সিরাম ক্রিয়েটিনিন লেভেল

আমাদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে বিভিন্ন ধরনের রোগ হয়ে থাকে। এই সমস্যাগুলোর কারণে সাধারণত আমরা অসুস্থ হতে থাকি এবং সেই বিষয়গুলো আমরা বুঝতে পারি বিভিন্ন ধরনের উপসর্গের মাধ্যমে। আমরা এই রোগ গুলো চিহ্নিত করার জন্য কিছু পরীক্ষা করে থাকি যে পরীক্ষার মাধ্যমে খুব সহজে বোঝা যায় কার শরীরে কোন ধরনের রোগ হয়েছে। কিডনিতে যদি কোন ধরনের সমস্যা হয় তাহলে অবশ্যই রক্তে একটি উপাদানের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে যে উপাদানের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়া পরীক্ষা করলেই আমরা সেটা নিশ্চিত হতে পারব।

আমরা যদি রক্তের ক্রিয়েটি নিন এর পরিমাণ পরিমাপ করে তাহলেই বুঝতে পারব কিডনিতে কি সমস্যা হয়েছে। সাধারণত এই সমস্যা যখন আমরা খুঁজে পাবো তখন অবশ্যই চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে তবে এর রিপোর্টে যে পরিমাপ দেওয়া থাকে সেই পরিমাণ সাধারণত কত সেটা সম্পর্কে আমাদের যাদের ধারণা নেই তারা অবশ্যই আজকের আর্টিকেল থেকে জানার চেষ্টা করব এই সম্পর্কে। এর একটি স্বাভাবিক মাত্রা আছে যদি সেটা অতিক্রম করে তাহলে অবশ্যই সেটা দুঃখজনক।

আমরা বিভিন্ন গবেষণার মাধ্যমে এটা জানতে পারি যে স্বাভাবিক ক্ষেত্রে যারা নারী আছে তাদের যদি প্রতি ডেসিলিটারে রক্তে ক্রিয়েটিনিন এর মাত্রা থাকে ০.৫ থেকে ১.১ মিলিগ্রামের মধ্যে তাহলে সেটাকে স্বাভাবিক হিসেবে ধরা হয়। এই অবস্থাতে ওই নারীর কোন ধরনের কিডনির সমস্যা নেই সে একেবারে সুস্থ জীবন যাপন করছে এবং তার কিডনি একেবারেই ভালো আছে।

এখন আসি স্বাভাবিক পুরুষের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক পুরুষের ক্ষেত্রে যদি প্রতি ডেসি লিটারে রক্তের মান ০.৬ থেকে ১.২ মিলিগ্রাম হয় অর্থাৎ ক্রিয়েটেনিং এর এই মান স্বাভাবিক থাকে তাহলে সেটা একেবারে স্বাভাবিক অবস্থা। এই অবস্থাতে ওই পুরুষের কিডনি একেবারে ভালো আছে এবং পুরো কিডনি ফাংশনে কোন ধরনের সমস্যা নেই।

এখানে এর মান সম্পর্কে আরো বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে যাদের কিডনিতে কোন ধরনের সমস্যা নেই তাদের এই ক্রিয়েটিনিং এর মাত্রা প্রতি ডেফিলিটারে থাকতে পারে ১.৮ মিলিগ্রাম পর্যন্ত এটা একেবারেই স্বাভাবিক। ১.৮ মিলিগ্রাম অতিক্রম করলে সেটা কিডনির সমস্যা নির্দেশ করে। যদি কিশোরদের ক্ষেত্রে এই পরিমাপের কথা উল্লেখ করা হয় তাহলে এই ক্রিয়েটিনিন এর মাত্রা হতে পারে 0.5 থেকে 1  মিলিগ্রাম পর্যন্ত।

কিডনি ড্যামেজ অত্যন্ত সাংঘাতিক একটি সমস্যা এবং যাদের আছে তাদের ক্ষেত্রে যদি রক্তে ক্রিয়েটিনিন এর মান 5.0 মিলিগ্রামের বেশি অতিক্রম করে তাহলে সেই অবস্থাকে ধরে নেওয়া হয় কিডনি ড্যামেজ। এই অবস্থাতে অবশ্যই রোগীরে যেকোনো সময় যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে তবে সঠিক সময়ে কিডনি রোগের চিকিৎসা গ্রহণ করলে হয়তো এই সমস্যা নাও থাকতে পারে।

ক্রিয়েটিনিন কমানোর উপায়

আমরা আপনাদের আবারও বিষয়টা বোঝানোর চেষ্টা করছি সেটা হচ্ছে রক্তে ক্রিয়েটিনিন এর পরিমাণ বাড়লে কিডনির সমস্যা হয় না সাধারণত কিডনির সমস্যা হলেই কেবল রক্তের ক্রিয়েটিনিন এর পরিমাণ বেড়ে যায়। কিডনিতে যদি কোন সমস্যা হয় তাহলে কিডনির স্বাভাবিক যে কার্যকলাপ রয়েছে সেটা বাধাগ্রস্ত হয় এবং এটা বাধাগ্রস্ত হওয়ার কারণে রক্তে ক্রিয়েটিনিন এর পরিমাণ বেড়ে যায়।

তাই আপনি যদি মনে করেন ক্রিয়েটিনিন কমানোর আলাদা কোন নিয়ম বা আলাদা কোনো ঔষধ আছে তাহলে সেটা আপনি ভুল করছেন। যে অসুস্থতার কারণে সাধারণত ক্রিয়েটিনিন বেড়েছে সেই অসুস্থতা কমানোর চেষ্টা করলেই মূলত আপনার ক্রিয়েটিনের লেভেলটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।

ক্রিয়েটিনিন কমানোর ঘরোয়া উপায়

প্রত্যেকটি সমস্যার সমাধানের জন্য সবার প্রথমে যে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হয় সেটা বাড়িতেই করতে হয়। আপনাকে বিভিন্ন কিডনি রোগ দূর করার জন্য নিজের খাবারের প্রতি নিয়ন্ত্রণ আঁটতে হবে এবং নিজেকে সুস্থ রাখতে চিকিৎসক যেভাবে পরামর্শ দিয়েছেন সেভাবে চলতে হবে এবং সেই ওষুধগুলো সেবন করতে হবে। নিজের প্রতি আপনি যত যত্নবান হবেন আপনার রোগ তত তাড়াতাড়ি ভালো হবে তাই আশা করছি এ বিষয়ে আপনাদের নতুন ভাবে কোন পরামর্শ দেওয়ার প্রয়োজন নেই।