ল্যাপ্রোক্সেন ঔষধ কাজ কি

অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ মানুষের জীবন পাল্টে দিয়েছে আর সেই অ্যান্টিবায়োটিক এর প্রভাবে বর্তমানে অনেক ক্ষতির মুখে পড়ছে মানুষ। আমরা অ্যান্টিবায়োটিকের সঠিক ব্যবহার করছি না ব্যবহার করছি মাত্রা অতিরিক্ত যেটা আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। আপনাদের সামনে আজকে আমরা একটি এন্টিবায়োটিকের তথ্য নিয়ে হাজির হয়েছি যে তথ্যটি আপনার পক্ষে জানা অত্যন্ত জরুরী কারণ হচ্ছে এই তথ্য আপনার যদি জানা থাকে তাহলে এই ওষুধের অতিরিক্ত ব্যবহার আপনি কখনোই করবেন না।

আপনি যখন এই ওষুধের অতিরিক্ত ব্যবহার করবেন না তখন অবশ্যই এই ওষুধের সঠিক উপকারিতা আপনি পাবেন। তাহলে চলুন জানার চেষ্টা করি নেটওয়ার্ক ন্যাপ্রোক্সেন ঔষধ আপনাদের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। আপনি কেন এই ওষুধ খাবেন এবং এই ওষুধ খাওয়ার সঠিক নিয়ম কি। ওষুধ খাওয়ার ফলে কোন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রি আপনার শরীরে দেখা দেবে কিনা সেটাও জানাও তথ্য তার কারণ হচ্ছে হতেও পারে ওষুধের কারণে বিভিন্ন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আপনার শরীরে দেখা দিতে পারে।

ন্যাপ্রোক্সেন ঔষধ কেন খাবেন

ন্যাপ্রোক্সেন এসার ট্যাবলেট জেনিথ ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেডের একটি পণ্য। এই ওষুধ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে ন্যাপ্রোজেন সোডিয়াম ৫০০ মিলিগ্রাম। আপনি যদি এই ট্যাবলেট এর বর্তমান বাজার মূল্য জানতে চান তাহলে আমরা বলতে পারি এই ট্যাবলেটের বর্তমান বাজার মূল্য ইউনিট প্রতি ১০ টাকা। এখন আসি আপনি এই ঔষধ কেন খাবেন এই প্রসঙ্গে যেখানে এই ওষুধের সঙ্গে একটি নির্দেশনা আছে সেই নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা আপনাদের সাহায্য করতে পারি।

যে নির্দেশনা সেখানে দেওয়া আছে সেই নির্দেশনা অনুযায়ী বিভিন্ন উপসর্গ যদি কোন রোগীর শরীরে দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এই ওষুধ খেতে পারে। অস্টিও আর্থ্রাইটিস অত্যন্ত খারাপ একটি রোগ যদি এই ধরনের সমস্যা আপনার শরীরে থাকে তাহলে ডাক্তার অবশ্যই আপনাকে ক্যাপসুল টি খেতে বলবে। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের আর্থ্রাইটিস রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ন্যাপ্রক্সন ৫০০ মিলিগ্রাম ক্যাপসুল ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও গেটে বাতের লক্ষণ সমূহ নিরাময়। গেটেবাত সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি এটা এমন একটি রোগ যেটা বিভিন্ন রোগের শরীরে দেখা দেয় সেই সমস্যার সমাধানের জন্য এই ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে।

ন্যাপ্রোক্সেন ক্যাপসুল ঔষধ খাওয়ার সঠিক নিয়ম

আপনি যদি আজকের ওষুধের খাওয়ার সঠিক নিয়ম জানতে চান তাহলে বলব একেবারে সঠিক জায়গাতে এসেছেন যেখান থেকে আপনি জানবেন কিভাবে এই ঔষধ খেতে হয়। আমাদের কাছে যে তথ্য আছে সে তথ্য অনুযায়ী কোন কোন রোগের বিরুদ্ধে কি পরিমানে ওষুধ খেতে হবে সেটা আপনি হয়তো জানতে পারবেন তবে সবথেকে ভালো হবে আপনি যদি একজন ভালো পরামর্শ নেওয়ার জন্য ডাক্তারের কাছে যান। বিভিন্ন ধরনের আর্থ্রাইটিস রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য দৈনিক স্বাভাবিক মাত্রা হচ্ছে ৫০০ থেকে ১০০০ মিলিগ্রাম। আপনি যদি ৫০০ মিলিগ্রাম সেবন করেন তাহলে একটি মাত্রা এবং এক হাজার মিলিগ্রাম সেবন করলে খাওয়ার পরে বিভক্ত মাথায় প্রতিদিন খেতে হবে।

এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ব্যাথা তা বিভিন্ন ধরনের বাত ব্যথা এই ধরনের সমস্যার জন্য আপনাকে ৫০০ মিলিগ্রাম মাত্রা দেওয়া হতে পারে। প্রথমে কয়েকদিন 500 মিলিগ্রাম করে এরপরে ২৫০ মিলিগ্রাম করে 12 ঘন্টা পর পর দৈনিক দুইবার এই ওষুধ সেবন করতে আপনাকে বলতে পারে ডাক্তার সাহেব। গেটে বাত যাদের আছে তাদের প্রারম্ভিক মাত্রা হচ্ছে ৭৫০ মিলিগ্রাম এবং পরবর্তীতে এটা কমিয়ে ২৫০ মিলিগ্রাম করে ৮ ঘন্টা পর পর দেওয়া হয়।

ন্যাপ্রোক্সেন ক্যাপসুল এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

থাকতে পারে এই ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া যেটা জানা অত্যন্ত জরুরী। যেহেতু অত্যন্ত ক্ষমতা সম্পন্ন একটি ঔষধ তাই অবশ্যই এর ব্যাপক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে যেমন এর জন্য পরিপাকতন্ত্র ও বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। স্নায়ুসন্দেহ বিভিন্ন সমস্যা এর পাশাপাশি হৃদপিণ্ড সম্বন্ধনীয় বিভিন্ন সমস্যা এবং বলতে গেলে গোটা শরীরে যে কোন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে এই ঔষধ এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কারণে। তাই অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করুন এবং ডাক্তারের পরামর্শ এবং ডাক্তারের মতামত ছাড়া কোনোভাবেই ঔষধ খাবেন না বা ঔষধ খাওয়া ছাড়বেন না।