গর্ভবতী ভাতা পাওয়ার নিয়ম

আপনি কি গর্ভবতী ভাতা সম্পর্কে জানতে চান? গর্ভবতী ভাতা কিভাবে পাওয়া সম্ভব এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না? কিভাবে একজন দরিদ্র গর্ভবতী মা এই গর্ভবতী ভাতা পেতে পারে সে নিয়ম কানুন সম্পর্কে যদি আপনারা জানতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের দেওয়া আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

আমরা শুধুমাত্র আপনাদের জন্য এবং আপনাদের প্রশ্নগুলোর উত্তর দেওয়ার জন্য প্রতিদিন নিয়ে আসি নতুন নতুন সব আর্টিকেল। তাই আপনাদের যদি নতুন করে কোন প্রশ্নের করার ইচ্ছা থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন আমরা আশা করব আপনাদের প্রশ্নের উত্তর দেয়ার জন্য।

যাইহোক ,আজকে আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন গর্ভবতী ভাতা পাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। তাইতো আমরা চলে এসেছি আপনাদের মাঝে আলোচনা করতে গর্ভবতী ভাতা পাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে যাবতীয় সকল তথ্য নিয়ে। অর্থ অভাবে শিশুর মানসিক ও শারীরিক বিকাশ যাতে ব্যাহত না হয় তারই ধারাবাহিকতায় সরকার গর্ভবতী মায়ের জন্য সরকারি ভাতা প্রদানের প্রজনন চালু করেছেন।

বাংলাদেশ সরকার প্রতি মাসে গর্ভবতী মায়ের জন্য এ ভাতার কারণে ৮০০ টাকা হারে প্রতি ছয় মাস অন্তর অন্তর করে চারবার বা ২৪ মাস ভাতা প্রদান করে থাকেন। আপনি যদি এ ভাতা প্রাপ্য বা ভাতার প্রাপ্তির যোগ্য হয়ে থাকেন তবে আমাদের আর্টিকেলটি আপনার জন্যই।তো চলুন আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন আর জেনে নিন এর গর্ভবতী ভাতা পাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে সকল তথ্যগুলো।

অনলাইনে আবেদনযোগ্যতা গর্ভবতী ভাতা

গর্ভবতী ভাতার জন্য আপনি যদি ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে চান তাহলেও কিন্তু এখন সেটি সম্ভব। তবে আমাদের মধ্যে অনেকেই জানেনা কিভাবে অনলাইনের মাধ্যমে গর্ভবতী ভাতার জন্য আবেদন করতে হয়। তাইতো আমরা আজকে আমাদের আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদেরকে জানিয়ে দিব কিভাবে অনলাইনের মাধ্যমে গর্ভবতী ভাতা আবেদন করতে হয় সেই সম্পর্কে। তো চলুন জেনে নেই।

অনলাইনে ভাত আর আবেদন করার আগে আপনাকে ভাতা পাওয়ার যোগ্যতা অর্জনের জন্য নিম্নোক্ত শর্তগুলো পূরণ করতে হবে। এই শর্তগুলো যদি আপনি পূরণ করতে পারেন বা নিজের যোগ্যতা বা অবস্থা বিবেচনা করে আপনাকে ভাতার জন্য তাহলে নির্বাচন করা হবে।

গর্ভবতী ভাতা পাওয়ার জন্য একজন গর্ভবতী মায়ের বয়স সর্বনিম্ন ২০ বছর হতে হবে এবং সর্বোচ্চ 35 বছর হতে হবে এর বেশি বা কম হলে এ ভাতা পাওয়ার যোগ্যতা সে গর্ভবতী মা পাবেন না।

ভাতা পাওয়ার জন্য সেই গর্ভবতী মায়ের প্রতি মাসিক আয় 2000 টাকার নিচে থাকতে হবে এছাড়াও দরিদ্র এবং প্রতিবন্ধী যেসব গর্ভবতী মা রয়েছে তাদের জন্য এই ভাতার অগ্রাধিকার বেশি পাবেন। এছাড়াও প্রথম ও দ্বিতীয় গর্ভের সন্তান গর্ভাবস্থায় বা জন্মের দুই বছরের মধ্যে যদি মারা যায় তাহলে তৃতীয় গর্ভধারণকালে এ ভাতা সে মাপ অবশ্যই পাবেন।

এসব শর্ত যদি আপনি পূরণ করতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনি গর্ভবতী ভাতার জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

গর্ভবতী ভাতা কত টাকা ২০২৩

বাংলাদেশ সরকার মাসিক ৮০০ টাকা হারে প্রতি 6 মাস অন্তর অন্তর করে চারবার বা 24 মাস এ ভাতা প্রদান করে থাকে। অনলাইনে অনুমোদন করাও হয় এ ভাতা। অফলাইনের আবেদন এবং আবেদন পত্রের সাথে সংযুক্ত কাগজপত্রাদি অনুসারে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ইউনিয়ন পরিষদ হতে আবেদনকারীদের তথ্য ও আবেদন সংগ্রহ করে। এবং চেয়ারম্যানের নিকট হতে স্বাক্ষর ও সিল গ্রহণ করেন এবং উপজেলা কমিটির সদস্য সচিব কাগজপত্র দিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করেন এরপর উপজেলা কমিটির সভাপতি আবেদন মঞ্জুর প্রদান করেন।

আশা করি আপনারা আমাদের আর্টিকেল থেকে জেনে নিতে পেরেছেন গর্ভবতী ভাতা পাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে যাবতীয় সকল তথ্য। গর্ভবতী মায়ের সকল তথ্য জানার জন্য আমাদের ওয়েবসাইট বেশি বেশি ভিজিট করুন কারণ আমরা আমাদের ওয়েবসাইটের নিয়মিত গর্ভবতী মায়েদের সকল প্রকারের তথ্য এবং সকল প্রকারের সমস্যার সমাধান নিয়ে নতুন নতুন আর্টিকেল গুলো আপলোড করেছি।