মন্টিলুকাস্ট ১০ এর কাজ কি Montelukast

সাধারণত আমাদের অসুখ হলে আমরা সব সময় ডাক্তারের কাছে যাই এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করি। এটাই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশে কিছু কুচক্র এই চিকিৎসা বিভাগ টিকে তাদের স্বার্থের জন্য ব্যবহার করছে যাতে করে প্রচুর পরিমাণে দুর্নীতি হচ্ছে। নিম্ন থেকে শুরু করে অনেক উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গরা এর সঙ্গে জড়িত আছে তাই একজন সতর্ক নাগরিক হিসেবে আপনার এবং আপনার পরিবারের দেখভালের জন্য আপনাকে চিকিৎসা বিজ্ঞান সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান গুলো রাখতে হবে।

আজকে যেই ট্যাবলেট নিয়ে আমরা কথা বলব সেটা হচ্ছে মন্টিলুকাস্ট সোডিয়াম ট্যাবলেট। পরিবারের কেউ না কেউ হয়তো কোনদিন এই ঔষধ ঠিকই খেয়েছে একটু খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন তবে আপনি জানেন না এই ওষুধটি কেন আপনার সেই সদস্যকে দেওয়া হয়েছে। এরকমই আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যেমন মন্টিলুকাস্ট সোডিয়াম ট্যাবলেট কেন খায় এবং মন্টিলুকাস্ট সোডিয়াম ট্যাবলেট এর মূল কাজ কি সেগুলোর উত্তর আজকের আর্টিকেল থেকে আপনারা জানতে পারছেন।

মন্টিলুকাস্ট ১০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট এর মূল কাজ কি

মন্টিলুকাস্ট ১০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট বিভিন্ন কোম্পানি বাজারজাতকরণ করছে। আজকে আমরা সেই কোম্পানির ঔষধ গুলো নিয়ে আলোচনা করবে এবং জানার চেষ্টা করব একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার কোন রোগীকে যদি মন্টিলুকাস্টে ১০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেটটি খেতে বলে তাহলে কোন কাজের জন্য খেতে বলবে।

সহজ ভাষায় বলতে গেলে অ্যাজমার আক্রমণ রোধে এবং অ্যাজমার ক্রনিক চিকিৎসায় মন্টিলুকাস্ট ১০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট ব্যবহার করা হয়। আপনারা হয়ত পরিষ্কারভাবে চেনেন এজমা রোগ বলতে কোন রোগকে বোঝায় তাহলে এই অ্যাজমা রোগের বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসার জন্য মডেলুকাস ১০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট অথবা মন্টিলুকাস্ট সোডিয়াম ওষুধটি বিভিন্ন মাত্রায় ব্যবহার করা হয়।

শুধুমাত্র যে একটি কাজের জন্য একটি ঔষধ ব্যবহার হয় এমন নয় এর সঙ্গে ব্যায়াম জনিত শ্বাস নারীর সংকোচন ও প্রতিরোধে ব্যবহার করা হয় মন্টিলুকাস্ট সোডিয়াম নামক এই উপাদানটি। এছাড়াও এলার্জিক রিএকশন এর জন্য যেমন মৌসুমী এনার্জি বলতে গেলে ঘন ঘন হাঁচি হওয়া থেকে শুরু করে চোখ লাল হয়ে যাওয়া এবং শ্বাসকষ্ট জনিত কারণে মন্টিলুকাস ১০ এমজি ঔষধ ব্যবহার করা হয়। আশা করছি আমরা এই ওষুধের কার্যকারিতা এবং কোন কাজে এই ঔষধ লাগবে সে সম্পর্কে একটি সাধারণ ধারণা পেলাম।

মন্টিলুকাস্ট ১০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট এর সঠিক সেবন মাত্রা

আমরা জানি কোন রোগের বিনিময়ে কোন ওষুধ কাজ করতে পারে কিন্তু আমরা এটা জানি না যে সেই ওষুধ কি পরিমাণে দেওয়া যাবে। এটার কারণ হচ্ছে যতটুকু ওষুধ বৃদ্ধ মানুষের প্রয়োজন ততটুকু ওষুধ প্রাপ্তবয়স্কের প্রয়োজন নাও করতে পারে অথবা যাদের বাচ্চারা যে পরিমাণ ওষুধ খাবে তাদের বয়স্করা সেই পরিমাণ ওষুধ খাবে না। এ ধরনের যে পার্থক্যগুলো আমরা লক্ষ্য করতে পারি সেই পার্থক্যগুলোর উপর ভিত্তি করে এখন আমরা আলোচনা করব মন্টিলুকাস্ট ১০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট এর সঠিক সেবন বিধি বিভিন্ন বয়স অনুপাতে।

যাদের বয়স ১৫ বছরের বেশি তাদের জন্য মন্টিলুকাস্ট ১০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট প্রতিদিন একবার খাওয়ার কথা বলেন ডাক্তার। হাঁপানি রোগীদের ক্ষেত্রে অথবা মৌসুমী এলার্জিক রিঅ্যাকশন এর কারণে এখানে আলাদা ডোজ দেওয়া যেতে পারে। এখানে ৬ থেকে ১৪ বছর বয়সে শিশুদের জন্য মন্টিলুকাস্ট পাঁচ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট প্রতিদিন একবার করে খেতে বলা হয়। এছাড়াও দুই বছর থেকে চার বছর বয়সী শিশুর রোগীদের ক্ষেত্রে মনটি লোক আছে ৪ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট দিনে একবার করে খেতে বলা হয়।

তবে যে সকল শিশুদের বয়স একেবারেই ছয় মাসের নিচে তাদের ক্ষেত্রে হাঁপানি আক্রান্ত শিশুদের মধ্যে পর্যাপ্ত ও সুনয়ন্ত্রিত ঔষধ দিতে গেলে উপস্থিত শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে। এটার স্বাভাবিক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে এবং অস্বাভাবিক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও রয়েছে, তাই সতর্কতার সঙ্গে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনভাবে অতিরিক্ত ঔষধ খাওয়া যাবে না।