চলুন সবার প্রথমে আজকে যে ওষুধ নিয়ে কথা বলবো তার সম্পর্কে জানার চেষ্টা করি। সাধারণত এই ঔষধ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে ক্লোনাজিপাম। বিভিন্ন ধরনের মানসিক সমস্যা বা বিভিন্ন ধরনের রিলাক্স এর জন্য এই ওষুধের বহুবিধ ব্যবহার আমরা লক্ষ্য করেছি। শুধুমাত্র যে Pase 0.5 ট্যাবলেট এর একটিমাত্র ফরমেট রয়েছে এটা ভুল ধারণা এই ট্যাবলেট এর বেশ কয়েকটি ফরমেট রয়েছে বিভিন্ন ধরনের রোগীর ক্ষেত্রে এটা বিভিন্নভাবে ব্যবহার করা হয়।
চলুন আজকের আর্টিকেল থেকে আমরা জানার চেষ্টা করি এই ওষুধ খাওয়ার সঠিক নিয়ম এবং এর পাশাপাশি কোন কোন রোগের জন্য এই ঔষধ খেতে হবে সে সম্পর্কে। এর বাইরে অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হবে কিনা সেই সম্পর্কে সঠিক তথ্য নেওয়ার চেষ্টা করব আজকের এই ছোট্ট আর্টিকেল থেকে।
Pase 0.5 কি কাজ করে
একজন রোগী যখন অসুস্থতা নিয়ে ডাক্তারের কাছে যায় ডাক্তার অবশ্যই তাকে ভালো পরামর্শ দিতে চাই। আজকের যে ট্যাবলেট এর দিকনির্দেশনা দেওয়া আছে সেখানে বিভিন্ন জায়গাতে আমরা পেয়েছি পেনিক ডিসঅর্ডারজনিত বিভিন্ন সমস্যার কারণে ডাক্তারেরা রোগীদের এই ট্যাবলেট নির্দেশ করতে পারে। অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে ঘন ঘন ভীত হওয়া অর্থাৎ যেকোনো কারণ ছাড়াই ভয় পাওয়া হঠাৎ করে চমকে ওঠা যে সকল রোগী সব সময় এই ধরনের সমস্যা অনুভব করে তাদের ক্ষেত্রে ডাক্তার Pase 0.5 ট্যাবলেট নির্দেশ করতে পারে।
অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে অনেক ধরনের সমস্যা যেমন এবসেন্স সিজার এর রোগী যাদের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয় তাদের জন্য এই ওষুধ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের চিন্তাভাবনা বা বিভিন্ন ধরনের মানসিক টেনশন যারা করে তাদের ক্ষেত্রে একটু রিল্যাক্স হওয়ার জন্য এবং পাতাকে একটু ফ্রেশ করার জন্য সাধারণত এই ঔষধ ব্যবহার করা হয়। তবে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে সঠিক পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ যেন সেবন করা হয়।
Pase 0.5 খাওয়ার নিয়ম এবং মাত্রা
যারা প্রাপ্তবয়স্ক রোগী আছে তাদের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সমাধানের জন্য একজন ডাক্তার বিভিন্নভাবে এই ওষুধের ব্যবহার করতে পারে। আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি প্রাথমিক পর্যায়ে ০.৫ মিলিগ্রাম থেকে একজন রোগীর চিকিৎসা শুরু হতে পারে অথবা প্রথমদিকে কোন কোন রোগের ১.৫ মিলিগ্রাম করে দৈনিক তিনবার এই চিকিৎসা চালানো যেতে পারে। কিন্তু যখন রোগীর শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন হবে এবং সেই রোগীকে পুনরায় ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হবে তখন অবশ্যই ডাক্তার এই ওষুধের পরিবর্তন করতে পারেন বা ওষুধের পরিমাণ কমাতে পারেন বা বাড়াতে পারেন ।
যেহেতু এগুলো জটিল রোগের সমস্যার সমাধান করে তাই অবশ্যই একজন ভাল বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে আপনি রোগীকে ঔষধ খাওয়ালে সেটা সবথেকে ভালো হবে বলে আমরা মনে করি। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে দৈনিক সর্বোচ্চ ২০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত ট্যাবলেট খাওয়ানো যাবে। অবশ্যই খাবার পরে এই ওষুধ খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে এবং পানির সঙ্গে এই ওষুধ খাবেন।শিশুদের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের মাত্রা নির্ধারণ করা হয় তাই অনুরোধ থাকবে একজন শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে গিয়ে তার সুপরামর্শ অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে।
Pase 0.5 দাম ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
প্রত্যেকটি ওষুধের পার্শপ্রতিক্রিয়া দেখা যায় তবে এই ওষুধের ব্যবহারের ক্ষেত্রে সচরাচর যে ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায় তার মধ্যে মস্তিষ্কের অবসন্নতা অন্যতম। কিছু কিছু রোগীর ক্ষেত্রে মাথা ঘোরা দেখা যায় কিছু কিছু রোগের ক্ষেত্রে চলাচল অনিয়ন্ত্রিত হতে পারে। এছাড়াও আরো গুরুতর সমস্যা যেমন মাথা ঘোরা থেকে শুরু করে সিদ্ধান্তহীনতা বিষন্নতা স্মৃতি লোপ পাওয়া এই ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। আমরা যদি দামের দিকে একটু লক্ষ্য করি তাহলে Pase 0.5 ট্যাবলেট এর বর্তমান বাজার মূল্য ৬.৫০ টাকা।