ইউনিমেড ইউনি হেলথ বর্তমানে বাংলাদেশের জনপ্রিয় ফার্মাসিটিক্যালস কোম্পানিগুলোর মধ্যে একটি। আজকে আমরা কথা বলব ইউনিমেড ইউনি হেলথ ফার্মাসিটিক্যালস কোম্পানির ইডিস্টা ট্যাবলেট সম্পর্কে। সাধারণত প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের ক্ষেত্রে ইরেক্টাল ডিসফাংশন নিয়ন্ত্রণের জন্য এই ঔষধ ব্যবহার করা হয়। এখানে ইডিস্টা ট্যাবলেট তৈরিতে যে মূল উপাদানের ব্যবহার করা হয়েছে সেই মূল উপাদানের নাম হচ্ছে টাডালাফিল। আজকের এই আর্টিকেল থেকে আমরা সঠিক উপকারিতা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব যেটা হয়তো আমরা অনেকেই জানতাম না।
সাধারণত একটি ঔষধ বিভিন্ন ধরনের কাজে ব্যবহার করা হয় তাই আমরা আপনাদের চিন্তার পরিবর্তন করার জন্য এই ওষুধের বেশ কয়েকটি কার্যকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করব। আপনি এখন এখান থেকে আপনার অসুবিধা অনুযায়ী নির্বাচন করতে পারবেন আপনি যদি এই ওষুধ খান তাহলে সেটা সঠিক রোগের জন্য খাচ্ছেন কিনা। এখানে বাজারে বেশ কয়েক ধরনের একই ট্যাবলেট পাওয়া যায় সাধারণত বিভিন্ন ধরনের রোগীদের ক্ষেত্রে বিভিন্ন মাত্রায় এই ট্যাবলেট তৈরি করা হয়েছে।
ইডিস্টা ট্যাবলেট এর কাজ কি
এখানে যে উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে উপাদান অনুযায়ী ইডিস্টা ট্যাবলেটের বেশ কয়েকটি কার্যকারিতা আমরা লক্ষ্য করতে পেরেছি। আমরা সবার প্রথমে যেটা নিয়ে আলোচনা করব সেটা হচ্ছে ইরেক্টাল ডিসফাংশন। আমরা সকলে অবগত আছি যে প্রাপ্তবয়স্ক রোগীদের ক্ষেত্রে বা প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সময় ইরেক্টাল ডিসফাংশন জনিত সমস্যা হতে পারে। এই সমস্যা সমাধানের জন্য বেশিরভাগ রুগী ঘরে বসে থাকেন কিন্তু এই সমস্যার সমাধানের জন্য ঘরে বসে থাকলে হবে না অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে এবং সঠিক পরামর্শের মধ্যে অবশ্যই অন্যান্য ওষুধের সঙ্গে ইডিস্টা ট্যাবলেট আপনাকে খেতে বলতে পারে একজন ডাক্তার।
এখানেই শেষ নয় কিছু কিছু রোগের ক্ষেত্রে বিনাইন পোস্টেটিক হাইপার গ্লাসিয়া এই রোগের চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হয় এই গুরুত্বপূর্ণ ট্যাবলেট। তাই হয়তো আপনারা যখন এই ট্যাবলেট কে একেবারে সামান্য ট্যাবলেট মনে করছেন তাদেরকে বলব একটু ধৈর্য ধরুন এখানে আরো কার্যকর তা পাবেন এই ট্যাবলেটের। ওপরে যে দুইটি রোগের কথা আমরা উল্লেখ করেছি অর্থাৎ প্রথমটি হচ্ছে ইলেকট্রন ডিসফাংশন এবং দ্বিতীয়টি হচ্ছে বিনাইন প্রস্টেটিক হাইপার গ্লাসিয়া এই দুইটি রোগ যদি একটি রোগের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে তাহলে একত্রে চিকিৎসার জন্য এই ইডিস্টা ব্যবহার করা যেতে পারে। একজন সঠিক রোগীর প্রধান কাজ হচ্ছে ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া এবং আপনারা আশা করছি এই কাজে কখনো ভুল করবেন না।
ইডিস্টা খাওয়ার সঠিক নিয়ম ও পরিমাপ
প্রত্যেকটি ওষুধ খাওয়ার সঠিক পরিমাপ এবং নির্দেশনা রয়েছে এবং পরিমাপ অনুযায়ী যদি আমরা এই ওষুধের কথা বলি তাহলে ডিসফাংশন এর ক্ষেত্রে প্রারম্ভিক মাত্রা হতে পারে ১০ মিলিগ্রাম। তবে এটা আস্তে আস্তে বৃদ্ধি করা যেতে পারে এবং ২০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত বাড়ানো যেতে পারে। এই ঔষধ কমানো যেতে পারে অর্থাৎ সর্বোচ্চ 20 মিলিগ্রাম এবং সর্বনিম্ন ৫ মিলিগ্রাম পর্যন্ত করানো যেতে পারে। এছাড়াও অন্য চিকিৎসার ক্ষেত্রে নির্দেশিত মাত্রা হচ্ছে ৫ মিলিগ্রাম প্রতিদিন একই সময় । এই বিষয়টি সাধারণত এমন একটি জিনিস রোগের শারীরিক অবস্থার উপর নির্ভর করে পরিবর্তন হতে পারে তাই আপনারা সময় লক্ষ্য রাখবেন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে কিনা ।
ইডিস্টা দাম ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
আমরা প্রত্যেকটি ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া খুঁজে বের করার চেষ্টা করি এবং এই ওষুধ সেবনকালে বিভিন্ন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে তার মধ্যে মাথা ব্যথা থেকে শুরু করে কোমর ব্যথা অনেকের ক্ষেত্রে পেশির বিভিন্ন ধরনের ব্যথা নাকের সর্দি-জনিত প্রদাহার সৃষ্টি হতে পারে। নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে অনেকের ক্ষুধা মন্দা তৈরি হতে পারে। সব মিলিয়ে অবশ্য এই ওষুধ আপনাকে উপকার করবে এবং যদি এই ধরনের কোন গুরুতর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায় যদি মনে হয় দৃষ্টি লোক বাড়ছে বা শ্রবণশক্তি কমে যাচ্ছে তাহলে ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দিয়ে একজন চিকিৎসকের কাছে চলে যান।