈনিক তিনবার। শিশুদের ৬ থেকে ১১ বছরের ক্ষেত্রে এক মিলিগ্রাম দৈনিক তিনবার। 

পিউরিসাল সিরাপ যেভাবে সেবন করবেন বয়স্কদের জন্য 5 থেকে 10 মিলিগ্রাম দৈনিক তিনবার। শিশুদের জন্য ছয় থেকে ১১ বছরের ক্ষেত্রে ৫ মিলিগ্রাম দৈনিক তিনবার। এছাড়াও আপনারা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে পারবেন। যেকোনো ওষুধ সেবনের আগে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করুন এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী যদি আপনি ওষুধ সেবন করেন তাহলে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় না। 

অনেক মানুষ আছে যারা ডাক্তারকে না দেখিয়ে যে কোন ওষুধ খেয়ে ফেলেন এবং তাতে কোন রোগ ভালো হয় না তাতে আপনার সমস্যা আরও বৃদ্ধি পায়। একটা বিষয় মাথায় রাখবেন সবার একই ওষুধ সঠিকভাবে শরীরে কাজ করে না একটি ওষুধে যদি অন্য একটি মানুষের রোগ ভালো হয় সেই ওষুধে যে আপনার রোগ ভালো হবে এমনটা না। সেজন্য যখন আপনার কোন সমস্যা দেখা দেবে প্রথমে আপনি ডাক্তারের কাছে যাবেন এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এবং প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী আপনি ওষুধ খাবেন তাহলে খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হতে পারবেন। 

এ সকল ওষুধ গুলো আপনারা যে কোন ফার্মেসিতে পাবেন এবং এ সকল ওষুধগুলোর দাম খুবই কম তাই আপনি যেকোনো সময় ক্রয় করতে পারবেন এবং খেতে পারবেন। এ সকল সিরাপ গুলো যখন ডাক্তার আপনাকে সেবন করতে দিবে ঠিক তখন আপনাকে নিয়ম করে সেবন করতে হবে কারণ যখনই আপনি ওষুধ নিয়ম করে খাবেন না তখন আপনার রোগ ভালো হতে সময় লাগবে। আবার অনেক সময় অনেক মানুষ ওষুধ খেতে ভুলে গেলে পরে ডোজের সাথে একসাথে খেয়ে ফেলে তবে এটা অনেক বেশি ক্ষতিকর। 

যদি আপনি কোন সময় ভুলবশত ওষুধ খেতে ভুলে যান তাহলে পরবর্তী ওষুধ খাওয়ার সময়ের আগে যদি আপনার মনে পড়ে ঠিক তখন আপনি ওষুধ খেতে পারবেন কিন্তু পরবর্তী ডোজের কাছাকাছি সময় হলে আপনি সেই ওষুধটি খেতে পারবেন না। ওভার ডোজে ওষুধ খেলে আপনার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে সেজন্য সতর্ক থাকতে হবে।পিউরিসাল সিরাপ এর কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে যেমন হাইপোক্যালসিয়াম দেখা দিতে পারে, অস্থি পেশীর সূক্ষ্ম কাঁপুনি এবং মাংসপেশির সংকোচন হতে পারে। অন্যান্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার মধ্যে দেখা দিতে পারে বমি বমি ভাব বমি পেটে ব্যথা গ্যাস্টিকের সমস্যা এবং ডায়রিয়া। 

যখনই আপনার এ সকল সমস্যা গুলো দেখা দিবে তখন আপনি বুঝে ফেলবেন যে ওই সিরাপটির পার্শ্ব প্রতিক্রির ফলেই আপনার এ সকল সমস্যাগুলো হচ্ছে। তাই যখন আপনি কোন ওষুধ খাবেন তখন দেখবেন অন্য কোন রোগের ওষুধের সাথে এ সকল ওষুধ গুলো খাওয়া যাবে কিনা। যখন আপনি ডাক্তারের কাছ থেকে কোন ওষুধ নিবেন তখন আগের পরের সকল সমস্যাগুলো ডাক্তারকে খুলে বলতে হবে তাহলে আপনার কোন ওষুধের কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হবে না।

আরেকটা বিষয় আপনাদের জেনে রাখা অনেক বেশি প্রয়োজনীয় সেটা হল যখন আপনি কোন ওষুধ কিনবেন তখন সে ওষুধের মেয়াদ আছে কিনা ভালোভাবে দেখে নিবেন যদি আপনি মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ খান তাহলে আপনার নানা রকম সমস্যার সৃষ্টি হবে সেজন্য সবসময় সতর্ক থাকতে হবে এবং অন্যজনকে সতর্ক করতে হবে।