এমোক্সিসিলিন এর কাজ কি Amoxycillin 500 MG Capsule

কোন কিছুর কাজ সম্পর্কে জানতে হলে সবার প্রথমে আপনাকে জানতে হবে সেই জিনিসটা কি। একটি উদাহরণের মাধ্যমে আপনাদের জানাচ্ছি। মনে করুন বাজারে আপনি গেলেন এবং সম্পূর্ণ নতুন একটি ফল দেখতে পেলেন। এবং সেখানে লেখা আছে যে ঔষধি গুন সম্পূর্ণ এই ফলটি খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু। কিন্তু এখন আপনার মনে এই ফল সম্পর্কে অনেক প্রশ্ন জাগতে পারে। তবে সেই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার আগে আপনার মনে সবার প্রথমে যেই প্রশ্নটি আসবে এটা কি ফল এবং কোন গাছ থেকে বা কোন দেশ থেকে এই ফলটি উৎপন্ন হয়ে এখানে এসেছে।

ঔষধ এর ক্ষেত্রেও ঠিক একই বিষয়। আপনি যদি কোন ঔষধের কার্যকারিতা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে সবার প্রথমে আপনাকে জানতে হবে সেই ঔষধ কিভাবে তৈরি হয়েছে এবং কোম্পানি তৈরি করেছে। এমোক্সিসিলিন একটি উপাদান যে উপাদানের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক তৈরি হয়। এমোক্সিসিলিন ট্রায়হাইড্রেট এই উপাদানটি বিভিন্ন নিয়মে ব্যবহার করে বিভিন্ন কোম্পানি তৈরি করছে বিভিন্ন ধরনের ক্যাপসুল। আজকে আমরা এই মূল উপাদানের বিভিন্ন কার্যকারিতা সম্পর্কে আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব।

এমোক্সিসিলিন ক্যাপসুল এর সঠিক কার্যকারিতা কি

এটা অত্যন্ত কার্যকরী একটি ঔষধ এবং এখানে প্রচুর পরিমাণে রোগীদের ক্ষেত্রে এই ওষুধ ব্যবহার করা হয়। সহজ ভাষায় আমরা কিছু বিষয় আপনাদের পরিষ্কারভাবে জানাতে চাই সেটা হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়াজনিত সৃষ্ট বিভিন্ন সংক্রমণ রোধে সাধারণত এমোক্সিসিলিন ক্যাপসুল ব্যবহার করা হয়। আমরা আপনাদের আবারো পরিষ্কারভাবে জানাতে চাচ্ছি এমক্সিসিলিন হচ্ছে ওষুধ তৈরির মূল উপাদান বা ওষুধের গ্রুপের নাম আপনি সঠিক ঔষধ খুঁজে পাবেন এই একই গ্রুপের বিভিন্ন কোম্পানির বিভিন্ন নামে।

নাক কান গলা এই ৩টা অঙ্গতে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ হয় তার মধ্যে ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ সবথেকে বেশি। নাক কান গলার বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ রোধে ডাক্তারেরা এমোক্সিসিলিন রেফার করেন। এমোক্সিসিলিন ক্যাপসুল এই ধরনের রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে অত্যন্ত পারদর্শী। নিম্ন শ্বাসনালী বলতে সাধারণত ফুসফুস কে বোঝানো হয় এবং ফুসফুসে সাধারণত বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন বা ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ হয় সেটা আমরা সকলেই জানি। শিশুদের ক্ষেত্রে নিউমোনিয়া এবং বড়দের ক্ষেত্রে ব্রক্কাইটিস অথবা যক্ষা এই ধরনের রোগ আর এই ধরনের রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য এমোক্সিসিলিন একটি আদর্শ ঔষধ।

এমোক্সিসিলিন শুধুমাত্র যে আমাদের শরীরের অভ্যন্তরে কাজ করে এমন নয় আমাদের ত্বক ও নরম কলার সংক্রমণ রোধে কাজ করেছিলেন। আমাদের মাংসপেশি অথবা ত্বকের উপরের অংশে যদি বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়াল আক্রমণ হয় এবং তার কারণে সেখানে ক্ষতের সৃষ্টি হয় অথবা বিভিন্ন ধরনের ফুসকুড়ির সৃষ্টি হয় তাহলে সেই ধরনের রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে এমোক্সিসিলিন ক্যাপসুল। এছাড়াও দাঁতের একসেস বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সমাধানের শর্ট টার্ম থেরাপির জন্য এই ঔষধ ব্যবহার করা হয়।

এমোক্সিসিলিন ক্যাপসুল খাওয়ার সঠিক নিয়ম

যেহেতু এটা অত্যন্ত পাওয়ারফুল একটি ঔষধ তাই অতিরিক্ত মাত্রায় খাওয়া কোনোভাবেই বুদ্ধিমানের কাজ হবে না তাই সঠিক মাত্রা জেনে বুঝে আপনাকে এই ঔষধ খাওয়া শুরু করতে হবে। প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে এখানে বলা হয়েছে যে ২৫০ মিলিগ্রাম করে দিনে ৩বার অর্থাৎ 250 মিলিগ্রাম করে মোট ৭৫০ মিলিগ্রাম আপনি দিনে ৩বার খেতে পারবেন। তীব্র সংক্রমণের ক্ষেত্রে দিনে ৩বার ৫০০ মিলিগ্রাম করে দেওয়া যাবে তবে এখানে অবশ্যই নিশ্চিত হতে হবে সেটা তীব্র সংক্রমণ কিনা সেটাতে আপনাকে সাহায্য করবে আপনার ডাক্তার।

এর পাশাপাশি যাদের বয়স ১০ বছরে নিচে তাদের ১২৫ মিলিগ্রাম করে দিনে ৩বার ব্যবহার করা যেতে পারে। এই ধরনের রোগীদের ক্ষেত্রে অনেক সময় দেখা যায় যে এর বেশিও দেওয়া যায় তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। এছাড়াও নিউমোনিয়া রোধে ৫০০ মিলিগ্রাম থেকে এক হাজার মিলিগ্রাম করে দিনে ৩বার দেওয়া হয়। ডেন্টাল অ্যাবসেস এর ক্ষেত্রে ৩ গ্রাম করে ১০থেকে ১২ ঘন্টা পর পর ব্যবহার করা যাবে ।