সাধারণত স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেড বাংলাদেশের বড় কোম্পানিগুলোর মধ্যে একটি তাই তারা যে ওষুধগুলো তৈরি করে সে ওষুধগুলো হয় অত্যন্ত উন্নতমানের। আপনারা যখন আমাদের এখান থেকে বিভিন্ন ধরনের তথ্য সংগ্রহ করবেন যাতে আপনারা কোন ধরনের ভুল তথ্য সংগ্রহ না করেন সেই দিকে আমাদের সঠিক নজর রয়েছে সব সময়। ঔষধ নিয়ে কখনোই ছেলে খেলা করা যায় না তার কারণ হচ্ছে এটা একজন মানুষের জীবন মরণের ব্যাপার তাই আমরা চেষ্টা করি সবসময় সঠিক তথ্য আপনাদের সামনে তুলে ধরতে। ইমোটিল ২ মিলি capsule তৈরিতে মূলত ব্যবহার করা হয়েছে লোপেরামাইড হাইড্রোক্লোরাইড।
আমরা যদি এই উপাদানের সঠিক কার্যকারিতা সম্পর্কে ধারনা রাখি তাহলে বুঝতে পারব ইমোটিল ক্যাপসুল কি কাজে আসবে। তাহলে চলুন দেরি না করে মূল আলোচনার দিকে যাওয়া যাক যেখানে ওষুধের সঠিক ব্যবহার এবং ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কেও আমরা ধারণা পাবো।
ইমোটিল ২ মিলি এর কাজ কি
এখানে যে নির্দেশনা গুলো আমরা পেয়েছি সেই নির্দেশনা অনুযায়ী তীব্র ডায়রিয়া রোগের ক্ষেত্রে ইমোটিল ২ মিলি ক্যাপসুল ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও উদোরে ব্যথা ও খিচুনিসহ ডায়রিয়া প্রতিরোধে ব্যবহার করা হয় এই ট্যাবলেট। এক্ষেত্রে দীর্ঘস্থায়ী ডায়রিয়া প্রতিরোধেও এই ট্যাবলেট অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। সাধারণত ডায়রিয়া এমন একটি রোগ যেটা যেকোনো সময় একজন মানুষের হতে পারে এবং এটা হলে যে কোন মানুষকে এটা নাজেহাল অবস্থায় ছেড়ে যায়। তবে এই জিনিসটাকে অবহেলা করা উচিত নয় কারণ হচ্ছে ডায়রিয়ার কারণেও মারা যাওয়ার ঘটনা বহু আপনি দেখতে পাবেন তাই সবসময় সতর্ক থাকতে হবে এবং যেকোনো ধরনের ডায়রিয়াই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ইমোটিল ২ মিলি ট্যাবলেট সঠিক মাত্রই খাওয়ার চেষ্টা করুন।
এছাড়াও আরো কিছু সমস্যা আছে যেমন গ্যাস্ট্রিক পরবর্তী সার্জারি এ ধরনের সমস্যা সমাধানে ডাক্তারেরা ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দেন। যাদের পাকস্থলীতে আলসারেটিভ কোলাইটিস সমস্যা আছে তাদের জন্য এটা ব্যবহার করা হয়। অনেকের ক্ষেত্রে ক্রনস রোগ প্রতিরোধে এই ট্যাবলেট অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। তবে আপনার কি সমস্যা হয়েছে এটা নির্ধারণ করতে আপনি পারবেন না পারবেন একজন ডাক্তার তাই ডাক্তারের কাছে গিয়ে ভালোভাবে কনসাল্ট করুন। আপনার সমস্যাগুলো তার সামনে বলুন সে অবশ্যই আপনাকে একটি সমাধান দিতে পারবে এবং সেই সমাধান দিতে গিয়ে যদি ইমোটিল ২ মিলি ট্যাবলেট প্রেসক্রিপশনে লেখা হয় তাহলে অবশ্যই সঠিক পরিমাপে সেটা খান।
ইমোটিল ২ মিলি খাওয়ার নিয়ম এবং মাত্রা
প্রাথমিক অবস্থাতে তীব্র ডায়রিয়া হলে প্রাপ্তবয়স্ক রোগীদের ক্ষেত্রে দুইটি ক্যাপসুল এরপরে একটি করে ক্যাপসুল প্রতিবার পাতলা পায়খানা হওয়ার পর। সাধারণত তিন থেকে চারটি ক্যাপসুল প্রতিদিন খেতে হয় কিন্তু যদি অতিরিক্ত মাত্রায় সমস্যা হয় সেই ক্ষেত্রে একজন মানুষকে দিনে সর্বোচ্চ ৮ টি ট্যাবলেট খাওয়ার অনুমতি দেওয়া যাবে এর বেশি দেওয়া যাবে না। যাদের বয়স একটু কম অর্থাৎ নয় থেকে ১২ বছরের মধ্যে তাদের একটি করে ক্যাপসুল প্রতিভার পায়খানার পর এবং পাতলা পায়খানা না থাবা পর্যন্ত চলমান থাকবে। এখানেও এদের সর্বোচ্চ দিনে ছয়টির বেশি ক্যাপসুল দেওয়া যাবে না।
যাদের বয়স আরো কম অর্থাৎ ৫ থেকে ৯ বছরের মধ্যে তাদের ক্ষেত্রে প্রতিবার পায়খানার পর একটি ক্যাপসুল এবং প্রতিদিন চারটির বেশি ক্যাপসুল দেওয়া যাবে না। দীর্ঘমেয়াদী দাঁড়িয়ে আছি কিসের জন্য প্রতিদিন ২ থেকে চারটি ক্যাপসুল ব্যবহার করতে হয় এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ১ থেকে ২টি ।
ইমোটিল ২ মিলি দাম ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
প্রয়োজন ছাড়া ওষুধ খাবেন তো অবশ্যই পস্তাবেন। প্রয়োজন ছাড়া এই ওষুধ খেলে তলপেটে ব্যথা সৃষ্টি হতে পারে পরিপাকতন্ত্রের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে। মাথা ঘোরা বা তকে লালচে ভাব দেখা যেতে পারে এর প্রতিক্রিয়ার কারণে। ফার্মাসিটিক্যালসের ইমোটিল ২ মিলি ক্যাপসুল এর দাম বর্তমানে ১ টাকা।