Enterogermina কি কাজ করে এন্টোগারমিনা

এটা সাধারণত একটি মৌখিক সাসপেনশন বা সহজ ভাষায় বলতে গেলে এটা হচ্ছে একটি সিরাপ যেটা মুখে খাওয়া হয়। আজকে আমরা এই ওষুধটির বিষয়ে খুটিনাটি জানার চেষ্টা করবো এবং কোন ধরনের রোগীর এই ঔষধের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে এবং কতটুকু সে সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব। আপনারা হয়তো সকলেই অবগত আছেন যে আমাদের ওয়েবসাইট সব সময় বিভিন্ন ধরনের ঔষধ নিয়ে এবং ঔষধের পরিণতি তথ্য নিয়ে আর্টিকেল তৈরি করে তাই অবশ্যই আজকের আর্টিকেল আপনাদের ঠিক একই ধরনের অভিজ্ঞতা দিতে চলেছে।

Enterogermina মূলত বাজারজাতকরণ করছে সানোভিয়া ফার্মা। এটা হচ্ছে একটি ওরাল সাস্পেকশন যেটাকে সহজ ভাষায় আমরা সিরাপ বললে চিনতে পারবো। এটা বর্তমান বাজার মূল্য হচ্ছে ৫৫ টাকা। আজকে আমরা এই ঔষধ সম্পর্কে এবং এই ঔষদের সঠিক কার্যকর সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব তাহলে চলুন মূল আলোচনা দেখে যাওয়া যাক।

Enterogermina এর সঠিক কাজ কি

সাধারণত বিভিন্ন চিকিৎসার ক্ষেত্রে এই ওষুধটি ব্যবহার করা হয় তবে সাধারণত ৩টি চিকিৎসা আছে যার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য এই ওষুধটি বিশেষভাবে ব্যবহার করা হয়। প্রথমত শ্বাস জনিত সমস্যা অর্থাৎ যে শিশুদের শ্বাসজনিত বিভিন্ন সমস্যা থেকে থাকে তাদের ক্ষেত্রে সারজনিত সমস্যার সমাধানে মূলত এই সিরাপটি ব্যবহার করা হয়।

এরপরে বলতে গেলে এলেবেলে ব্যাধি। বৈজ্ঞানিক ভাষায় এলেবেলে ব্যাধির উপসর্গ যদি কারো শরীরে দেখা দেয় তাহলে দেরি না করে ডাক্তার অবশ্যই তাকে এই ঔষধ খেতে বলবে এবং এই ওষুধের উপকারিতা অবশ্যই সে পাবে। এছাড়া বৈজ্ঞানিক ভাষায় বলতে গেলে প্রোবায়োটিক হিসাবে এই ওষুধটি ব্যবহার করা হয় তাই সবসময় ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এই ওষুধগুলো খাওয়ার চেষ্টা করুন।

Enterogermina ঔষধ খাওয়ার সঠিক নিয়ম

সবার প্রথমে আপনাদের জানতে হবে এই ওষুধটি আপনাদের প্রয়োজন আছে কিনা অর্থাৎ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে ওষুধ খাওয়ার পূর্বে। অবশ্যই ডাক্তার ওষুধ প্রেসক্রাইব করার সময় আপনাকে নির্দেশ করে দেবে কতটুকু ঔষধ আপনি খাবেন তবে তারপরও যাদের জানার প্রয়োজন রয়েছে তারা আমাদের এখান থেকে জানতে পারেন সেই ওষুধের সঠিক পরিমাপ।

সাধারণত প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে ২ থেকে ৩ মিনিট বোতল প্রতিদিন খেতে হবে। এটা ছোট্ট একটি জিনিস এবং এই জিনিসটি প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে ২ থেকে ৩টি করে খাওয়ার অনুমতি রয়েছে প্রতিদিন তবে এটা অবশ্যই বিভক্ত মাত্রায় খেতে হবে অর্থাৎ আপনি যদি ৩টি বোতল খেলতে চান তাহলে দিনে ৩বেলায় খেতে হবে।

এ পাশাপাশি যারা বাচ্চা আছে যাদের বয়স এক থেকে ছয় বছরের মধ্যে তাদের প্রতিদিন এক থেকে ২টি মিনি বোতল খাওয়ার অনুমতি রয়েছে। আশা করছি আপনারা এই ওষুধটি খাওয়ার সঠিক পরিবার সম্পর্কে অবগত হতে পারলেন এখন আমরা জানার চেষ্টা করব এই ওষুধের কোন পার্শপ্রতিক্রিয়া বা সাইড ইফেক্ট আছে কিনা।

সাধারণত এই ওষুধের সঠিক কোন সাইটইফেক্ট নেই তাই অন্যান্য ওষুধের মত সাধারন কোন সাইড ইফেক্ট দেখা দিতে পারে যেমন মাথা ঘোরা থেকে শুরু করে ডায়রিয়া অথবা ডায়রিয়া হওয়া। এছাড়া অনেক সময় এলার্জিক্র্যাকশন দেখা দিতে পারে তাই সবসময় সতর্কতার সঙ্গে এবং সতর্কতা অবলম্বন করে ওষুধ খান।

গর্ভাবস্থায় এই ওষুধটি সেবন থেকে নিজেকে বিরত রাখুন তার কারণ হচ্ছে আমরা জানি যে গর্ব অবস্থায় মায়ের এবং শিশুর সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করার জন্য অতিরিক্ত ওষুধ খাওয়া যে কোন সময় ক্ষতির কারণ হতে পারে। এমন হতে পারে যে ওষুধগুলো সরাসরি আপনাকে ক্ষতি না করলেও এই ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আপনার শরীরে থাকা সন্তান এবং আপনার যেকোনো ধরনের ক্ষতি সাধন করতে পারে এবং আপনি অতি অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন যেটা জন্য মোটেও ভালো নয়। আশা করছি এই ঔষধ সম্পর্কে খুঁটিনাটি তথ্য আপনারা আমাদের এখান থেকে খুব ভালোভাবেই সংগ্রহ করতে পারবেন।