D Rise 40000 এর কাজ কি ডি-রাইজ

পৃথিবীতে প্রতিনিয়তই অসুখ আবিষ্কৃত হচ্ছে এবং নতুন নতুন জীবাণু এবং নতুন নতুন ভাইরাসের কারণে এই অসুখগুলো নতুন রূপ ধারণ করছে। যদি আমরা মহামারীর কথাই বলি তাহলে আমরা প্রথমে লক্ষ্য করবো ঠিক একই ধরনের মহামারী গোটা বিশ্বকে ঘায়েল করে ফেলেছিল। কিন্তু সেই মহামারী আস্তে আস্তে তার রূপ পরিবর্তন করেছে এবং আস্তে আস্তে আগে থেকে দুর্বল হতে শুরু করেছে এবং নতুন নতুন মহামারিতে রূপান্তর নিয়েছে।

ঠিক একইভাবে প্রত্যেকটি নতুন নতুন সমস্যার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আমরা চেষ্টা করি নতুন নতুন ঔষধ আবিষ্কার করতে। D Rise 40000 ক্যাপসুলটি সম্প্রতি মহামারীর সময় সবথেকে বেশি ব্যবহার করা হয়েছে এবং এই ওষুধটির কার্যকারিতা সম্পর্কে আমরা না জেনে অনেক সময় ব্যবহার করেছি। চলুন আমরা এই ওষুধের সঠিক কার্যকারিতা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করি এবং আরো জানার চেষ্টা করি এই ওষুধ মূলত কি দ্বারা তৈরি করা হয়েছে।

D Rise 40000 বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যালস কোম্পানির একটি ক্যাপসুল এবং এই ক্যাপসুলের ব্যবহার করা হয়েছে কলিক্যূলসিপেরল ভিটামিন D3 4000 IU । এই ওষুধটির বর্তমান বাজার মূল্য হচ্ছে 35 টাকা এবং এর পাশাপাশি এই ঔষধ আরো তিনটি ধরনের বাজারে উন্মুক্ত রয়েছে তাই আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী এবং আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী যে কোন একটি ধরন ব্যবহার করতে পারেন।

D Rise 40000 ক্যাপসুল এর সঠিক কার্যকারিতা কি

প্রত্যেকটি ঔষধের রয়েছে আলাদা আলাদা কার্যকারিতা এবং এই ওষুধটি কি কাজে আসে সেটা সম্পর্কে যদি আপনার না জানি তাহলে অবশ্যই আমরা বোকার মতন ওষুধগুলো খাচ্ছি। আমরা উপরে আপনাদের অবগত করেছি যে এই ওষুধের মূল উপাদান হচ্ছে ভিটামিন D3। স্বাভাবিকভাবে মানুষের শরীরে ভিটামিন এর পরিমাণ কমে গেলে মানুষ স্বাভাবিকভাবে অসুস্থ হয়ে যায়।

আমাদের শরীরে যত ভিটামিন আছে তার মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ভিটামিন ডি তার কারণ হচ্ছে এই একমাত্র ভিটামিন যেটা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। আর এই ভিটামিনটি সহজেই পাওয়া যায় না তাই এই ভিটামিন ডি এর অনেক প্রয়োজনীয়তা রয়েছে এবং সেই ভিটামিন ডি এর একটি ফরমেট ভিটামিন D3পাবেন আপনি এই ওষুধটি খেলে।

মনে করুন আপনার শরীর অতিরিক্ত দুর্বল এবং বিভিন্ন ধরনের রোগের বিরুদ্ধে আপনার শরীর লড়াই করতে পারছে না তখন আপনার শরীরে ভিটামিন D3এর ঘাটতি পূরণে D Rise 40000 ওষুধটি নির্দেশ করতে পারে ডাক্তার। তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া আপনি নিজে থেকেই এই ঔষধ খেতে পারেন না।

D Rise 40000 ট্যাবলেট এর মাত্রা ও সেবন বিধি

প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে ভিটামিন D3 এর ঘাটতি পূরণে প্রতি সপ্তাহে একটি করে ট্যাবলেট সাত সপ্তাহ পর্যন্ত খেতে হবে। অর্থাৎ ৪০০০০ IU প্রতি সপ্তাহে একটি করে খেতে হবে এবং এইভাবে সাত সপ্তাহ পর্যন্ত চালাতে হবে। মেনটেনেন্স থেরাপের মাত্রা দৈনিক ১৪০০ থেকে ২০০০ IU।

এছাড়াও ভিটামিন D3এর ঘাটতি প্রতিরোধের ক্ষেত্রে প্রতি চার সপ্তাহে ২০০০০ IU করে সেবন করতে হবে। নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে উচ্চমাত্রার প্রয়োজন রয়েছে তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনভাবেই এই ওষুধ উচ্চ মাত্রায় সেবন করার অনুমতি নেই । যদি শিশুদের কথা বলি তাহলে ভিটামিন D3 ঘাটতি পূরণের জন্য প্রতি দুই সপ্তাহে একটি করে ২০০০০ IU খাওয়াতে হবে এবং ৬ সপ্তাহ পর্যন্ত চলমান রাখতে হবে।

D Rise 40000 ট্যাবলেট এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

এটি যেহেতু উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন একটি ঔষধ তাই এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে এবং এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে আমরা ত্বকের র‌্যাস থেকে শুরু করে বমি বমি ভাব এবং পেট ব্যাথা অনুভব করতে পারে। যারা রোগী আছেন তারা অবশ্যই খেয়াল করবেন এ বিষয়গুলো এছাড়াও বড় ধরনের সমস্যা যেমন হাইপার ক্যালসিয়ামিয়া থেকে শুরু করে হাইপারক্যালসিইউরিয়া পর্যন্ত হতে পারে।