ন্যাপ্রোসিন ২৫০ এর কাজ কি Naprosyn

আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয় কিন্তু সে সংস্থা নিয়ে বাড়িতে বসে থাকলে চলবে না। আমাদের মহান সৃষ্টিকর্তা অবশ্যই আমাদের রোগ নিরাময়ের জন্য চেষ্টা করতে বলেছেন তাই আমরা সবদিক থেকে চেষ্টা করব রোগ নিরাময়। রোগী নামার জন্য বর্তমান যুগে কিছু ওষুধের মধ্যে অত্যন্ত কার্যকরী ঔষধ হচ্ছে ন্যাপ্রোসিন ২৫০ ট্যাবলেট। আজকে আমরা রেডিয়ান ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেডের ন্যাপ্রোসিন ২৫০ ট্যাবলেট নিয়ে আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব যেখানে এই ট্যাবলেট তৈরিতে উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে ন্যাপ্রোক্সেন সোডিয়াম।

আপনারা এই ওষুধের বেশ কয়েকটি কার্যকারিতা সম্পর্কে জানবেন এর পাশাপাশি আরো জানতে পারবেন সঠিক কি পরিমানে ঔষধ খাওয়া উচিত। ওষুধের সঠিক পরিমাপ না জেনে যারা ঔষধ খায় তারা সব থেকে বোকামির কাজ করে তার কারণ হচ্ছে এই ওষুধের কোন উপকারিতা সে পাবে না এর পাশাপাশি বরঞ্চ তার শরীরে আরো ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সব মিলিয়ে ওষুধ সম্পর্কে জানতে আমাদের সঙ্গে থাকুন আমরা মূল আলোচনার দিকে চলে যাচ্ছি।

ন্যাপ্রোসিন ২৫০ কি কাজ করে

ব্যথা এমন একটি সমস্যা যেটা যেকোনো সময় হঠাৎ করে হতে পারে এবং যেকোনো সময় সেটা ভালো হয়ে যেতে পারে। সাধারণত বিভিন্ন ধরনের ব্যথা নিরাময়ের জন্য এই ঔষধ প্রাথমিকভাবে ব্যবহার করা হয় তবে কোনভাবেই দীর্ঘ মেয়াদী ব্যথা নিরাময়ের জন্য এই ওষুধ ব্যবহার করা যাবে না। এর থেকে আরও কিছু গুরুতর এবং ভয়ানক রোগ যেমন রিউমারেড আর্থাইটিস রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে এই ওষুধ। এখানেই শেষ নয় আমরা আরো জানতে পেরেছি অস্ট্রিও আর্থ্রাইটিস রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য নিয়মিত এই ঔষধ অন্যান্য ঔষধের পাশাপাশি রোগীকে খেতে বলা হয়।

এছাড়াও রয়েছে জুভেনাইল আর্থ্রাইটিস যেটা বিশেষ একটি রোগ এবং বিভিন্ন ধরনের রোগের জন্য জটিল রোগ হিসেবে বর্তমানে মাথা ছেড়ে উঠছে এই ধরনের রোগের বিরুদ্ধে ন্যাপ্রোসিন ২৫০ ট্যাবলেট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও আরো একটি রোগ আছে যেমন বারসাইটিস এই রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে ট্যাবলেট। এছাড়াও আমরা গ্রামের ভাষায় যেটাকে বলি গেটে বাত এই গেটে বাতের যদি কোন লক্ষণ আপনার শরীরে দেখা দেয় বা রোগীর শরীরে দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত এই ট্যাবলেট খাওয়া যেতে পারে।

ন্যাপ্রোসিন ২৫০ ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম ও মাত্রা

বিভিন্ন ধরনের আর্থ্রাইটিস রোগের বিরুদ্ধে চিকিৎসা করার জন্য রোগীর শরীরের উপর নির্ভর করে দৈনিক স্বাভাবিক মাত্রা হতে পারে ৫০০ মিলিগ্রাম থেকে এক হাজার মিলিগ্রাম। তবে অবশ্যই বিভক্ত মাত্রায় এই ঔষধ একজন রোগীকে দিতে হবে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যেন সঠিকভাবে রোগী ঔষধ খায়। বিভিন্ন ধরনের ব্যথার চিকিৎসার জন্য প্রারম্ভিক মাত্রা হতে পারে ২৫০ মিলিগ্রাম এবং সর্বোচ্চ মাত্রা হতে পারে ৫০০ মিলিগ্রাম থেকে 1250 মিলিগ্রাম পর্যন্ত। এই চিকিৎসার জন্য অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী মাছটা নির্ধারণ করে নেওয়া সবথেকে ভালো দিক বলে আমরা মনে করি।

গেটে বাতের ক্ষেত্রে এই ওষুধ অনেকদিন আগে থেকেই ব্যবহার হয়ে আসছে এবং এই ঔষধ অত্যন্ত কার্য করে বলে বিবেচিত হচ্ছে। এখানে প্রারম্ভিক মাত্রা হিসেবে ৭৫০ মিলিগ্রাম এবং পরবর্তীতে মাত্রা ২৫০ মিলিগ্রাম করে ৮ ঘন্টা পর পর যতদিন ব্যথা না কমে এই হিসাবে একজন ডাক্তার রোগীকে নির্দেশ করতে পারে।

 

ন্যাপ্রোসিন ২৫০ দাম ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

সাধারণত পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া গুলোর মধ্যে অত্যন্ত গুরুতর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হচ্ছে পরিপাকতন্ত্রের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকে শুরু করে ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা। যেমন বুক জ্বালা থেকে শুরু করে পেট ব্যথা বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া , বদহজম ইত্যাদি এছাড়া অনেকের চুলকানির সমস্যা হতে পারে অনেকের হৃদপিন্ডের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা যেমন বুক ধরফর করার সৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টি ও শ্রবণশক্তি কবে যার মত গুরুতর সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। বর্তমান বাজার দর অনুযায়ী প্রতিপিস ন্যাপ্রোসিন ২৫০ ট্যাবলেট এর দাম পড়বে ৯ টাকা।